অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় খুঁজছেন? ঘরে বসেই অনলাইনে আয় করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার লক্ষ্য একদম ঠিক আছে। শুধু প্রয়োজন একটি সঠিক গাইডলাইনের।
অনলাইনে আয় করার শত শত উপায়ের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট ও লাভজনক পদ্ধতি কোনটি জানেন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং! আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
তাছাড়া, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের পদ্ধতি কিন্তু খুব একটা কঠিনও নয়। ধরুণ, আপনি কোন কোম্পানির পণ্যগুলোর অনলাইন প্রচারনা করলেন। আপনার মাধ্যমে তাদের পণ্যগুলো পৌঁছে গেল গ্রাহকের কাছে। তাহলেই, আপনি পেয়ে যাচ্ছেন কোম্পানির পক্ষ থেকে কমিশন। আর ঘরে বসেই আয় করে নিচ্ছেন অনেক টাকা।
তবে অ্যামাজন অ্যাফিলিটিয়েট মার্কেটিংয়ের যেমন আছে জনপ্রিয়তা, তেমন বাড়ছে কম্পিটিশন। এজন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনলাইনে আয় করার জন্য দরকার সঠিক দিক-নির্দেশনা। তাই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় ও খুটিঁনাটি সব তথ্য গুলো জেনে নিন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে৷
আরও পড়ুন-
- অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়
- ছাত্র জীবনে অনলাইনে আয় করার উপায়
- ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে মূলত বোঝানো হয় কোন প্রোডাক্ট এর প্রচারনা করা এবং কমিশনের শর্তে গ্রাহকদের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়া। আর এই প্রমোশনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে কোম্পানির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন গ্রহণ করার মাধ্যমেই সাধারণত অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রটি তৈরি হয় ।
এক্ষেত্রে আপনার কাজটি হচ্ছে- অনলাইন প্লাটফর্ম অর্থাৎ যে মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টটি প্রমোট করবেন সেই প্লাটফর্মে নিয়মিত ট্টাফিক, দর্শক বা ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করা।
পরবর্তীতে নিয়মিত পর্যাপ্ত সংখ্যক ভিজিটরের উপস্থিতি হতে থাকলে বিশ্বস্ত কোন কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট বাছাই করে তাদের ঐ পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনার প্রচার মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা।
আপনি ইচ্ছে করলে সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের নিয়মিত ভিজিটরদের থেকেই ওই পন্যের ক্রেতা খুঁজে নিতে পারবেন। অথবা, কিছু টাকা খরচ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে প্রমোশন যোগ্য পণ্যের তথ্য সমৃদ্ধ লেখা, রিভিউ প্রভৃতি প্রকাশ করে সেই লেখা এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে দর্শকের দৃষ্টিসীমায় নিয়ে আসতে পারেন।
এতে করে আপনার প্রমোট করা পণ্যের প্রতি দর্শকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে। ফলশ্রুতিতে অ্যাফিলিয়েট সেলস যেমন বাড়বে; তেমনি আপনিও আয় করতে পারবেন প্রচুর টাকা। এবং, তা নিয়মিতই বটে!
অ্যামজনে আপনার নির্বাচিত প্লাটফর্মে শেয়ার করা অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে যে কেউ পণ্য ক্রয় করলেই কমিশন চলে যাবে আপনার একাউন্টে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যাক্তিরাও কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে বেশ প্রাধান্য দিচ্ছেন।
কেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা লাভজনক?
আপনি কিংবা আমি, যে কেউ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে একটা বিষয়ে অবশ্যই ক্লিয়ার থাকা প্রয়োজন। তা হল, কেন আমি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবো? সবার আগে কেন অ্যামাজনই প্রাধান্য পাচ্ছে?
আপনি জানেন কি? বর্তমানে প্রায় ২ কোটি লোক অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাথে যুক্ত। হয়ত তারা অ্যামাজনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করেছে, নয়ত অ্যামাজন থেকে পণ্য কিনেছে কিংবা অ্যামাজন ওয়েবসাইটে মাসে কমপক্ষে একবার হলেও ভিজিট করেছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে হলে এমনই একটি প্লাটফর্ম দরকার যেটির আছে বিশ্বস্ততা, আর যেখানে আছে প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ। তাই অ্যামাজনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোনো সংকোচের সুযোগ নেই।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার নিশ্চিত উপায়
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং মোটেও কোনো কঠিন বিষয় না। কাজের ধরন বুঝে যদি সঠিকভাবে শুরু করা যায় তাহলে নিঃসন্দেহে ভাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে নিয়ে পারবেন।
তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক-
কিভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যায়?
ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে একটি ট্রাফিক সোর্স। এখানেই আপনি অ্যাফিলিয়েট এর লিংক শেয়ার বা প্রমোট করবেন। এজন্য প্রাথমিকভাবে আপনার দরকার হবে কিছু মূলধনের; যা দিয়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করবেন।
আপনার যদি একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট না থাকে, তবে অ্যামাজনে অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হওয়া খুব কঠিন হবে।
তাছাড়া, আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইনে এমন কিছু টুলস ব্যবহার করুন যা আপনার ভিজিটরদের আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে। আপনার যদি ওয়েব ডিজাইনিং দক্ষতা না থাকে, প্রয়োজনে প্রফেশনাল ডিজাইনার হায়ার করে নিতে পারেন।
অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে নিরানব্বই শতাংশই তৈরি করা হয় নিজস্ব ডোমেইন ও হোস্টিং দিয়ে। কারণ, এতে খুব সহজে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করা যায়।
তাই আপনাকে বিশ্বস্ত ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং সিলেকশন শেষে ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা অন্য প্লাটফর্ম বা সিএমএস ব্লগ তৈরি করুন।
ব্লগটি যেহেতু টাকা আয় করার জন্য তৈরি করা হচ্ছে সেহেতু প্লাটফর্ম ও ডোমেইন এ প্রাথমিক ব্যয়টা খুবই দরকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা পেতে চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার কোনো বিকল্প নেই। আপনার অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটের কন্টেন্টদের প্রতি ভিজিটরদের আকৃষ্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোর লিংক আপনার সাইটে অবশ্যই যুক্ত করবেন। এরপর ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সমূহকে নিয়মিত টুইটার, ফেসবুক, বা লিংকডইনে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর ও ব্যাকলিংক সংখ্যা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া দুর্দান্তভাবে কাজ করবে।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য এপ্লাই করার সঠিক সময়
কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি যত ভাল হবে, দিন দিন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্ট তত বেশি র্যাংক করবে। আপনি যখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে ভাল এমাউন্টের ভিজিটর আসা শুরু করেছে, ঠিক তখনই অ্যামাজন এফিলিয়েট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
এজন্য অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট গিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এতে করে আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টটি সাময়িকভাবে একটিভ হয়ে যাবে।
আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোট করার প্লাটফর্ম অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল লিংক সেখানে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ যেখানে যেখানে এফিলিয়েট লিংকটি শেয়ার করবেন সেগুলোর প্রোফাইল লিংক দিয়ে দিতে হবে।
অ্যামাজনের সাথে যুক্ত হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আছে। যেমন: একাউন্ট করার ৯০ দিনের মাঝে ৩টি সেল জেনারেট করতে হবে। যদি ৯০ দিনের মাঝে ৩টি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে না পারেন তবে আপনার সাময়িকভাবে একটিভ হওয়া একাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেটেট হয়ে যাবে।
এছাড়াও অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য আপানকে অ্যামাজনের আরও বেশ কিছু শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সঠিকভাবে সব শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আশা করা যায় খুব দ্রুতই আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টটি এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করার উপায়
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর এপ্রুভাল পাওয়ার পরই লিংক তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য একাউন্ট ক্রিয়েট হবার পর-
- পার্সোনাল অ্যাসোসিয়েট হোমপেজ এ চলে যাবেন৷
- পারফরম্যান্সের ড্যাশবোর্ড, ইনকাম ওভারভিউ, টোটাল ক্লিক সহ আরো তথ্য থাকবে। এখানেই আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংকের জন্য পণ্য খুজঁবেন।
- প্রোডাক্ট লিংকিং এ প্রবেশ করে যে পণ্যের এফিলিয়েট লিংক তৈরি করবেন সেটির ASIN কোড টাইপ করুন। (এটি আপনি প্রোডাক্ট ডিটেইলস অপশনে খুঁজে পাবেন)
- এরপর Go বাটনে ক্লিক করুন।
- সবশেষে Get Link এ ক্লিক করলেই লিংক পেয়ে যাবেন৷
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েটে কিভাবে পেমেন্ট করা হয়
অ্যামাজন তাদের অ্যাসোসিয়েটদের ডিরেক্ট ডিপোজিট, পেওনিয়ার, ক্রেডিট কার্ড, পেপাল প্রভৃতি মাধ্যমে পেমেন্ট করে। বাংলাদেশ থেকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করতে চাইলে আপনি খুব সহজেই অ্যামাজনে জমা কমিশন বা অ্যাফিলিয়েট ইনকাম পেওনিয়ার এর মাধ্যমে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
তবে অ্যামাজন গিফট কার্ড বা ই মেইল এর মাধ্যমে চেক নেওয়ার অপশনও রয়েছে।
কিভাবে কাজ করলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি টাকা আয় করা যায়?
নিশ বাছাই
সঠিক নিশ বাছাই করতে না জানলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সেক্টরে পিছিয়েই থাকতে হবে। তাই আপনাকে একটি নিশ বাছাই করতে হবে যেটির যাথেষ্ট ডিমান্ড আছে।
এছাড়াও টপিক এমন হবে যা নিয়ে আপনি লিখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। চাইলে অভিজ্ঞ কারো সাহায্যে কন্টেন্ট লিখিয়ে নিতে পারেন।
কোয়ালিটি কন্টেন্ট
কোয়ালিটি কন্টেন্ট ছাড়া কখনোই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েটে ভাল করতে পারবেন না। আপনার কন্টেন্ট বা আর্টিকেল যে প্রোডাক্টেরই হোক না কেন, আপনাকে অবশ্যই এমন কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে যা মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পড়বে ও পড়ার পর প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হবে৷ সর্বোপরি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে অ্যামাজনের সাইটে প্রবেশ করে সেখান থেকে তাদের পছন্দনীয় পণ্যটি কিনবে।
সঠিক প্রচারণা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মূলধন হলো প্রচারণা। সঠিকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যত বেশি লোকের কাছে কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে পারবেন, তত বেশি আয় করা সম্ভব হবে।
তবে সঠিক প্রচারনা বলতে- সঠিক শ্রেণির ভিজিটরকে টার্গেট করে তাদের উদ্দেশ্যে করা প্রচার ব্যবস্থাকেই বুঝায়।
তাই, হয় আপনি যেসব প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেসব পণ্যে আগ্রহী ভিজিটর বাড়াবেন। এটা করার জন্য সবচাইতে ভালো হয়; আপনি যে পণ্যটির প্রচার করবেন, সেই পণ্যটি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্যে সমৃদ্ধ করে আর্টিকেল অথবা রিভিউ প্রকাশ করার মাধ্যমে ভিজিটরদের আগ্রহ তৈরি করার ব্যবস্থা করা।
নয়ত, আপনার ভিজিটরদের এক্টিভিটি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তাদের আগ্রহ বুঝে সেসব পন্যের প্রচারনা করুন।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি বিষয় জানতে হবে
ধরে নিন, আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করবেন। সেই লক্ষ্যে অনেক টাকা খরচ করে অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোট করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। ওয়েবসাইটে বেশ কিছু প্রোডাক্ট কেন্দ্রিক রিভিউ আর্টিকেলও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সেই আর্টিকেল পড়ার জন্য যদি ভিজিটর না আসে তবে বিক্রিটা করবেন কাকে?
আর এ কারণেই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হবার জন্য SEO সম্পর্কে অল্প বিস্তর ধারণা ধারণা থাকা প্রয়োজন। কেননা, বর্তমান তীব্র প্রতিযোগীতামূলক বাজারে একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেল সমূহকে সঠিকভাবে এসইও করা না হলে সেই আর্টিকেলগুলোর গুগলের প্রথম পাতায় স্থান পাবার সম্ভাবনা খুবই কম।
অন্যদিকে আর্টিকেলসমূহকে যদি যথার্থভাবে SEO করার মাধ্যমে প্রথম পাতার প্রথম তিনটি রেজাল্টের মধ্যে নিয়ে আসা যায়; তবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর যেমন উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঠিক তেমনি, অ্যাফিলিয়েট সেলস ও সেই অনুপাতে বাড়তে থাকবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো ইংরেজি ভাষাজ্ঞান। আপনি যদি নির্ভুল ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে সক্ষম না হয়ে থাকেন তবে আর্টিকেল প্রতি টাকা পেমেন্ট করে কন্টেন্ট / আর্টিকেল আউটসোর্স করতে হবে। এতে আপনার ইনভেস্টমেন্ট ব্যয় পড়ে যাবে অনেকটাই বেশি।
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য কতটা সময় দিতে হতে পারে?
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার ডলার আয় করার মতো দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। এতে করে পরবর্তীতে আশাহত হতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে হলে আপনাকে এর যথেষ্ঠ সময় দিতে হবে। অভিজ্ঞজনদের মতে- অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট থেকে ৩০০ – ৫০০ ডলার প্রতি মাসে আয় করার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা করে সর্বনিম্ন ১ বছর সময় হাতে নিয়ে কাজে নামা উচিত।
সাধারণত, একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রথম অ্যাফিলিয়েট সেলস আসতে ৩ – ৪ মাস সময়ের প্রয়োজন হয়। এরপর ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তীতে আপনার মার্কেটিং কৌশল, নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করা প্রভৃতি Activities চলতে থাকলে ৬ – ৮ মাসের মধ্যে নিয়মিত প্রতি মাসে ৩০০ – ৫০০ ডলার আয় করাও সম্ভব হবে।
— শেষকথা —
অনলাইনে আয় করা যদি হয় আপানর স্বপ্ন, তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য হতে পারে দারুণ একটি সুযোগ। তাই, আমাদের দেয়া অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়গুলো ফলো করুন।
সঠিকভাবে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে কন্টেন্ট এর মান ধরে রাখতে পারলে নিঃসন্দেহে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক অনেক প্যাসিভ ইনকাম।
অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কার্যকর নিশে সাইট তৈরি ও আর্টিকেল লেখার বিস্তারিত গাইডলাইন প্রয়োজন হলে এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।