উন্মুক্ত ও স্বাধীন পেশা হওয়ার সুবাদে ফ্রিল্যান্সিং এখন সর্বত্র সমাদৃত। বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো আশীর্বাদ স্বরূপ, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে বাংলাদেশ।
দেশে প্রতিনিয়ত শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়লেও, বাড়ছে না কর্মসংস্থান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে ও সকলের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এ ক্ষেত্রটিতে সরকারি-বেসরকারি নানা পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়। তাই এখন চাকরির আশায় বসে না থেকে অধিকাংশ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের দেয়া তথ্য মতে, “২০১৯ সালের প্রেক্ষাপটে দেশে ৫০ হাজারের বেশি সচল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে”। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ৮ম বৃহত্তম অর্থ আয়কারী দেশ ছিলো বাংলাদেশ।
ফ্রিল্যান্সিং এ বিপুল সুযোগ সুবিধা ও সম্ভাবনার জন্য তরুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে এই সেক্টরটিতে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং সমন্বিত সব খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
আরও পড়ুন-
- অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
- অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়
- ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয় করার উপায়
আর নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। সেই সুবিধার্থে, আজকের আর্টিকেলটিতে সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
০১। আপওয়ার্ক (Upwork) (সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস)
আপওয়ার্ক সর্বাধিক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এর পূর্ব নাম ছিলো ওডেস্ক। ২০০৩ সালে গ্রিসের দুই বন্ধু, অডিসিয়াস সাতালস এবং স্ত্রাতিস কারামানলাকিস এটি তৈরি করে।
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় এক কোটির মতো ফ্রিল্যান্সার প্রতিনিয়ত এখানে কাজ করছে। এখন এই মূহুর্তেও আপওয়ার্কে চার লক্ষের উপরে কাজ রয়েছে। এখানে প্রতিটি কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য অথবা ঘন্টা হিসেবে মূল্য (অর্থ) দেওয়া হয়।
আপওয়ার্ক স্বাধীনভাবে চুক্তিবদ্ধ কাজ অফার করে। এখানে একজন ক্লায়েন্ট ও একজন ফ্রিল্যান্সার পরস্পর চুক্তি করে কাজ করে থাকেন।
এখানে প্রোফাইল বানিয়ে তারপর কাজের জন্য বিড করতে হয়। কাজ সম্পন্ন করার পর ফ্রিল্যান্সাররা যে টাকা পেয়ে থাকেন তার ২০% আপওয়ার্ক রেখে দেয় এবং ৮০% সে ব্যক্তিকে দেয়।
আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো। যেমন-
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
- প্রোগ্রামিং
- ডাটা এন্ট্রি
- এডিটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- মার্কেটিং
- এডভার্টাইজিং
- ট্রান্সলেশন
- লিডস জেনারেশন
- ভিডিও প্রোডাকশন
- আর্ট ডিরেকশন, ইত্যাদি।
আপওয়ার্কের পেমেন্ট মেথড হলোঃ- পে’পাল, পেওনিয়ার, ওয়্যার ট্রান্সফার, ইত্যাদি।
০২। ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
ফ্রিল্যান্সার বা ফ্রিল্যান্সার ডট কম হলো একটি বহুল সমাদৃত অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এখানে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রধানত তিন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে আইটি ও সফটওয়্যার সম্পর্কিত কাজ ৩৪%, স্থাপত্য, ডিজাইন, ও মিডিয়া সম্পর্কিত কাজ ৩১% এবং কন্টেন্ট / লেখালেখি সম্পর্কিত কাজ ১৩%।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে আঠারো’শ এর বেশি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির জব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ-
- ওয়েব ডিজাইন
- সফটওয়্যার আর্কিটেকচার
- সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- রিসার্চ রাইটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- এইচটিএমএল
- সিএসএস
- পাইথন
- জাভা স্ক্রিপ্ট
- পিএইচপি
- কন্টেন্ট রাইটিং
- এক্সেল
- আমাজন ওয়েব সার্ভিস
- ইলাস্ট্রেশন
- থ্রিডি মডেলিং
- ই-কমার্স
- ফটোশপ, ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমের বর্তমান পেমেন্ট মেথড হলোঃ- পেপাল, স্ক্রিল এবং ফ্রিল্যান্সার ডেবিট কার্ড।
০৩। ফাইভার (Fiverr)
অনলাইনে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর তালিকায় ফাইভারও রয়েছে। ইসরায়েলের একটি কোম্পানি ২০১০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে। এখানে সেলাররা নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে পোস্ট করে থাকে, যাকে ফাইভারের ভাষায় গিগ বলা হয়। এবং, বায়ার’রা (যারা সার্ভিস ক্রয় করে) তারা গিগগুলো থেকে পছন্দের গিগ বাছাই করে কাজ সম্পাদন করিয়ে থাকে।
আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সার এর তুলনায় এখানে প্রতিযোগিতা কম। তাই নতুনদের জন্য এটি একটি সেরা মার্কেটপ্লেস হতে পারে।
ফাইভারের সেবার পারিশ্রমিক ৫ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে সহস্রাধিক মার্কিন ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফাইভারেও অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ রয়েছে।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ চাহিদাসম্পন্ন কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ উল্লেখ করা হলো-
- লোগো ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- বুক কভার ডিজাইন
- এডিটিং ও প্রুফরিডিং
- জুয়েলারি ক্র্যাফটিং
- ভিডিও ক্রিয়েশন
- কার্টুনিস্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার
- সিভি / রিজিউম রাইটিং
- বিজনেস কন্সাল্টিং
- থ্রিডি ও টুডি মডেলিং
- প্রেজেন্টেশন, ইত্যাদি।
ফাইভারের বর্তমান পেমেন্ট মেথড হলোঃ- ক্রেডিট কার্ড, পেপাল, ফাইভার ক্রেডিটস, ইত্যাদি।
০৪। গুরু (Guru)
গুরু ডট কম ও একধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা মুক্তবাজার। এটি ফ্রিল্যান্সারদের কমিশনের ওপর কাজের অনুমোদন দিয়ে থাকে। এটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হলেও সার্বিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০১ সালের মে মাস থেকে। এখানে নির্ধারিত মূল্যে ও ঘন্টা হিসেব করে, উভয়ভাবেই প্রজেক্ট পাওয়া যায়।
এখান থেকে অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি হলোঃ- পেপাল, পেওনিয়ার, ওয়্যার ট্রান্সফার, ইত্যাদি।
গুরু’তে ২৬২২ টির মতো সেক্টরে জব অপারচুনেটি রয়েছে। এখানে অনেক ধরনের কাজ থাকলেও সবচেয়ে ডিমান্ডিং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ হচ্ছে- ডিজাইন ও আর্ট, প্রোগ্রামিং ও ডেভেলপমেন্ট এবং রাইটিং ও ট্রান্সলেশন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হচ্ছে-
প্রোগ্রামিং ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগ সমূহের মধ্যে
- এন্ড্রয়েড অ্যাপ
- আইওএস অ্যাপ
- এইচটিএমএল
- সি প্রোগ্রামিং
- জাভা
- জাভা স্ক্রিপ্ট
- পিএইচপি
- পাইথন
- ওয়ার্ডপ্রেস
- কাস্টম ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ইত্যাদি।
ডিজাইন ও আর্ট সংশ্লিষ্ট কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- গ্রাফিক ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- ইলাস্ট্রেশন,
- এডোবি ইলাস্টেশন
- ডিজিটাল আর্ট
- থ্রিডি মডেলিং
- মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট
- এডোবি ফটোশপ
- ভিডিও এডিটিং
- ফটোগ্রাফ
- টি-শার্ট ডিজাইন, ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন সংশ্লিষ্ট কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- ট্রান্সলেশন
- কন্টেন্ট / আর্টিকেল রাইটিং
- ক্রিয়েটিভ রাইটিং
- কপিরাইটিং
- প্রুফরিডিং
- ইংলিশ / ফ্রেঞ্চ / স্প্যানিশ / জার্মান / চাইনিজ, ইত্যাদি ট্রান্সলেশন
- ই-বুক রাইটিং
- মেডিকেল রাইটিং
- কন্টেন্ট ম্যানেজিং, ইত্যাদি।
০৫। পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
পিপল পার আওয়ার যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটিও বেশ জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
এখানে ক্লায়েন্টরা জব পোস্ট করে ও ফ্রিল্যান্সাররা আবেদন করে। ক্লায়েন্ট পছন্দমতো যেকোনো একজন ফ্রিল্যান্সারকে সিলেক্ট করে থাকেন এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি উভয়ের থেকে অল্প কিছু ফি নিয়ে থাকে।
এটি কিছুটা আপওয়ার্কের মতো। এখানে ক্লায়েন্টের সংখ্যাই ১.২ মিলিয়ন! বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে প্রতিনিয়ত কাজ করে থাকে।
এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। যেমনঃ- টেকনোলজি এন্ড প্রোগ্রামিং, রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন, ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এন্ড ফটো,মিউজিক এন্ড অডিও, মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং এন্ড সেল, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি।
এই ক্যাটাগরি গুলোর আবার বিভিন্ন সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন-
টেকনোলজি এন্ড প্রোগ্রামিং এ রয়েছে-
- প্রোগ্রামিং এন্ড কোডিং
- ডাটা সাইন্স এন্ড অ্যানালাইসিস
- ডেটাবেজ ফ্রিল্যান্সার
- সফটওয়্যার টেস্টিং ফ্রিল্যান্সার
- ইমেইল টেমপ্লেট ডেভেলপমেন্ট
- সিএমএস ডেভলপমেন্ট
- ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- গেইম ডেভলপমেন্ট
- ই-কমার্স সিএমএস ডেভলপমেন্ট, ইত্যাদি।
রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন এ আছে-
- রিজিউম / সিভি এন্ড কভার লেটার
- ক্রিয়েটিভ রাইটিং
- ট্রান্সক্রিপসনিস্ট
- কন্টেন্ট রাইটিং
- টেকনিক্যাল রাইটিং
- বিজনেস রাইটিং
- কপিরাইটিং
- রিসার্চ রাইটিং
- প্রুফরিডিং
- বিভিন্ন ভাষা থেকে ইংলিশ এ ট্রান্সলেশন, ইত্যাদি।
ডিজাইন সংশ্লিষ্ট কাজসমূহ হচ্ছে-
- গ্রাফিক ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- বুক এন্ড ম্যাগাজিন ডিজাইন
- কার্ডস এন্ড স্ট্যাশনারি ডিজাইন
- ইলাস্ট্রেশন এন্ড ড্রয়িং
- কার্টুন এন্ড কমিক্স ডিজাইন
- অ্যানিমেশন
- ফ্যাশন এন্ড ক্লোথিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ইন্টেরিয়র এন্ড এক্সটেরিয়র ডিজাইন
- থ্রিডি ডিজাইন
- কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন
- পোস্টার ডিজাইন
- ব্যানার ডিজাইন
- ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন
- প্রেজেন্টেশন ডিজাইন, ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আছে-
- এসইও অ্যানালাইসিস এক্সপার্ট
- এসইও অডিট এক্সপার্ট
- গুগল র্যাংকিং এক্সপার্ট
- ইউটিউব এসইও এক্সপার্ট
- এসইও কি-ওয়ার্ড রিসার্চ
- গেস্ট পোস্টিং, ইত্যাদি।
ভিডিও এন্ড ফটোস বিভাগে আছে-
- প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফি
- ফটোজার্নালিজম
- ভিডিওগ্রাফি
- ইমেজ এডিটিং, ইত্যাদি।
মিউজিক এন্ড অডিওতে আছে-
- পডকাস্ট ফ্রিল্যান্সিং
- ডিজে ফ্রিল্যান্সিং
- অডিওবুক ফ্রিল্যান্সিং
- ভয়েসওভার ফ্রিল্যান্সিং
- মিউজিক কম্পোজার
- মিউজিক প্রডিউসিং
- মিউজিক রাইটিং অডিও এন্ড সাউন্ড এডিটরস, ইত্যাদি।
মার্কেটিং / ব্রান্ডিং এন্ড সেলসে আছে-
- সেলস এন্ড কলস ফ্রিল্যান্সিং
- ব্র্যান্ডিং
- ডিরেক্ট মার্কেটিং
- ইভেন্ট ম্যানেজিং
- এক্সিবিশন মার্কেটিং, ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এ আছে-
- সোশাল মিডিয়া মনিটরিং
- বুকমার্কিং
- অ্যানালাইসিস
- কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট
- ফেইসবুক / ইন্সট্রাগ্রাম / ইউটিউব / লিংকডইন / টুইটার ইত্যাদি মার্কেটিং।
পিপল পার আওয়ারে উল্লেখিত ক্যাটাগরি এবং সাব ক্যাটাগরিগুলো সর্বোচ্চ চাহিদা সম্পন্ন কাজ। পেপাল, পেওনিয়ার অথবা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে এখান থেকে পেমেন্ট নেওয়া যাবে।
সম্পাদকের বাছাই-