ব্লগিং এর সাথে যুক্ত প্রতিটি ব্লগার গুগল সার্চের প্রথম পাতায় নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে দেখতে ইচ্ছুক থাকেন সবসময়। গুগল সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য তাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। আপনি কি গুগল সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি করার প্রধান শর্তগুলো জানতে ইচ্ছুক? তবে, এই লেখাটি হতে পারে আপনার জন্য একটি অসাধারণ গাইডলাইন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটির মধ্যে অনপেজ এসইও করে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ প্রয়োগ করে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় স্থান করে নেয়ার প্রধান পদ্ধতি সম্পর্কে সহজ ভাষায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিটি ওয়েবমাস্টারই তাদের ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করেন। অর্থাৎ, সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে আরও বেশী প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চান। ব্যবসায়ী মাত্রই তাঁর ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন। তাতে বিচিত্র কি। তবে সেটি সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে হলে সবার জন্যই ভালো হয়।
একটা সময়ে ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশান এবং লোক-ঠকানোর মাঝে পার্থক্যটি প্রায় উঠেই গিয়েছিল। কিওয়ার্ড স্টাফিং বা পেজের যত্রতত্র কিওয়ার্ড গুঁজে দেওয়া, রোবট বানিয়ে হাজারে হাজারে ব্যাকলিংকিং ইত্যাদির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে একটি তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছিলেন একদল অপরিণামদর্শী ওয়েবমাস্টার।
গুগল এরপর তাদের এলগরিদামগুলোকে আরও শাণিত করে তুলল। ফলাফলে গুগলের প্রথম পাতায় স্থান পাওয়ার বিভিন্ন প্রেক্ষিতগুলো পাল্টে যেতে থাকে। গুগলের এলগরিদমগুলো এখন এমন সব বিষয়কে মুখ্য বিবেচনা করে যেগুলিকে আগের চালাকিগুলোর মাধ্যমে ফাঁকি দিতে পারবেন না ওয়েবমাস্টাররা।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর আলোচনাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। অন-পেজ এসইও এবং অফ-পেজ এসইও।
আরও পড়ুন –
আজকের আলোচনা অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান নিয়ে। খুব সরল করে বললে, SERPs বা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজগুলোতে একটি নির্দিষ্টি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্ট এর অবস্থানের উন্নতি বা অবনতি করার জন্য যা কিছু করা হয় সেটিই অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা On-Page SEO (অনপেজ এসইও)।
অনপেজ এসইও কি?
সার্চ ইঞ্জিন বলতে তো গুগলই, তাই না? সুতরাং, গুগল তার সাম্প্রতিককালীন পেজ র্যাংকিংয়ে ওয়েবপেজের যে গুণগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে সেগুলো অর্জন করাই অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান।
একদিক থেকে দেখলে, অনপেজ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান হচ্ছে ওয়েবসাইটের ব্যবসায়িক দিকটি নিয়ে আপনার পরিকল্পনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জরুরী ধাপ।
আপনার ওয়েবসাইটের ‘নিশ’ বা মূলভাব ও বিষয় সমন্ধে একটি স্থির ও স্পষ্ট ধারণা রাখা, কিওয়ার্ড রিসার্চ এই সবই অনপেজ অপ্টিমাইজেশান এর পর্যায়ে পরে।
অনপেজ অপ্টিমাইজেশান একটি চমৎকার বিষয়। কারণ, সমস্তটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিছু নিয়ম ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই সার্চ ইঞ্জিনগুলোর চোখে আপনার ওয়েবসাইটের মান বাড়বে।
যে কিওয়ার্ড বা কিওয়ার্ডগুলোর অনুপ্রেরণায় আপনি সাইটটি নির্মাণ করেছেন সেটির সাপেক্ষে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে আপনার ওয়েবসাইট। এবং সেটিও লোকাল এবং মোবাইল সার্চ রেজাল্টগুলোর বেলাতে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইট নির্মাণের উদ্দেশ্য মনে করুন স্থানীয় বাজারে পিজা বিক্রী করা। আপনার সাইটের যদি অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান ঠিকমত করতে পারেন, তাহলে শহরের লোকরা তাদের মোবাইলে পিজা শব্দটি লিখে সার্চ দিলেই রেজাল্টের প্রথম দিকে আপনার পিজা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানটির নাম দেখতে পাবেন।
ইন্টারনেটে ব্যবসা করেন এমন অনেকেই ভাবেন যে, অনপেজ অপ্টিমাইজেশান করে গুগলের ক্ষেত্রে কতটুকু লাভবান হওয়া যায়। তারা ভাবেন কিওয়ার্ড স্টাফিং করেই উৎরে যেতে পারবেন। এটি খুব সেকেলে ভাবনা।
বর্তমানে গুগল তাদের এলগরিদমকে অনেক পরিবর্তন করেছে। গুগলের এলগরিদাম এখন খোঁজে “ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজের” পোস্ট। অর্থাৎ যেগুলি শুধুমাত্র গাদাখানিক কিওয়ার্ডকে একজায়গায় একত্রীকরণ নয়। বরঞ্চ, প্রকৃতই পাঠককে মাথায় রেখে কোন লেখক লিখেছেন, এমন কিছু।
গুগলের এলগরিদাম আরেকটি জিনিস খুঁজে – টার্গেটেড কন্টেন্ট। অর্থাৎ, সার্চকারী ব্যাক্তিটির সাপেক্ষে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক ওয়েব কন্টেন্ট সে রেজাল্টে দেখাতে চায়। এমতাবস্থায়, অনপেজ অপ্টিমাইজেশান গুরুত্ব অসম্ভব রকমের বেশী।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান করতে চাচ্ছেন, ওরফে গুগলের র্যাঙ্কিঙে এগিয়ে থাকতে চাচ্ছেন, এমন যে কোন ওয়েবমাস্টারকে তার “অন-পেজ” বিষয়ে গুগলের সাম্প্রতিকতম মানদন্ডগুলোতে উত্তীর্ণ হতেই হবে।
আসুন দেখে নেয়া যাক, কি কি গুণ অর্জনের মাধ্যমে আপনি অনপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান যথার্থভাবে করতে পারবেন।
মানসম্পন্ন কন্টেন্ট : অনপেজ এসইও করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর প্রধান উপায়
গুগল খুঁজছে উচ্চ মান সম্পন্ন কন্টেন্ট। এমন কন্টেন্ট যেটি সার্চ বাক্সে লিখিত জিজ্ঞাসাগুলোর সাথে প্রাসঙ্গিক। আপনার ওয়েবপেজের ভাষার ব্যবহারকে যাচাই করবে গুগল। সার্চ বাক্সের যে জিজ্ঞাসাটির হেতু, আপনার সাইট গুগল দেখছে, সেটির সাথে সম্পর্কিত শব্দ এবং শব্দগুচ্ছ খুঁজবে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে। বলতে পারেন, সাইটের মূলভাবের সাথে সম্পর্কিত শব্দকে খুঁজবে গুগল।
আপনার পেজগুলো যত দীর্ঘ হয় তত ভালো। জনপ্রিয় কিওয়ার্ডগুলোর সাপেক্ষে গুগলের প্রথম পাতায় যে রেজাল্টগুলো আসে, সেখানে অধিকাংশ আর্টিকেলই দেখবেন দুই হাজার শব্দের, বা তার অধিক।
মাঝখানে যদি ছবি আর ভিডিও থাকে, তাহলে তো আরও ভালো। ভিজিটরদের আকর্ষণ ও মনযোগ অনেকক্ষণ তাহলে আপনার পেজে ধরে রাখা যায়। আপনার পেজের ডিজাইনকেও বিবেচনায় নেবে গুগল।
প্রথমেই একজন ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করেই সাইটটিকে কেমন দেখতে পায় – এই জিনিসটিকেও গুগল খুব গুরূত্ব দেয়।
আসলে, গুগল, তার একজন ব্যবহারকারীর অবস্থান থেকে আপনার সাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করে। আর ব্যবহারকারী যেন সন্তুষ্ট থাকেন সেটিই গুগলের কাছে প্রধানতম বিষয়।
আপনার ওয়েবপেজ যদি এমন হয় যে, ভেতরে ঢুকলেই গাদাখানিক বিজ্ঞাপনের ভীড়ের মাঝে দু’তিনটে ইতস্তত অতি স্বল্প পরিমাণ কন্টেন্ট উঁকি দিচ্ছে, তাহলে গুগল সেটিকে কেমন পেজ বিবেচনা করবে সেটি ওপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা।
প্রাসঙ্গিক লেখা-
ওয়েবপেজ লোড হতে কিরকম সময় লাগে : স্পীড অপ্টিমাইজেশন (Speed Optimization)
বর্তমান যুগটি ব্যাস্ততার। অনলাইন তো আরও ব্যস্ত। করোনায় যখন সব স্থবির হয়েছিল, তখনও পূর্ণ প্রতাপে গতিময় ছিল অনলাইন। এখানে কেউই একটি পেজ লোড হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে রাজী নন। আপনার পেজ লোড হতে যদি তিন সেকেন্ড বা তার বেশী সময় লেগে যায়, সম্ভাবনা প্রবল যে ভিজিটররা বসে থাকবেন না। তারা “ব্যাক বাটন” এ ক্লিক করবেন।
গবেষণায় দেখা যায়, একজন সাধারণ ওয়েব ব্যবহারকারী কোন কিছুর প্রতি সেকেন্ড খানিকের বেশী মনযোগ দেন না।
ইউটিউবের এ্যাডও দেখবেন, বাধ্যতামূলক অংশটুকু চার কি পাঁচ সেকেন্ডের বেশী নয়। সুতরাং, আপনার ওয়েব পেজকে দ্রুত লোড করাতে হবে। শ্লথ গতির একটি পেজকে গুগল সরাসরি হয়তো খারাপ বিবেচনা করে না। কিন্তু ভিজিটরদের প্রতিক্রিয়া একটি মূল বিষয় হয়ে দাড়ায়।
সার্চকারী যদি গুগল থেকে এসে থাকেন, তাহলে ধীর লয়ে পেজ লোড হওয়া দেখে তিনি বিরক্ত হবেন। তারা হয়তো ব্যাক বাটনে ক্লিক করে গুগলের রেজাল্টের পাতায় ফিরে যাবেন আবারও।
গুগল তখন দেখবে যে আপনার পেজের “বাউন্স” এবং “এক্সিট” রেটগুলো ঋণাত্নক। অর্থাৎ, ভিজিটর অসন্তুষ্ট। আর আপনার ভিজিটর, মানে গুগলের ব্যবহারকারী অসন্তুষ্ট অর্থ – গুগলও অসন্তুষ্ট।
ওয়েবপেজে ঐ ওয়েবসাইটেরই অন্য পেজগুলোর লিংক বা ইন্টারনাল লিংকি বিল্ডিং (On-page Link Building)
উইকিপিডিয়া সবাই কমবেশী ব্যবহার করেন। উইকিপিডিয়ায় গেলেই তাদের পেজগুলোতে অসংখ্য ইন্টারনাল লিংকিং দেখতে পাবেন। ইন্টারনাল লিংকের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটের একটি পেজ থেকে ঐ ওয়েবসাইটেরই অন্য একটি পেজে যাওয়া যায়।
এক্সটারনাল লিংকের সাথে একে মিলিয়ে ফেলবেন না আবার। এক্সটারনাল লিংক আপনার সাইটে আগমনকারীকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ইন্টারনাল লিংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইটের অতিথিকে আপনার সাইট ঘুরে বেড়াতে সাহায্য করা।
ধরুন, কোন ইউজার উইকিপিডিয়ার একটি পেজ পড়ছে। এমন একটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছের মুখোমুখি তিনি হলেন, যেই বিষয়টি তার জানা নেই। বা এমন হতে পারে বিষয়টি সমন্ধে তিনি আরও জানতে চান। ইন্টারনাল লিংক দিয়ে উইকিপিডিয়া সেই ব্যবস্থা করে রেখেছে।
তাছাড়া ইন্টারনাল লিংকগুলো আপনার ওয়েবসাইটকে পূর্ণরূপে ইনডেক্সিং করতেও সাহায্য করে গুগলকে।
বাউন্স রেট (Bounce Rate)
পেজ লোডিং-এর আলোচনায় বাউন্স রেটের কথা একবার উল্লেখ করা হয়েছিল। একজন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে একটি লিংকে ক্লিক করলেন। তারপর ব্যক বাটন চেপে রেজাল্ট পেজে ফিরে আসলেন – এই ঘটনাকেই “বাউন্স” বলে।
ফিরে যাওয়ার ব্যপারটি যত দ্রুত ঘটে ততই আপনার পেজের জন্য অমঙ্গলজনক। কারণ, গুগল বুঝতে পারে ভিজিটর আপনার সাইট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না।
একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক। ধরুন একজন ভিজিটর গুগলের সার্চ বাক্সে লিখলেন, “ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা”। রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো ফলাফল আসল। একদম প্রথমটাতেই ক্লিক করলেন ভিজিটর।
মনে করুন, ঐ পেজে করোনার চিকিৎসা খুঁজে পেলেন না। তারা ব্রাউজারের ব্যাক বাটন ক্লিক করে গুগলে ফিরে আসলেন। এরপর তারা রেজাল্ট পেজের নীচে নামতে থাকবেন। আরও লিংকে ক্লিক করতে থাকবেন। খুঁজবেন কোথায় আছে তাদের প্রশ্নের উত্তর।
এর থেকে গুগল কি ধারণা পেল প্রথম পেজটি সমন্ধে?
গুগল জানল, ভিজিটর তার কাঙ্ক্ষিত তথ্যটি ঐ পেজে পাননি। গুগল জানবে, কারণ সে সার্চ রেজাল্টে ফিরে এসে সার্চটির একটি পুনরাবৃত্তি করবে। বা বলতে পারেন, পরিশোধিত করবে। যদি পৃথিবী জুড়ে বহু সংখ্যক মানুষ নির্দিষ্ট একটি শব্দগুচ্ছ কে অনুসন্ধান করে, এবং তাদের মাঝে একটি অস্বাভাবিক রকমের বড় শতাংশই ঐ সার্চ-টার্মের জন্য গুগলের এক নম্বর র্যাংক দেয়া পেজটি থেকে বাউন্স করেন, তাহলে গুগল কি করবে বুঝতেই পারছেন নিশ্চই।
তাদের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে, ঐ সার্চ-টার্মের প্রেক্ষিতে সেই পেজটির অবস্থান গুগল যে কমিয়ে দেবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, এত মানুষ যদি তাদের গুগল অনুসন্ধানে ঐ পেজটির কারণে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে আর এক নম্বরে রেখে লাভ কি?
ভিজিটর কতক্ষণ আপনার পেজ বা সাইটে অবস্থান করলেন?
ওয়েবপেজগুলোতে ভিজিটররা কতক্ষণ অবস্থান করছেন সেটিকে পর্যবেক্ষণ করে গুগল। এই কাজটি সে করে “গুগল এনলাইটিক্স” এর মাধ্যমে। গুগল এনালাইটিক্স একটি ফ্রিমিয়াম সার্ভিস। অর্থাৎ বিনামূল্যে প্রদত্ত সেবা। ওয়েবসাইট মালিকরা এই সেবা ব্যবহার করে তাদের সাইটের বিবিধ প্রকার তথ্যকে যাচাই ও বিশ্লেষণ করতে পারেন। গুগল এনালাইটিক্স আপনার সাইটের ট্র্যাফিক সমন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে এবং গুগলের কাছে রিপোর্ট করে।
ফ্রি সার্ভিস বিধায়, বহু ওয়েবমাস্টারই তাদের সাইটে গুগল এনালাইটিক্স ইন্সটল করে থাকেন। এর ফলে আপনার সাইটে ভিজিটর আসা যাওয়া নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করতে পারে গুগল। গুগল অনেক কিছুই বিবেচনা করে এখানে। যেমন,
- ভিজিটর সাইটে কতক্ষণ কাটালেন?
- অনলাইনের কোন পথে ভিজিটর আপনার সাইটে আসলেন?
- আপনার সাইটের কতগুলি পেজে তারা ভিজিট করলেন?
- ভিজিটরগণ কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলেন?
- তাদের স্ক্রীণ রিজোলুশান কি রকম ছিল?
- কোন ডিভাইস থেকে আপনার সাইট দেখছেন তারা?
কোন সাইটে এনালাইটিক্স ইন্সটল করা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। গুগলের ‘ক্রোম’ অত্যান্ত জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ওয়েব-ব্রাউজার। ওটা দিয়েও ভিজিটরদের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে গুগল।
এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখলেই একজন ওয়েবমাস্টার সফল ভাবে অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটটি সামগ্রিক ভাবে একটি সফল ওয়েবসাইটে পরিণত হবে। মানুষ উপকৃত হবে; আপনিও সততার সাথে ব্যবসা করার বিশুদ্ধ আনন্দটি পাবেন।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন –