রেফার কি? রেফার করে টাকা ইনকাম করার ১০টি অ্যাপস

অনলাইন থেকে এখন যত বিচিত্র উপায়ে ইনকাম করা যায়, রেফার করে ইনকামও সেগুলোর ভেতর অত্যন্ত আলোচিত একটি পদ্ধতি। বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ছোট কমিউনিটিতেও এখন নানান নাম এবং রঙে রেফারেল সিস্টেম আমরা দেখতে পাই।

তবুও, অনেকেই রেফারেল সিস্টেমের বিষয়ে কিছু জানে না কিংবা কোন কোন এ্যাপ থেকে রেফার করে টাকা ইনকাম করা যায়, সেই বিষয়ে অবগত নয়।

এই দুই ক্যাটাগরির মানুষের জন্যই মূলত লিখা হয়েছে এই আর্টিকেলটি। এখানে রেফার কি, রেফার লিংক কি কিংবা রেফার কোড কি – তা বোঝানোর পাশাপাশি দশটির বেশি রেফার করে টাকা ইনকাম করার এ্যাপ বা প্লাটফর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

রেফার, রেফার লিংক এবং রেফার কোড কি?

কোনো একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর যখন আপনি ঐ প্লাটফর্মে আরো একজনকে যুক্ত করবেন, তখন এই যুক্ত করাকে বলা হবে রেফার করা।

আরো সহজ কথায়, ধরুন আপনি “X” নামের একটি এ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করলেন। তারপর নির্দিষ্ট একটা লিংক পাঠিয়ে সেই এ্যাপে আপনার কোনো বন্ধুকে এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আহ্বান করলেন।

এইক্ষেত্রে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় আপনার এই আহ্বান করাকে বলা হবে রেফার করা এবং আপনি যেই লিংকের মাধ্যমে রেফার করলেন, সেটাকে বলা হবে রেফার লিংক।

অনেকক্ষেত্রে, রেফার লিংকের পরিবর্তে এ্যাপ, ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মুগুলো একটা কোডের ব্যবহার করে, সেই কোডগুলোকে বলা হয় রেফার কোড।

রেফার কেন করবেন বা রেফার করলে কি হয়?

আপনি যখন আপনার কোনো বন্ধুকে কোনো একটি এ্যাপ বা ওয়েবসাইট রেফার করেন তখন অটোমেটিক্যালি ঐ এ্যাপ বা ওয়েবসাইটটির অটো মার্কেটিং হয়ে যায়। এজন্য তারা কিছু অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, শুধু রেফার করলেই টাকা পাওয়া যায় না। যাকে রেফার করলাম, তাকে ঐ প্লাটফর্মে যুক্ত করতে হয়, তারপরই মেলে কাঙ্ক্ষিত অর্থ।

অনেক জায়গায় আবার শুধু যুক্ত করলেই হয় না, বরং সেইখানে তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয়। এক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করে আপনার কনভিন্সিং ক্ষমতা কতটুকু, তার উপর।

যার মানুষকে কনভিন্স করার পাওয়ার যত বেশি ভালো, সে তত বেশি মানুষকে রেফার করে কোনো একটি প্লার্টফর্মে নিয়ে আসতে পারবে এবং তত বেশি ইনকাম করবে।

রেফার কিভাবে করে?

রেফার করার জন্য আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে, কোন কোন প্লাটফর্মে রেফার সিস্টেম রয়েছে। কারণ, সব প্লাটফর্মে রেফার সিস্টেম থাকে না। থাকলেও, সব জায়গা থেকে ইনকাম করা যায় না।

যেসব প্লাটফর্মে রেফার সিস্টেম আছে, সেগুলোতে গিয়ে আইডি খুলতে হবে। তারপর রেফারেল লিংক কোথায় আছে, সেটা খুজে বের করতে হবে। রেফারেল লিংক না থাকুলে রেফার কোড খুঁজবেন।

তারপর সেই লিংক বা কোড কোনো বন্ধুকে দিয়ে সেটা ব্যবহার করে উক্ত প্লাটফর্মে যুক্ত হতে বলবেন।

যাদের নিজস্ব ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল আছে, তারাই মূলত রেফার করে সবচেয়ে বেশি মানুষকে প্লাটফর্মগুলোয় নিয়ে আসতে পারে। তাই তাদের ইনকামও হয় অনেক বেশি।

রেফার করে ইনকাম করার জন্য কেন অ্যাপসই সেরা?

রেফার করে ইনকাম করার জন্য আসলে এ্যাপই বেটার অপশন। কারণ এ্যাপে কাজ করা বেশি সহজ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঝামেলাবিহীন।

অধিকাংশ মানুষই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারে না। কারণ ব্রাউজারের ব্যবহার আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এখনো স্বচ্ছ নয়। একবার একটা ওয়েবসাইটে ঢুকে রেজিস্ট্রেশনের পর আবার পরবর্তীতে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল মনে করে সেখানে প্রবেশ করা ঝামেলার বিষয়।

অন্যদিকে, একটা এ্যাপগুলো ইন্সটলের পর সেটার আইকন মোবাইলে হোমপেজে খুব সহজেই পাওয়া যায়। জাস্ট একটা ক্লিক করলেই এ্যাপ হয়ে যায় চালু।

তাছাড়া, এধরণের এ্যাপগুলোর ইন্টারফেস সাধারনত সাজানো গোছানো হয় এবং তাই সব বয়সী ইউজাররাই এধরণের এ্যাপ ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহবোধ করে।

অনলাইনে রেফার করে টাকা ইনকাম করার উপায়

এখনকার সময়ে রেফার করে টাকা ইনকাম করা অনেকের কাছেই লোভনীয় একটা কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ, এভাবে ইনকাম করতে কোনো স্কিল লাগে না, লাগে না দীর্ঘ দিনের মেহনত।

মানুষের এই আগ্রহ এবং লোভকে পূঁজি করে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে নিজেদের ওয়েবসাইট বা এ্যাপের দিকে টানছে এবং প্রতারিত করছে।

এখানে আমরা কয়েকটি বিশ্বস্ত এ্যাপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো, যারা সত্যিই রেফারের বিনিময়ে পেমেন্ট করে।

Google Pay

গুগল পে হলো একটি “UPI PAYMENT APP” যেটা গুগল ডেভেলপ করে বাজারে এনেছে। এখান টাকা ইনকাম করে সরাসরি ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা যায়। এছাড়াও সরাসরি এ্যাপ থেকেই যেকেনো ধরণের পেমেন্ট (যেমন ইলেক্ট্রিসিটি বিল, ট্রান্সফার মানি, অনলাইন শপিং এর বিল ইত্যাদী) করা যায়।

এছাড়াও, বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গুগল বিভিন্ন এ্যাপের উপর টাস্ক প্রদান করে। সেগুলো পূরণ করে টাকা ইনকাম করা যায়।

গুগল পে এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা ইনকাম করার জন্য মানুষ ভিপিএন এবং একাধিক ইমেইল ব্যবহার করে। কারণ একটাই। বাংলাদেশী আইপি থেকে গুগল পে থেকে যা ইনকাম হয়, তা সত্যিই নগন্য।

ভিপিএন ব্যবহার করলে প্রতি রেফারে গুগল পে আপনাকে ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করবে। রেফার ছাড়াও আরো অনেক ভাবেই এখান থেকে ইনকাম করা যায়।

গুগল পে থেকে রেফার করে ইনকাম করার জন্য যা যা করতেই হবেঃ

  • গুগল পে এ্যাপটি ইন্সটল করে “Offers” সেকশনে যেয়ে “Invite Friends” অপশনে ক্লিক করবেন।
  • তারপর ইনভাইটেশন লিংকটি ফেসবুক, ওয়াটসএ্যাপ, এসএমএস এবং অন্যান্য প্লাটফর্মের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছে সেন্ড করুন। এতে তারা গুগল পে এ্যাপটি ডাউনলোড করতে প্রলুব্ধ হবে।
  • মনে রাখবেন, আপনাদের বন্ধুদেরকে অবশ্যই তাদের প্রথম ট্রাঞ্জেকশনের সময় আপনার ইনভাইটেশন কোডটি ব্যবহার করতে হবে। ইনভাইটেশন কোডটি দেখতে অনেকটা এমন হয়, “GH5GE” বা “JKLFR” ইত্যাদী।
  • এগুলো ঠিকঠাকমতো করলে আপনি ১৫ থেকে দেরশো টাকার মধ্যে যেকোনো একটা এ্যামাউন্ট গুগলের পক্ষ থেকে উপহার পাবেন।

RozDhan

এটি এমন একটি এ্যাপ যেখানে নিয়মিত নতুন নতুন বিনোদনমূলক কনটেন্ট আপলোড করা হয়। এখানে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, সাইন আপ করার মাধ্যমে, বন্ধুদের ইনভাইট করার মাধ্যমে, আর্টিকেল পড়া এবং শেয়ার করার মাধ্যমে, গেম খেলার মাধ্যমে এবং আরো বিভিন্নভাবে।

প্রথমেই আপনাকে এই এ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। ডাউনলোড করে ইন্সটল করার পর এ্যাকাউন্ট খুলে নিবেন। এদের এ্যাপের ইন্টারফেস খুব সহজ। বুঝতে একদমই সমস্যা হবে না।

PhonePe

এটা একটা ইন্ডিয়ান “UPI Payments App” । UPI এর অর্থ হলো Unified Payments Interface । অর্থাৎ এই এ্যাপ দিয়ে আপনি যেকোনো ধরণের অনলাইন পেমেন্ট (যেমনঃ- মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট। মানি ট্রান্সফার ইত্যাদী) করতে পারবেন।

PhonePe কে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর চেয়েও বেশি উপকারী এবং নিরাপদ হিসেবে ধরা হয়। এখানে, প্রতি রেফারেলের জন্য আপনি ১০০ টাকা বা এরচেয়েও বেশি করে পেতে পারেন।

PhonePe থেকে রেফার করে ইনকাম করার জন্য যা যা করতে হবেঃ

  • এ্যাপটি ডাউনলোড করে এ্যাকাউন্ট তৈরী করুন এবং এর সঙ্গে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট যুক্ত করুন।
  • ব্যাংক এ্যাকাউন্ট যুক্ত করার পর একটা UPI PIN ক্রিয়েট করুন।
  • এরপর, “Refer and Earn” সেকশনে যেয়ে রেফারেল লিংক কপি করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
  • আপনার বন্ধু যদি এই এ্যাপে প্রবেশ করে, তবে তার প্রতি ট্রাঞ্জেকশনের জন্য আপনি এক্সট্রা টাকা পেতে থাকবেন।

Taskbucks

এটি একটি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার এ্যাপ। এটা এ্যান্ড্রোয়েড এবং আইওএস উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই কাজ করে। এই এ্যাপে রেফারেলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের টাস্ক দেয়া থাকে। এসব টাস্ক সম্পন্ন করলেই টাকা দেয়া হয়।

এছাড়াও, এখানে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরণের কনটেস্ট আয়োজিত হয়। সেখানে বিজয়ীদের জন্য থাকে মোবাইল রিচার্জের সুবিধা।

এই এ্যাপে প্রতি রেফারের জন্য ২৫ টাকা করে দেয়া হয়।

Free Talktime

এই এ্যাপটি ফ্রিতে টকটাইম নেয়ার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি এ্যাপ। এই এ্যাপের সাহায্যে প্রতিদিনই ফ্রিতে রিচার্জ করে নেয়া যায়।

এই এ্যাপ থেকে ইনকামের জন্য আপনাকে বিভিন্ন এ্যাপ ইন্সটল করতে হবে, সার্ভেতে অংশ নিতে হবে এবং বন্ধুদের ইনভাইট করতে হবে। এসব করলে আপনাকে ওরা একধরণের টোকেন দিবে, যাকে বলা হয় ইটিটি ব্যালেন্স।

এই ইটিটি ব্যালেন্স দিয়ে আপনি পরবর্তীতে শপিং ভাউচার, মোবাইল রিচার্জ, ডিটিএইচ রিচার্জ এবং পোস্টপেইড বিল পেমেন্ট করতে পারবেন।

এই এ্যাপে প্রতি রেফারের জন্য আপনি পাবেন ১৭৫ টাকা করে। অবশ্য এটা সীমিত সময়ের জন্য কার্যকর থাকবে।

  • আপনার রেফারেল লিংক দিয়ে যদি এখানে কেউ জাস্ট আইডি খোলে, তবে আপনি পাবেন ১২ টাকা।
  • তারা যদি বিভিন্ন এ্যাপ ডাউনলোড করে টাকা ইনকাম শুরু করে, তবে আপনি পাবেন ২৩ টাকা।
  • যদি তারা ১০০ টাকা এই এ্যাপ থেকে ইনকাম করে, তবে আপনি পাবেন ৫০ টাকা।
  • পাশাপাশি, প্রতিদিনই এই এ্যাপ থেকে লাকি ইউজাররা ১১৫ টাকা করে এক্সট্রা বোনাস পায়।

mCent Browser

এটা গুগল ক্রোম, ইউসি কিংবা ফায়ারফক্সের মতোই একটি নর্মাল ব্রাউজার। কিন্তু এর বিশেষত্ব হলো, এখান থেকে আপনি অনেক রকমের রিওয়ার্ড ক্লেইম করতে পাবেন এবং সেজন্য আপনাকে জাস্ট এখানে একটা এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনার প্রিয় ওয়েবিসাইটগুলো ভিজিট করতে হবে এবং লেটেস্ট নিউজগুলো পড়তে হবে।

এসব ছাড়াও তারা কিছু টাস্ক দিবে, সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। আর, রেফারেল করে ইনকামের সুযোগ তো থাকছেই।

প্রতি রেফারের জন্য mCent Browser আপনাকে ৪০ টাকা করে উপহার দিবে। এর টাকা আপনি সরাসরি হাতেও নিতে পারবেন কিংবা চাইলে যেকোনো বিলও শোধ করতে পারবেন।

CashBoss

এই এ্যাপের সাহায্যে ফ্রিতে মোবাইল রিচার্জ নেয়া যায়। এই এ্যাপের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফিচারটা হলো, এখানে একটা লাকি ড্রয়ের ব্যবস্থা আছে। এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর পর লাকি ড্র করতে পারবেন। এই ড্রগুলোতে আপনার এক থেকে বিশ টাকা করে ইনকাম হবে।

এছাড়াও এখানে রেফারেল সিস্টেম আছে। প্রতি রেফারে তারা ১৫ টাকা করে দেয়। আপনি টাস্ক পূরণ করেও এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এখানে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কনটেস্ট লেগেই আছে, ভাগ্য ভালো থাকলে কনটেস্ট থেকেই কয়েকশো টাকা কামাই করা যাবে।

Pocket Money

এই এ্যাপটি টাকা ইনকামের অনেকগুলো রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়। যেমনঃ অনলাইনে গেম খেলে টাকা ইনকাম, ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম, এ্যাপ ডাউনলোড করে টাকা ইনকাম, রেফার করে টাকা ইনকাম ইত্যাদী।

  • রেফারেল লিংকে যেয়ে এই এ্যাপটি যদি আপনার কোনো বন্ধু জাস্ট ডাউনলোড করে রেখে দেয় এবং কিছুই না করে, তবে আপনি আপনি ৫ টাকা।
  • যদি আপনার বন্ধু এই এ্যাপ থেকে ৪০ টাকা কামায়, তবে আপনি পাবেন আরো ৫ টাকা।
  • রেফালেরের মাধ্যমে আপনি দৈনিক সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা এই এ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আয়কৃত টাকা Paytm এর মাধ্যমে তুলে নেয়া যাবে।

Cubber

এটি একটি আর্থ-সামাজিক প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক বিল থেকে শুরু করে গ্যাস বিল, ব্রডব্যান্ড বিল এবং এমনকি বাস টিকেট বুকিংও করা যায়। প্রতিটি পেমেন্টে এখানে ৫০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দেয়া হয়।

এই এ্যাপটি দ্বারা আগে শুধু বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করা গেলেও এখন টাকা ইনকামও করা যায়। রেফার করে ইনকাম করার জন্য এই এ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রতি রেফারে এখানে ৩০ টাকা করে দেয়া হয়। এদের পেমেন্ট সিস্টেম খুব আপগ্রেড। উইথড্র রিকুয়েস্টের পর ১০ মিনিটের ভেতরই টাকা চলে আসে।

এই এ্যাপেও লাকি স্পিনের ফিচার আছে। প্রতিটি স্পিনের সর্বোচ্চ পুরস্কার হলো এক হাজার টাকা।

MyTeam11

এটি অন্যতম সেরা রেফার করে ইনকাম করার একটি এ্যাপ। এই এ্যাপের দারুন লোডিং স্পীড, স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স যেকোনো মানুষকে এই এ্যাপের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।

এখানে দৈনিক নিয়ম করে একাধিক কনটেস্ট এবং গিভওয়ে দেয়া হয়। এই এ্যাপটিতে একবার প্রবেশ করলে, আপনি কোনোভাবেই এটাকে অগ্রাহ্য করতে পারবেন না।

এই এ্যাপের সাহায্যে প্রতি সপ্তাহে আপনি বেশ ভালো পরিমানে টাকা কামাতে পারবেন। প্রতি রেফারেলের জন্য আপনি এখান থেক্কে ৫০ টাকা করে পাবেন। আর আপনার দেয়া রেফারেল কোডটা ব্যবহারের জন্য আপনার বন্ধু পাবে ১০০ টাকা।

প্রথম অবস্থায় টাকার পরিমান মুখ্য মনে হলেও কিছুদিন পর এই কমিউনিটির প্রতি আপনার নিখাদ ভালোবাসা চলে আসবে এবং তখন আপনি এই এ্যাপের আসল আনন্দ অনুভব করতে পারবেন।

Google Duo

এই এ্যাপের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুবই কম আছে। কারণ নতুন মোবাইল কেনার পর ডিফল্ট ভাবেই এই এ্যাপটি পাওয়া যায়। অবশ্য, বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের অজ্ঞতার জন্য এটি ব্যবহার করে না।

যাইহোক, Google Duo এর স্পেশালিটি হলো এই এ্যাপ দিয়ে হাই কোয়ালিটির ভিডিও কল করা যায়। এছাড়াও রয়েছে ভিডিও ম্যাসেজসহ আরো অনেক সুবিধা।

অন্য যেকোনো ভিডিও কলে কথার বলার এ্যাপ (ইমো, ওয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদী) এর তুলনায় এই এ্যাপের কোয়ালিটি বেশি উন্নত।

আপনারা জেনে অবাক হবেন, এই এ্যাপটিরও রয়েছে নিজস্ব রেফারেল সিস্টেম। এই অ্যাপে প্রতিটি ইনভাইটের জন্য সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়।

রেফার করে এই এ্যাপ থেকে ইনকামের জন্য, আপনার বন্ধুকে ইনভাইটেশন লিংক দিয়ে এ্যাকাউন্ট তৈরী করাতে হবে। তারপর, সে যখন প্রথমবারের মতো এই এ্যাপের সাহায্যে কাউকে কল দিবে, তখন সে এবং আপনি গুগল পে এ্যাকাউন্টে একটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন। সেটা স্ক্র্যাচ করলে এক থেকে এক হাজার টাকার ভেতর ভাগ্যক্রমে কোনো একটা এ্যামাউন্ট নিশ্চয়ই পেয়ে যাবেন।

আমাদের শেষ কথা

এখানে বেশ অনেকগুলো এ্যাপের সঙ্গে আপনি পরিচিত হয়েছেন। যেকোনো একটি এ্যাপ ব্যবহার না করে একাধিক এ্যাপ একই সঙ্গে ব্যবহার করুন। তাহলে ইনকাম বেশি হবে। আর, প্রয়োজন অনুসারে ভিপিএন ব্যবহার করে এগুলো এ্যাপ ব্যবহার করুন।

কারণ এরা একই কাজের জন্য একেক দেশের নাগরিকদের একেক পরিমাণ টাকা পেমেন্ট করে। আপনি যেই কাজের জন্য বাংলাদেশী বা ভারতীয় হিসেবে ৫০ টাকা পাচ্ছেন, সেই একই কাজের জন্য আমেরিকার একজন পাচ্ছে ৩০০ টাকা!

তবে, বলে রাখা ভালো, রেফার করে ইনকাম করা সহজ হলেও এভাবে ইনকাম করলে আমাদের স্কিল বাড়বে না এবং আয়ও অনেক সীমিত হবে।

এছাড়াও, এসব এ্যাপ হুট করে ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার বা পেমেন্ট দেয়া অফ বা সীমিত করে দেয়ার ভয় তো আছেই। তাই, আমাদের উচিৎ নিজেদের চাহিদা এবং আগ্রহ মোতাবেক দ্রুত কোনো একটি স্কিল ডেভেলপ করে ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করা।