ব্লগ সাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর পরই মাথায় আসা প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে– শুরু করব কিভাবে! ব্লগ তৈরি করার নিয়ম এবং শুরু করার আগে যেসব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক– সে সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে।
একটি সফল ব্লগ তৈরি করার নিয়ম অনুসরণ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন হয় সুষ্ঠ পরিকল্পনার। সুষ্ঠ পরিকল্পনা ছাড়া ব্লগিং এর রাজ্যে কখনোই রাজত্ব লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ এখানে রাজা পদপ্রার্থী শুধু আপনি একজন নন, হাজার হাজার৷ মূলত ব্লগ সাইট তৈরির আগেই ব্লগের বিষয়ে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলো সামনে আসতে শুরু করে।
শুরুতে নেয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত বিষিয়ে দিতে পারে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার। তাই হটাৎ কোনোভাবে মোটিভেটেড হয়ে হুট করেই ব্লগ সাইট তৈরি করে ফেলা বোকামী। ব্লগ সাইট তৈরি করার সময় প্রতিটি স্টেপ নিতে হবে ভেবে চিন্তে।
ব্লগিং কেন করা উচিৎ কিংবা এতে সফলতার সম্ভাবনাই বা কতটুকু তা জানতে পড়ুন এই লিখাটিঃ ব্লগিং কেন করবে এবং ব্লগ সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা।
একটি ব্লগ তৈরি করার নিয়ম স্বরূপ অনুসরণযোগ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলো হলো:
- > নিশ বাছাই
- > প্লাটফর্ম বাছাই
- > ডোমেইন কেনা
- > হোস্টিং কেনা
- > টেমপ্লেট বা থিম বাছাই
উল্লেখিত প্রতিটি ধাপ নিয়ে এখানে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে।
নিশ (Niche) বাছাই – ব্লগ তৈরি করার নিয়ম : ১ম ধাপ
নিশ (Niche) শব্দটি দ্বারা নিশানা বা টার্গেটকে বোঝানো হয়। একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিশ বলে। আর একটি নির্দিষ্ট বিষয় সমৃদ্ধ ব্লগ সাইটকে বলা হয় নিশ ব্লগ সাইট।
উদাহরণঃ nshamim.com একটি নিশ ব্লগ সাইট, কারন সেখানে একটি মাত্র বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা প্রকাশ করা হয়। তাদের সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি বা নিশ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। অন্যদিকে wIthbangla.com একাধিক বিষয় সম্বলিত ব্লগ সাইট। সেখানে প্রযুক্তি সম্পর্কিত লেখাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিলেও বিভিন্ন ক্যাটাগরির লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকে।
সঠিকভাবে ব্লগ তৈরি করার নিয়ম জানা অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা সব সময়ই যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে বেছে নেয়ার পরামর্শ দেন। এর কারন, নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক ব্লগ সাইট বেশি নজরকারা হয় এবং সহজেই মানুষের ভরসাযোগ্য হয়ে ওঠে৷ এছাড়া বলা হয়ে থাকে, একটি বিষয়কে নিশানা করে তৈরি করা ব্লগ সাইট গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা ব্লগ সাইটের তুলনায় বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তাই অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ফোকাস করে ব্লগ সাইট তৈরি করা উচিৎ। এতে সফলতার সম্ভাবনা কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
তবে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক ব্লগ সাইট তৈরি করার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে একাধারে বারবার লিখতে অনেকেই একসময়ে একঘেয়েমী অনুভব করে৷
তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নতুনদের জন্য নিশ ব্লগ সাইটের তুলনায় একাধিক বিষয়ভিত্তিক ব্লগ সাইট বেশি ভালো। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই যতটা সম্ভব অল্পকিছু বিষয়কে ব্লগ সাইটের জন্য বাছাই করতে হবে৷
WithBangla একাধিক বিষয়ভিত্তিক একটি ব্লগ সাইট। তবে এখানে মাত্র তিনটি বিষয় নিয়ে লিখা হয়। বিষয়গুলো হলোঃ প্রযুক্তি, জীবন ও রূপচর্চা।
নিশ সাইট বানাতে না চাইলে আপনিও আপনার আগ্রহ অনুযায়ী স্বল্প কিছু বিষয় নিয়ে ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। তবে কখনোই পরস্পর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় একই ব্লগ সাইটের জন্য বাছাই করতে যাবেন না। আর অনেক বেশি বিষয় যুক্ত করে ব্লগ সাইটকে জগাখিচুরি বানালে ভিজিটর ধরে রাখা দুস্কর হয়ে যেতে পারে।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নিশগুলো হলো: প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, জীবন সম্পর্কিত লেখা, রেসিপি, ভ্রমণ কাহিনী, রুপচর্চা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন-
- ২৫+ জনপ্রিয় ব্লগার থিমের প্রিমিয়াম ভার্সন এবং ইন্সটলের উপায়
- অনপেজ এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
- এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
সঠিক প্লাটফর্ম বাছাই – ব্লগ তৈরি করার নিয়ম : ২য় ধাপ
ব্লগিং এর জন্য বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি প্লাটফর্ম হলো গুগল দ্বারা পরিচালিত ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস (এখানে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা WordPress.Org কে বোঝানো হচ্ছে, WordPress.Com নয়। WordPress.Org এবং WordPress.Com ভিন্ন দুইটি প্রতিষ্ঠান।)
গুগল দ্বারা পরিচালিত ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রি একটি প্লাটফর্ম। এখানে যা আছে সবই ফ্রি। ব্লগারের মাধ্যমে সুন্দর একটি ব্লগ সাইট তৈরির জন্য ডোমেইন ছাড়া আর কিছুই প্রয়োজন হয় না। (এখানে ব্লগ সাইট খুললে ডোমেইন কেনাটাও ঐচ্ছিক ব্যাপার।
প্রাথমিকভাবে গুগল ফ্রিতেই আপনাকে একটি ডোমেইন দিয়ে দেবে৷ যদিও সেটা প্রোফেশনাল মানের হবে না। কিন্তু ফ্রিতে পাওয়া যাচ্ছে, এটাই তো বড় কথা।)
ব্লগারে সেইফটি নিয়েও ভাবতে হয়না। সবকিছু জিমেইল নির্ভর হওয়ায় জিমেইলের পাসওয়ার্ড শক্ত হলে ব্লগারের মাধ্যমে তৈরি করা ব্লগ সাইট হ্যাক করা অনেক কঠিন।
এছাড়াও গুগলের নিজস্ব প্লাটফর্ম হওয়ায় এটা বেশ এসইও ফ্রেন্ডলি। আলাদাভাবে এসইও না করেও ভালো এসইও রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব।
অন্যদিকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ সাইট খুললে হোস্টিং এবং ডোমেইন উভয়ই কেনা বাধ্যতামূলক। ডোমেইন হোস্টিং ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ সাইট তৈরী শুরুই করা যাবে না। ওয়ার্ডপ্রেসে প্রবেশের প্রথম শর্তই ডোমেইন ও হোস্টিং।
যেকোনো হোস্টিং ও ডোমেইন সেবা প্রদানকারী ওয়েবসাইট থেকে হোস্টিং ও ডোমেইন কিনে ওয়ার্ডপ্রেসে প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যায়। ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরী করা সম্ভব।
এখন আপনার মনে হতে পারে, যেহেতু ব্লগার একদম ফ্রি, সেহেতু ব্লগারেই ব্লগ সাইট তৈরি করা উচিৎ। কেননা, এখানে কোনো টাকা খরচ হচ্ছে না।
আপনি চাইলেই ব্লগারে ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। কিন্তু ব্লগারকে কখনোই ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ভালো ভাবতে যাবেন না। কেননা, গুগল পরিচালিত প্লাটফর্ম ব্লগার এবং এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তৈরী ব্লগ সাইটসমূহ সম্পূর্ণভাবে ‘গুগল দ্বারা পরিচালিত’।
আপনার ব্লগের আসল মালিক আপনি নন, গুগল। অন্যদিকে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে তৈরি করা ব্লগ সাইট সম্পূর্ণ আপনার দ্বারা পরিচালিত। ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা ওয়েবসাইটের আসল মালিক আপনি৷ আপনি সম্পূর্ণভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ফিচার ও সুযোগ সুবিধার দিক থেকেও ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগারের তুলনায় অনেক উন্নত। ব্লগার যেখানে একটা সামান্য বাটন মোবাইল, ওয়ার্ডপ্রেস সেখানে একটা আধুনিক কম্পিউটার।
কম্পিউটারে যেমন ইচ্ছেমতো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে সুবিধা ভোগ করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেসেও তেমনি বিভিন্ন প্লাগইন ইন্সটল করে কোনোরকম কোডিং জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা যায়।
এসইও থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা পর্যন্ত সবকিছুই প্লাগইন দিয়ে আল্ট্রা প্রোফেশনালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রায় সব প্লাগইনেরই ফ্রি ভার্সন আছে। আর এই প্লাগইনের সংখ্যা ইনফিনিটি।
মানে প্রতিদিন নতুন নতুন প্লাগইন ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ডেভেলপাররা তৈরি করছেই এবং ক্রমাগত উন্নত করেই চলেছে। ব্লগারে এমন কোনো প্লাগইন সিস্টেম নেই।
তাই অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগারের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। তবে আপনি যদি ব্লগিং এর ক্ষেত্রে একদম নতুন হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য ব্লগারই বেটার। কারন, গুগল পরিচালিত ব্লগার ব্লগিং তৈরীর হাতেখড়ি করার জন্য সেরা জায়গা। ব্লগারে কোনোরুপ সমস্যা ও জটিলতার সম্মুখীন না হয়েই আপনি একটি মোটামুটি ভালো মানের ব্লগ সাইট খুলে ফেলতে পারেন।
ডোমেইন ক্রয় – ব্লগ তৈরি করার নিয়ম : ৩য় ধাপ
ডোমেইন হলো একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা। যেমন আপনি এখন যে ব্লগ সাইটে এই লিখাটি পড়ছেন, সেটির ডোমেইনের নাম Withbangla.Com । ব্রাউজারে Withbangla.Com লিখলে ব্রাউজার আপনাকে সোজা এই ওয়েবসাইটটিতে পৌছে দেবে।
ব্লগারে ব্লগ সাইট খুললে একটি সাবডোমেইন অর্থাৎ .Com এর পরিবর্তে .Blogspot.Com ঠিকানা ফ্রিতে করে যুক্ত করে দেয়া হয়। ব্লগ সাইটকে আরো প্রোফেশনাল দেখানোর জন্য বেশিরভাগ ব্লগার ব্যবহারকারী .Com ডোমেইন কিনে নেন। আর ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ সাইট খুলতে চাইলে তো প্রথমেই একটি ডোমেইন কেনার প্রয়োজন পড়ে।
টপ লেভেলের বেশ কয়েক প্রকার ডোমেইন রয়েছে ইন্টারনেটে। সেগুলোর মাঝে ব্লগ সাইটের জন্য .Com, .Net, .Info, .Xyz বেশি জনপ্রিয়।
ডোমেইন বিক্রির ক্ষেত্রে সেরা প্রতিষ্ঠানটি হলো Namecheap । তবে আপনি যদি পেমেন্টের সহজ প্রক্রিয়ার কথা চিন্তা করে নিজ দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ডোমেইন কিনতে চান, তবে আমার মতে ExonHost আপনার জন্য সেরা।
ExonHost এ বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই বিল পরিশোধ করা যায়। এখানে প্রথম ১ বছরের জন্য .Com ডোমেইন ক্রয় করতে ৬৯৯৳ লাগে, যা অন্যান্য দেশী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেকটাই সস্তা। এছাড়াও এদের সাপোর্ট মোটামুটি ভালো।
উল্লেখ্য, কখনোই কোনো নতুন বা স্বল্প জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে কম দামে ডোমেইন কিনতে যাবেন না৷ এতে দেখা যাবে পরবর্তী বছর সেই ডোমেইনটি আর রিনিউ করতে পারছেন না কিংবা রিনিউ করতে মোটা অংকের টাকা ঢালতে হচ্ছে।
এমনটা ঘটলে আপনার ১ বছরের পরিশ্রম, ব্যাকলিংক সবই জলে! এবং যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন কেনার আগে প্রথম বছরের দাম দেখেই গলে যাবেন না, পরের বছরের জন্য ডোমেইনের রিনিউ খরচ, ট্রান্সফার খরচ এবং ডোমেইনের ওপর সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পাবেন কিনা জেনে নিন।
ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য হোস্টিং ক্রয় – ব্লগ তৈরি করার নিয়ম : ৪র্থ ধাপ
হোস্টিং হলো একটি ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইল জমা রাখার জায়গা। অর্থাৎ আপনার মেমরীতে রাখা কোনো ফোল্ডারের মতো আপনি যে ব্লগ সাইটটি তৈরী করবেন, সেটার একটি নির্দিষ্ট সাইজ আছে।
আপনার মোবাইলের কোনো ফোল্ডার সংরক্ষণের জন্য যেমন একটি মেমরি আপনি ক্রয় করেছেন, তেমনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল ডাটা সংরক্ষণের জন্য একটি মেমরি টাইপ কিছু প্রয়োজন। আর ওয়েবসাইটের বেলায় এই মেমরী টাইপ জিনিসটাই হলো হোস্টিং।
গুগল পরিচালিত ব্লগারে ব্লগ সাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হয়না। গুগল সম্পূর্ণ বিনা খরচে আনলিমিটেড হোস্টিং সরবরাহ করে। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য হোস্টিং বাধ্যতামূলক।
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় বেশ কিছু হোস্টিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাঝে HostGator অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে নিশ্চিন্তে হোস্টিং কেনা যেতে পারে। দেশী ওয়েবসাইটগুলোর মাঝে আমি XeonBD কে বেশি পছন্দ করি। র্যাংকিং এর দিক থেকেও XeonBD বাংলাদেশের অন্য যেকোনো হোস্টিং প্রোভাইডারের চেয়ে উন্নত অবস্থানে রয়েছে।
আপনি যদি ডোমেইন ও হোস্টিং একসঙ্গে নিতে চান, তবে জেনে খুশি হবেন যে, XeonBD আপনার জন্য অনেক আকর্ষণীয় ও দামে সস্তা প্যাকেজ নিয়ে অপেক্ষা করছে। XeonBD এর সার্ভিস আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ডোমেইন বাদ দিয়ে শুধু হোস্টিংও নিতে পারেন এখান থেকে। এক্ষেত্রে ৩ জিবি স্টোরেজের দাম পড়বে মাত্র ৳২৫০/মাস! পাশাপাশি পেয়ে যাবেন প্রতি মাসে ১০০ জিবি ব্যান্ডউইথ, ফ্রি এসএসএলসহ লোভনীয় সব অফার!
টেমপ্লেট বা থিম বাছাই – ব্লগ তৈরি করার নিয়ম : ৫ম ধাপ
ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস, উভয় প্লাটফর্মেই ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন থিম বা টেমপ্লেট। থিম বা টেমপ্লেট আক্ষরিক দিক থেকে অভিন্ন হলেও ব্লগারে একে টেমপ্লেট ও ওয়ার্ডপ্রেসে একে থিম বলে সম্বোধন করা হয়ে থাকে।
থিম বা টেমপ্লেট হলো ডিজাইন স্ক্রিপ্ট। বিভিন্ন ডেভেলপার কোড লিখে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থিমের মধ্যে পুরে রেখেছে। আপনার কাজ সেগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করা। এগুলো ব্যবহার করে কোনো রকম কোড লেখা ছাড়াই অসাধারণ ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা যায়।
ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস উভয় প্লাটফর্মেই ফ্রি ও প্রিমিয়াম উভয় ক্যাটাগরির থিম আছে। গুগল দ্বারা পরিচালিত ব্লগারের থিমের মূল্য সাধারণত ৯$ থেকে ২০$ হয়ে থাকে। অন্য দিকে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রিমিয়াম থিমের মূল্য ১৩$ থেকে ১০০$ পর্যন্ত হতে পারে৷ ব্লগারের থিমের দাম এতো কম হওয়ার কারন এগুলোতে ফিচারগত সীমাবদ্ধতা।
ব্লগারের ডিফল্ট থিমগুলো অনেকটাই সেকেলে। ব্লগারের জন্য ভালো ভালো থিম ডাউনলোড করে নিতে templateify এ ভিজিট করুন। এখানে সরবরাহ করা প্রায় সকল থিমেরই ফ্রি ভার্সন বিদ্যমান। এখানে প্রিমিয়াম ও ফ্রি ভার্সনের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য নেই বললেই চলে।
ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য Astra ও GeneratePress প্রথম সারির দুইটি থিম। আনন্দের কথা হলো, দুইটি থিমেরই প্রিমিয়াম ভার্সনের পাশাপাশি ফ্রি ভার্সন রয়েছে এবং সেগুলো ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব স্টোরেই পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটা প্রয়োজন হয়, সেটা হলো পজেটিভ মাইন্ডসেট। শুধুমাত্র টাকা ইনকামের ধান্দায় ব্লগিং করতে এলে আপনাকে হতাশ হতে হবে। ব্লগিং করে টাকা কামাতে প্রচুর সময় লেগে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। তাই সেজন্য মানসিকভাবে তৈরী থাকতে হবে। প্রচুর ব্লগারকে দেখেছি ব্লগিং ক্যারিয়ারের ১ বৎসর পূর্তি হওয়ার আগেই হতাশার জলে ডুবে গেছে। ছেড়ে দিয়েছে ব্লগিং এর সম্ভাবনাময়ী রাজ্য।
ব্লগ সাইট তৈরি করার শুরুতে ব্লগ তৈরি করার নিয়ম স্বরূপ অবশ্য করনীয় ৫টি ধাপ নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে ব্লগ তৈরি করে সফল হবার প্রচেষ্টা অনেকাংশেই সম্ভব হবে।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন-
Wawah