এসইও করে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় : সহজ সংক্ষিপ্ত গাইডলাইন

এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ব্লগিং জগতে একটি ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সফল হতে হলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে- ব্লগে প্রচুর সংখ্যক অর্গানিক ভিজিটর বা দর্শক এর উপস্থিতি। অর্গানিক ভিজিটর হচ্ছে সেই সমস্ত ভিজিটর যাদের আগমন ঘটে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন- গুগল, বিং প্রভৃতি মাধ্যমে সার্চ করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা SERP’s এর সার্চ রেজাল্টের লিংক অনুসরণ করার বদৌলতে। আমাদের আজকের আলোচনায় এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বলা হয়ে থেকে- দর্শক হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। অর্থাৎ, যে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বা কন্টেন্ট পড়ার জন্য ভিজিটর এর উপস্থিতি খুবই কম বা নগণ্য; সেই ওয়েবসাইট সচল রেখে সফলতার স্পর্শ পাবার আশা করা দূরাশা মাত্র।

আর এ কারণেই প্রয়োজন হয় ব্লগ বা ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) করার। আসুন জানা যাক- সহজভাবে এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ কি কি?

সূচীপত্র

এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

যথাযথভাবে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা এসইও (SEO) করা হলে এর বিভিন্ন আর্টিকেল বা কন্টেন্টকে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই সার্চ ইঞ্জিন (যেমন- গুগল, বিং,) গুলোর রেজাল্ট পেজ (SERP’s) এর প্রথম পাতায় তুলে আনা সম্ভব হয়।

এতে করে ঐ ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিনের রেফারেন্স এর বদৌলতে প্রচুর সংখ্যক অর্গানিক ভিজিটর এর সমাগম ঘটে। যাদের পুঁজি করে পরবর্তীতে একজন ব্লগার গুগল অ্যাডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো কৌশল প্রয়োগ করে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন।

ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা

আপনার ব্লগ তৈরি করার উদ্দেশ্য যদি অনলাইনে আয় করা হয়ে থাকে তবে ব্লগে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ ভালোভাবে রপ্ত করে প্রচুর সংখ্যক অর্গানিক ভিজিটরের সমাগম নিশ্চিত করতে হবে।

কেননা যত বেশী সংখ্যক ভিজিটর থাকবে, আপনি যদি ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে ভিজিটর বেশী হলে অ্যাডসেন্স অ্যাডে ক্লিক পড়বে বেশী। ফলশ্রুতিতে আপনার ব্লগ তৈরি করে আয় করার পরিমাণটাও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

অন্যদিকে, আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু অনুযায়ী সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা হলে অধিক হারে টার্গেটেট অর্গানিক ভিজিটরের সমাবেশ হবার কারণে ব্লগে প্রমোট করা অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট অনেক বেশী সংখ্যক দর্শক টানতে সক্ষম হবে।

যার বদৌলতে আপনি একটু কৌশল খাটিয়ে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টকে প্রোমোট করতে সক্ষম হলে ব্লগের অর্গানিক ভিজিটরদের খুব সহজেই ক্রেতাতে রূপান্তর করতে পারবেন। এতে করে যেমন আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টের বিক্রি বৃদ্ধি পাবে, ঠিক তেমনি করে আপনার অনলাইনে আয় করার পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন-

ব্লগে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ব্লগে এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় যদি জানতে চান তবে একটি কথাই বলব- সবার আগে আপনার ওয়েবসাইটিতে সঠিকভাবে অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা অনপেজ এসইও (SEO) করে নিন।

প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা হলে গুগল বা বিং সেই ওয়েবসাইট বা ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে স্থান দিয়ে থাকে।

১। ওয়েবসাইটের ট্যাকনিক্যাল এসইও সঠিকভাবে করা হলে।

২। যথার্থভাবে অনপেজ এসইও (On-page SEO) করা হলে।

৩। অফপেজ অপ্টিমাইজেশন করে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ব্যাকলিংক তৈরি করা সম্ভব হলে।

ট্যাকনিক্যাল এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

(এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম)


ট্যাকনিক্যাল এসইও অর্থ হচ্ছে ওয়েবসাইটের কারিগরি দিকগুলোর যত্ন নেয়া।

আপনার ওয়েবসাইটটের সার্ভার লোডিং স্পিড এবং পেজ লোডিং স্পিড যেন দ্রতগতির হয় সে দিকটি লক্ষ্য রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে- আপনার ওয়েবসাইটটি যেন একটি মানসম্মত ও দ্রুতগতির ওয়েব হোস্টিং সার্ভারে হোস্ট করা হয়ে থাকে।

আপনি যদি অল্প টাকায় সাশ্রয়ী মূল্যের ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ দেখে প্রলুব্ধ হয়ে তা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি হোস্ট করার জন্য নির্বাচন করে থাকেন তবে অনেকক্ষেত্রেই প্রতারিত হতে পারেন।

এছাড়া স্লো সার্ভার স্পিডের কম মূল্যের ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার করে সাধারণত যে ধরণের রিসোর্স ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন; তাতে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিডকে দেবে শামুকের গতি। এতে করে আপনার সাইটটি কোন ভাবেই গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সুনজরে আসতে পারবেন না।

কেননা, ২০২১ সালে এসে গুগল ও অন্যান্য  সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের সার্চ রেজাল্ট পেজের প্রথম পাতায় স্থান পাবার প্রধান শর্ত হিসেবে ওয়েবসাইট লোডিং স্পিডকে বিশেষভাবে বিবেচনা করছে।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন- একটি ওয়েবসাইটে এসইও করে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুতগতির করার গুরুত্ব কতটুকু।

আপনার ওয়েবসাইটটি কতটুকু দ্রুতগতিতে লোড হচ্ছে তা পরিমাপের জন্য গুগলের PageSpeed Insights, Pingdom Tools অথবা GTmetrics ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়েবসাইটের সার্ভার ও পেজ লোডিং স্পিড বাড়ানোর উপায়

(ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে বর্তমানে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় বিষয়)

সর্বপ্রথম এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে- আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট হোস্ট করতে হবে একটি মানসম্মত ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডারদের সরবরাহকৃত ওয়েব সার্ভারে। এক্ষেত্রে আপনার যদি ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড থাকে তবে Hostinger অথবা Clowdways থেকে ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ নিতে পারেন।

অন্যথায়, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ExonHost অথবা XeonBD থেকেও প্রফেশনাল ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করি তাদের সার্ভিস আপনাকে হতাশ করবে না।

ওয়েবসাইটের ওয়েবপেজ লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য আরও যা করতে হবে-

আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটি ভালো ক্যাচিং প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর ক্যাচিং প্লাগইন হচ্ছে- WP Rocket (Premium Plugin)।

সম্ভব হলে এই প্লাগটি প্রকৃত ডেভালপারদের কাছ থেকে কিনে ব্যবহার করবেন। এতে করে সত্যিকার অর্থেই আপনার সাইটটি রকেটের গতিতে (অন্য প্লাগইনগুলোর সাথে তুলনার জন্য বলা) লোড হবে। ফলাফলস্বরূপ খুব অল্প দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্টসমূহ সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে (SERP’s) ভালো Rank করতে সক্ষম হবে।

আপনি যদি প্রিমিয়াম প্লাগইন ব্যবহার করার জন্য টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক না হয়ে থাকেন তবে ওয়েব সার্ভারের ধরণ অনুযায়ী LiteSpeed Cache (আপনার ওয়েব সার্ভারে LiteSpeed Web Server ব্যবহার করা হলে এই ক্যাচিংটি ব্যবহার করতে পারবেন) অথবা W3 Total Cache ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

সঠিকভাবে এই ক্যাচিং প্লাগইনগুলো ব্যবহার করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটটি নিশ্চিতভাবেই অনেকটা দ্রুতগতিতে লোড হবে।

এছাড়া ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য আরও যে সকল প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন-

Autoptimize : CSS, JavaScript এবং HTML কোড অপ্টিমাইজেশনের জন্য Best SEO Plugins.

WP-Optimize : বিশেষ করে Database এবং Image Optimization এর জন্য কার্যকর।

Imagify : ইমেজ অপ্টিমাইজেশনের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে কার্যকর Best Image Optimization Plugins.

সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় এসইও প্লাগইনস (Best SEO Plugins)

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাগইনটি হচ্ছে- Rank Math SEO

এছাড়া অন্যান্য জনপ্রিয় এসইও প্লাগইনস সমূহ হচ্ছে- Yoast SEO এবং All-In-One SEO।

ব্লগের কোন কারগরি অথবা সিকিউরিটি বিষয়ক ত্রুটি থাকলে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

ব্লগের থিম যেন মানসম্পন্ন, দ্রুতগতির এবং ত্রুটিমুক্ত হয় এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি অর্থাৎ যেকোন ডিভাইসে সঠিকভাবে সাইটকে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয় সেই দিকটি নিশ্চিত করবেন।

অনপেজ অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করবেন (How to do On-page SEO)?


সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে অল্প প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্মূক্ষীন হবে এমন একটি লং টেইল কিওয়ার্ড বাছাই করে সেই কিওয়ার্ড অনুযায়ী আর্টিকেল তৈরি করে প্রকাশ করা উচিত।

আপনি এই কাজটি প্রতিটি আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগেই করে নিতে পারলে ভালো হয়। কেননা এতে করে আপনার আর্টিকেলটি কম প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্মুক্ষীণ হবে এবং সহজেই গুগলের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ এর প্রথম পাতায় স্থান দখল করে নিতে পারবে।

আপনার বাছাই করা কিওয়ার্ডটি আর্টিকেল এর টাইটেল এবং ইউআরএল এর মধ্যে অবশ্যই রাখবেন।

আর্টিকেল এর প্রথম, মাঝামাঝি ও শেষের ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে কিওয়ার্ডটি সঠিকভাবে বসাবেন।

আপনার লেখার বিষয়বস্তুকে হেডিং ট্যাগ (h1 – h6) দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিবেন যাতে করে দর্শকরা প্রতিটি হেডিং একনজর পড়েই বুঝতে পারে উক্ত হেডিং এর পরবর্তী অনুচ্ছেদে কি বিষয়ে লেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

অনপেজ এসইও – ২০২৪ সালে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় স্থান করে নেয়ার প্রধান উপায়

অনপেজ এসইও করার জন্য লিংক বিল্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা

(এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম)

ব্লগের বিভিন্ন পোস্টের মধ্যে সঠিকভাবে লিংক বিল্ডিং করা প্রয়োজন। এই লিংক বিল্ডিং করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিটি লিংক আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়ে।

কোথাও কোন ব্রোকেন লিংক থাকলে সেগুলো অবশ্যই খুঁজে বের করে মুছে ফেলবেন বা সঠিক পোস্টের দিকে পুনরায় লিংক স্থাপন করে দেবেন।

সঠিকভাবে ইমেজ অপ্টিমাইজেশন (Image Optimization) করে নিন

ইমেজ অপ্টিমাইজেশন করার অর্থ হচ্ছে ব্লগে ব্যবহৃত ইমেজসমূহকে যতটা সম্ভব হালকা অর্থাৎ দ্রুত লোড করতে সক্ষম এমন সাইজের করার পর ব্যবহার করা। প্রতিটি ইমেজ এর মধ্যে অল্ট ট্যাগ (alt tag) ব্যবহার করা।

অফপেজ এসইও করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (Off-page SEO Techniques)


সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর পরিভাষায় অফপেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের দর্শকপ্রিয়তা ও ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য নিজের ওয়েবসাইটের বাইরে অন্য কোন মাধ্যমে যেমন- অন্যান্য ওয়েবসাইট, সোস্যাল মিডিয়া সাইট, ফোরাম, বুকমার্কিং সাইট প্রভৃতি মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের দিকে নির্দেশ করা লিংক বিল্ডিং।

ব্লগে অফপেজ এসইও করে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় বা কৌশলসমূহ

  • নিজের নয় এমন কোন ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্টিং করার মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
  • বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে নিজের ওয়েবসাইটের পোস্ট শেয়ার করা।
  • জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তর সাইট (যেমন- ক্বোরা, ইয়াহু অ্যানসার্স) এবং বুকমার্ক লিস্টিং সাইটে লিংক বিল্ডিং।
  • ইমেইল ও এসএমএস মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের প্রচার করা; তথা আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল এর লিংক ইমেইল বা এসএমএস এর মাধ্যমে টার্গেটেট অডিয়েন্স এর কাছে প্রেরণ করা।
  • পেইড অ্যাডভারটাইজমেন্ট, যথা- গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস প্রভৃতি অ্যাড সার্ভিস ব্যবহার করে দ্রুত পেইড ভিজিটর এর সমাহার ঘটিয়ে করে তাদের মানসম্মত কন্টেন্ট বা সেবার সাথে পরিচিতি করে দেয়া ও ধরে রাখার চেষ্টা করা।
  • সরাসরি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ভিজিটর বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা ও তাদের আপনার ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটর হিসেবে ধরে রাখার চেষ্টা করা।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহের মধ্যে খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি : ব্যাকলিংক তৈরি

বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনসমূহ লিংক বিল্ডিংকে যথেষ্ঠ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। বিশেষ করে, হাই অথরিটি যুক্ত ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের দিকে নির্দেশ করা ডু-ফলো লিংক বা ব্যাকলিংক যত বেশি পাওয়া যাবে; আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের কাছে তত বেশী অর্থবহ ও মানসম্মত বলে বিবেচিত হবে।

আপনার প্রতিটি আর্টিকেলের মধ্যে বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হাই অথরিটিযুক্ত অন্য কোন ওয়েবসাইটে ডু-ফলো এবং নো ফলো লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন।

তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন- যে ওয়েবসাইটের লিংক দিচ্ছেন সেটি যেন অবশ্যই গুগলের দৃষ্টিতে গুণে ও মানে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সমপর্যায়ের বা তার চাইতে বেশী মানসম্পন্ন ও দর্শকপ্রিয় হয়।

এক্ষেত্রে লিংকি বিল্ডিং এর আগেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন টুলস যেমন SEMrush বা Ahref ব্যবহার করে সেই ওয়েবসাইটের DA অর্থাৎ ডোমেইন অথরিটির মান নিশ্চিত হবেন। শুধুমাত্র হাই ডোমেইন অথরিটি যুক্ত ওয়েবসাইটকেই ডু-ফলো লিংক দেবেন। অন্যথায় নো-ফলো লিংক দেয়াটাই নিরাপদ।

এতে করে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে আপনার আর্টিকেলের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন এসইও বিশেষজ্ঞ এই তথ্যটির সত্যতার বহু প্রমাণ পেয়েছেন।

যাদের নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট আছে এবং দীর্ঘদিন যাবত প্রচুর সংখ্যক ভালো ভালো আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করার পরও ভিজিটর বা দর্শক সংকটে ভুগছেন তাদের জন্য অবশ্যই পড়ার মতো একটি আর্টিকেল।

এছাড়া ব্লগিং জগতে নতুনদেরও প্রচুর কাজে আসতে পারে এমন কিছু বিষয় নিয়ে পরবর্তী আর্টিকেলে কিছু লেখার ইচ্ছে নিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীতে সময় ও সুযোগ হলে একটিবার অন্তত আমাদের এই ব্লগটিতে চোখ বুলিয়ে যেতে ভুলবেন না যেন।