মেনস্ট্রুয়াল কাপ কি? কিভাবে ব্যবহার করবেন?

মেনস্ট্রুয়াল কাপ নারীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। প্রতিটি মাসে নিদিষ্ট কিছু দিনের জন্য এটা ব্যবহৃত হয়। আজকের লেখায় মেনস্ট্রুয়াল কাপ কি? Menstrual Cups কেন, কখন এবং কিভাবে ব্যবহার করা যায়; সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিটি মাসের নিদিষ্ট কিছু দিন বললেই আমরা পিরিয়ড বুঝি। পিরিয়ডস মানে মহিলাদের কাছে একটি ঝামেলা। পিরিয়ডস এর দিনগুলি অনেক অস্বস্তির মধ্যে কাটাতে হয়।

দৈনন্দিন সমস্ত কাজ যেমন- হাঁটাচলা থেকে শুরু করে, দৌড়াদৌড়ি, সাইকেল চালানো সব কিছুতেই অস্বস্তিবোধ হয়।

এমনকি কনফিডেন্স পাওয়া যায় না কাজের মধ্যে। বর্তমানে আমাদের জীবন অনেক বেশী আধুনিক ও গতিশীল হয়ে উঠেছে। ফলশ্রুতিতে এই পিরিয়ডকালীন সময়েও আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে শরীর চর্চা, দৌড়াদৌড়ি, ছুটাছুটি করতেই হয়।

এই সব কাজ ঝামেলামুক্তভাবে ও স্বতস্ফূর্তভাবে করার জন্য পরিয়ড সমস্যার একটি সমাধান হলো মেনস্ট্রুয়াল কাপ। আমরা অনেক মেয়েই মেনস্ট্রুয়াল কাপ সম্পর্কে জানি। আবার অনেকেই হয়তোবা জানিনা। কখনও নামও শুনেনি এমন মেয়েদের সংখ্যাও কম নয়।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ মূলত ঋতুচক্রের সময় স্যানিটারি ন্যাকপিন ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেই- কেন এবং কিভাবে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা হয়?

আরও পড়ুন-

মেনস্ট্রুয়াল কাপ কি? কেন ও কিভাবে ব্যবহার করা হয়? (What is Menstrual Cup and How to use it?)

মেনস্ট্রুয়াল কাপ হল সিলিকন ল্যাটেক্স রাবার দিয়ে তৈরি ফানেলের আকৃতির একটি ফেমিনিন হাইজিন ডিভাইস। মেনস্ট্রুয়াল কাপ আসলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বা ট্যাম্পল এর বিকল্প একটি বস্তু। এটি পিরিয়ডের সময় ব্যবহার করা হয়।

যেহেতু এটি ফানেলের আকারে তাই এটি দেখতে কিছুটা ঘণ্টার মতো দেখা যায়।

আসুন জেনে নেই-

মেনস্ট্রুয়াল কাপ কিভাবে ব্যবহার করা যায়?

প্রথমেই জেনেছি, মেনস্ট্রুয়াল কাপ মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় ব্যবহৃত হয়। এটি প্রধানত যোনিতে প্রবেশ করাতে হয়। এইভাবে ব্যবহার করার কারনে অনেকে অনেক ভয় পেয়ে থাকে। যারা অবিবাহিত তারা আরো বেশী ভয় পেয়ে থাকে।

বস্তুটি কিভাবে যোনিতে প্রবেশ করানো হয় কিংবা ব্যথা লাগতে পারে কিনা বা কোন সাইড ইফেক্ট আছে কিনা.. এমনকি লিক করে জামা কাপড়ের দাগ লাগতে পারে কিনা? এই ধরণের আশংকাই সাধারণত প্রতিটি ক্ষেত্রে মনে আসে।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করার উপায়

প্রথমে আপনাদেরকে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে পরিষ্কার পানি দিয়ে। এমনভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে হাত থেকে জীবাণু সংক্রমণ না ঘটে। এমনকি সাবানের ফেনাও হাতে না থাকে।

যেহেতু ঋতুস্রাবের সময় জীবাণু সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে সেহেতু ভালো করেই পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক।

তারপর মেনস্ট্রুয়াল কাপটি জীবাণুমুক্ত কারার পালা। মেনস্ট্রুয়াল কাপটি প্যাকেট থেকে বের করে কাপটিকে ১৫ মিনিট ধরে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।

জীবাণুমুক্ত না হলে সংক্রমনের আশঙ্কা থাকবে। তাই খেয়াল রাখতে হবে কাপটি ভালোভাবে ফুটানো হয়েছে কি না।

এরপর, আপনার সুবিধামতো উবু হয়ে বসে বা বাথরুমে বসে যেভাবে আপনার সুবিধা হয় সেভাবে আপনি মেনস্ট্রুয়াল কাপটিকে যোনির মুখে প্রবেশ করাবেন।

মেন্সট্রুয়াল কাপটি যোনিতে প্রবেশ এর সুবিধার জন্য একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন।

তারপর কাপটিকে যোনিতে প্রবেশ করানোর জন্য কাপের মুখটিকে প্রথমে আঙ্গুল দিয়ে চেপে সি বা ইউ শেপের মত করে নিতে হবে। কিংবা কাপের মুখটিকে আঙ্গুল দিয়ে চেপে পেছনদিকে টেনে মুখটি সরু করেও আপনারা এটিকে যোনিতে প্রবেশ করাতে পারেন।

সবসময় আপনাকে মনে রাখবেন মেনস্ট্রুয়াল কাপটি কখনোই সোজা করে প্রবেশ করাবেন না। এতে আপনার শিরদাঁড়ার সমস্যা হতে পারে। এইজন্য মেনস্ট্রুয়াল কাপ প্রবেশের সময় অবশ্যই হাঁটু গেঁড়ে বসে বা উবু হয়ে বসে কাপ কিছুটা কাত করে নিয়ে যোনিতে প্রবেশ করাতে হবে।

এইভাবে খুব সহজেই আপনি মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার পরতে পারবেন।

আমাদের সবার শারীরিক গঠন আলাদা। তাই যদি আপনার মনে হয় কাপের নিচের স্টেমটি অতিরিক্ত হয়ে গেছে তবে আপনি স্টেম টিকে কেটে ছোট করে দিতে পারেন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপটি খুলবেন কিভাবে এই নিয়েও অনেকের প্রশ্ন থাকে.. তাই না?

কাপটি খোলার সময় আঙ্গুল দিয়ে চেপে যোনিতে প্রবেশ করানোর পর আঙুল সরিয়ে দিলেই একটি পপ শব্দে কাপটি খুলে যাবে। তখন এই শব্দটি শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন কাপের মুখটি সঠিকভাবে খুলে গেছে এবং সার্ভিক্সের ওয়ালে এটি ফিট হয়ে গেছে।

তারপরও যদি আপনার মনে হয় কাপের মুখটি সঠিকভাবে খোলেনি তাহলে আঙ্গুল দিয়ে একটু একটু করে ঘুরিয়ে দিলেই কাপের মুখ খুলে যাবে।

কাপটি যখন মনে হবে সঠিকভাবে খুলতে পারছেন না, তখন আপনার সুবিধা মতো দাঁড়াবেন কিংবা বসবেন। এরপর তলপেটে একটু চাপ দিলে স্টেমটি বেরিয়ে আসবে এবং আঙ্গুল দিয়ে স্টিমটি চেপে ধরে হাল্কা ঘোরালেই কাপটি আস্তে আস্তে বাইরে বেরিয়ে আসবে।

এরপর কাপটি ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন। পরবর্তিতে ব্যবহার করার জন্য গরম পানি বা জল দিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।

পুনরায় মেনস্ট্রুয়াল কাপ প্রবেশের জন্য আপনাকে আগে রিলাক্স হতে হবে। এবং আপনার পেশী গুলিকে রিলাক্স করতে হবে। ভয় পাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ কতটা সময় ব্যবহার করা যায়? কত মাস পর্যন্ত ব্যবহার করবেন?

এমন প্রশ্ন ও আমাদের অনেকের মনে আসে.. তাই না..?

ঋতুকালে মেনস্ট্রুয়াল কাপটি সাধারণত ১২ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই ক্ষেএে আপনার রক্তের ফ্লো যদি বেশি হয় তবে যদি ১২ ঘণ্টার আগেই আপনার কাপটি ভরে গেছে বলে মনে হয় তবে আপনি কাপটি বের করে সাধারণ পানিতে ধুয়ে নিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি পরিষ্কার এবং যত্ন করে ব্যবহার করলে একটি কাপ আপনি কম করে হলেও ৮-১০ বছর ব্যবহার করতে পারবেন।

আসুন জেনে নেই-

কেন মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করবো? কেন ই বা প্যাড ব্যবহার করবো না.. মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের সুবিধা কি?

মেনস্ট্রুয়াল কাপ এর অনেক সুবিধে রয়েছে। মেনস্ট্রুয়াল কাপ একবার কিনলেই সেটি বহুদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

মহিলারা ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারী ন্যাপকিন বা টেম্পল ব্যবহার করে থাকেন। তো এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পল এর পরিবর্তে মহিলারা মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে পারেন।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ আসলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বা ট্যাম্পল এর বিকল্প একটি বস্তু। এটি স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পল এর তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক।

স্যানিটারি প্যাডের মতো মেনস্ট্রুয়াল কাপ মাসিকের ব্লাড শুষে নেয় না, বরং এটি কাপের মধ্যে রক্ত স্টোর করে বা জমিয়ে রাখে। যদি হেভি ফ্লো চলে তখন নির্দিষ্ট সময় পরপর এই কাপটি বের করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

কিন্তু প্যাডের মতো বার বার পাল্টানোর প্রয়োজন হয় না। মাসিকের সময় একজন নারীর দিনে গড়ে ২৫-৩০ মিলি ঋতুস্রাব হয়। আর কাপের ফানেলে জমা হতে পারে প্রায় ৬০ মিলি রক্ত!

বুঝতেই পারছেন, এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোনো ইরিটেশন বা অস্বস্তি ছাড়াই পিরিয়ডের রক্ত জমিয়ে রাখতে পারে।

ঠিকঠাকমতো ব্যবহার ও সংরক্ষণ করলে একটি কাপ আপনি ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চালাতে পারবেন। মেনস্ট্রুয়াল কাপে অন্যান্য স্যানিটারী ন্যাপকিন অথবা ট্যাম্পলএর মত জীবাণু সংক্রমণের কোন আশঙ্কা থাকে না।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ পড়ে নিলে আপনি টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। এটি পড়ে নিলে আপনি সচ্ছন্দে হাঁটাচলা করতে পারবেন। এমনকি নাচ এবং সাঁতারও কাটতে পারবেন।

অন্যান্য স্যানিটারি ন্যাপকিন অথবা ট্যাম্পল এর মত মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয় না। এটি আপনারা জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে এর জন্য তেমন অর্থ ব্যয় হয়ই না বলতে পারেন। ওয়ানটাইম ইনভেসমেন্ট।

অর্থাৎ, মেনস্ট্রুয়াল কাপ এর উপকারিতা অনেক বেশি অন্যান্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের তুলনায়। মেনস্ট্রুয়াল কাপ মহিলাদের ঋতুস্রাবের ওই পাঁচটি দিনকে আর সহজ, সুন্দর ও স্বাভাবিক করে তুলেছে অন্যান্য দিনের মতোই।

মেনুস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করার ফলে আপনার সময় এবং টাকা দুটোই বাচবে। এমনকি কোনো বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এতে কোনো কেমিক্যাল বা সিন্থেটিক উপকরণ ব্যবহার করা হয় না।

ব্যাকটেরিয়াঘটিত যৌনাঙ্গব্যধি হওয়ার ঝুঁকি নেই। তবে নির্দিষ্ট সময় পরপর কাপ বার করে স্টেরিলাইজ বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

সবথেকে বড় কথা হল, এটি ব্যবহারের ফলে আপনি ভুলেই যাবেন যে আপনার ঋতুস্রাব চলছে। বারবার প্যাড বদলানোর ঝামেলা নেই, কাপড়ে দাগ লাগার ভয় নেই। জার্নি বা ভ্রমণেও শান্তিতে থাকা যায়।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের অসুবিধা কি?

ইদানিং মেনস্ট্রুয়াল কাপের জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়লেও নারীদের মধ্যে রয়েছে এই কাপ ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার অভাব.. এমন তথ্য এসেছে পর্যালোচনা প্রতিবেদনে।

সেখানে বলা হয়েছে, মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার নিয়ে সাধারণত কিছুটা ভয়-ভীতি কাজ করে নারীদের মধ্যে। এই কাপ যোনির ভেতরে প্রবেশ করাতে হয় বলে অল্পবয়সী মেয়ে ও অবিবাহিত মেয়েরা মেনুস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে চায় না।

প্রথমবার ব্যবহারের সময় এটা পড়তে বা খুলতে একটু অসুবিধা হতে পারে। আগেই বলেছিলাম যে, জরায়ুতে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে এটা ব্যবহার না করাই ভালো।

আবার যেহেতু পিরিয়ড ব্লাড এই কাপে জমা থাকে, আপনি নিজে সেটা বের করে ধুয়ে ফেলছেন। আপনার যদি এটাতে কোনো অস্বস্তি না থাকে, তাহলে মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারে আর কোনো সমস্যাই নেই!

কাপ আবার প্রবেশ করানো ও বের করার সময় প্রদাহ, রক্তের দাগ কাপড়ে লেগে যাওয়া নিয়েও অস্বস্তিতে ভোগে অনেক মেয়েরা। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এ কাপ ব্যবহারে এসব সমস্যায় পড়ার ঘটনা খুবই বিরল।

ল্যানসেটের নিবন্ধ বলছে, মেনস্ট্রুয়াল কাপের ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই। বরং এই কাপ সুরক্ষিত এবং যে কোনো বয়সের মেয়েরাই এটা ব্যবহার করতে পারবে।

১৩টি গবেষণার ফলে দেখা গেছে, এ কাপ একবার ব্যবহার করে ফলে, অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর ৭০ শতাংশ নারীই এটি নিয়মিত ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছেন।

এমন কি প্রায় তিনশ নারীর ওপর চালানো চারটি গবেষণায় প্যাড অথবা টেম্পুনের সঙ্গে মেনস্ট্রুয়াল কাপের ধারণ ক্ষমতা ও চুইয়ে পড়ার প্রবণতা মিলিয়ে দেখেছেন গবেষকরা।

তিনটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেম্পুন ও প্যাড থেকে রক্ত চুইয়ে পড়ার সম্ভাবনা যতটুকু থাকে তা মেনস্ট্রুয়াল কাপের ক্ষেত্রেও তা একই রকম। বরং একটি গবেষণায় কাপের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরও কম পাওয়া গেছে । এর ফলে কাপড়ে দাগ লাগার ভয়ও থাকে কম।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা জানার জন্য ব্যবহারকারী একজন তার অভিজ্ঞতায় জানিয়েছিলো (৩১) পিরিয়ডের সময় এ কাপ ব্যবহার করেন গত ১০ বছর ধরে।

তিনি বলেন, “হাতের কাছে বেসিন আর পরিষ্কার পানি না থাকলে এ কাপ ব্যবহার করা কিছুটা ঝামেলার বলে মনে হতে পারে। তবে খরচ আর পরিবেশের সুরক্ষার বিষয় আমলে নিলে সেসব ঝামেলা কিছুই না।”

তিনি আরো বলেন-

“মেনস্ট্রুয়াল কাপ এমন স্বাভাবিকভাবে শরীরের সঙ্গে মিলে যায় যে বাড়তি কিছু আছে বলে মনেই হয় না। আমি সবাইকে এটা ব্যবহার করতে বলব। বিশেষ করে এই সময় যখন আমরা পরিবেশ নিয়ে সচেতন হচ্ছি, তখন এ কাপ অবশ্যই করের আওতামুক্ত রাখা উচিত।”

বিঃদ্রঃ মেনস্ট্রুয়াল কাপ যোনিপথে প্রবেশ করাতে হয় তাই অবিবাহিত মেয়েরা এটি ব্যবহার করতে অসুবিধা বোধ করতে পারে। কিন্তু এই কাপ সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তাই সব বয়সের মেয়েরাই ব্যবহার করতে পারে নিশ্চিন্তে!

অবশ্যই অস্বস্তিকর লাগলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন। পিরিয়ড কোনো রোগ বা লুকোচুরির বিষয় নয়! সময় বদলাচ্ছে, আগের থেকে এখনকার নারীদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ছে।

পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মেনস্ট্রুয়াল কাপ হতে পারে আপনার সব সমস্যার সমাধান। জানুন, বুঝার চেষ্টার করুন ও সুরক্ষিত থাকুন।

প্রাসঙ্গিক লেখাসমূহ পড়ে দেখতে পারেন-