শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ : শাড়িতে হয়ে উঠুন অনন্য-অপরূপা!

বাঙালি নারীদের কাছে উৎসব মানেই শাড়ি। আর শাড়ি মানেই নারীর অপরূপ সৌন্দর্যের অভিনব প্রকাশ! শাড়ি পড়ার কথা যখন ভেবেছেন তখন সব দিক নজর রেখে একটা পরিপূর্ণ সাজ হলে কেমন হয়! আজ তবে জেনে নিন শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ সম্পর্কে দারুন সব টিপস্।

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ কেমন হওয়া উচিত?

আপনার পড়নের শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ কেমন হবে তা নির্ভর করবে ৩ টি বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে বিষয়গুলো কিন্তু মানতে হবে ধারাবাহিক ভাবেই।

  1. উপলক্ষ্য
  2. অনুষ্ঠানের সময়
  3. ব্যাক্তিগত প্রাধান্য

উপলক্ষ্য

শাড়ির সাঁজে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে উপলক্ষ্য। উপলক্ষ্য অনুযায়ী সাজটা মানিয়ে নিতে পারলে আপনার শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ যেমন হবে নজরকাড়া তেমনি আপনার কনফিডেন্সও থাকবে ষোলআনাই।

বিয়ের অনুষ্ঠানে শাড়ির সাজ হতে হবে জমকালো বা মাঝারি ধরণের। জন্মদিনে হতে পারে জমকালো, মাঝারি, হালকা যেকোন সাজ। অফিস পার্টিতে সাজটা একটু ছিমছাম হওয়াই ভালো।

অনুষ্ঠানের সময়

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ রাখতে উপলক্ষ্যের পর বিবেচনা করতে হবে অনুষ্ঠানের সময়।

অনুষ্ঠান সকাল সকাল হলে সাজ হতে হবে মাঝারি বা হালকা ধরণের। সকালের স্নিগ্ধতায় মাঝারি সাজ আপনার শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এ ফুটিয়ে তুলবে নান্দনিক সৌন্দর্য! আবার হালকা সাজেও বেশ ভালো মানিয়ে যাবে আপনাকে।

দুপুরের চড়া তাপমাত্রায় শাড়ির সাজ কিছুটা হালকা হলেই মঙ্গল। এক্ষেত্রে ন্যুড মেকআপ (নো মেকআপ লুক) করাটাই বেস্ট হবে। সারাদিনের অনুষ্ঠানেও শাড়ির সাথে মানানসই সাজ হিসেবে সবচেয়ে মানানসই হবে ন্যুড মেকআপ।

রাতের অনুষ্ঠানে, আর্টিফেসিয়াল আলো-আঁধারিতে জমকালো শাড়ির সাথে মানানসই সাজ আপনাকে করে তুলবে সবচেয়ে আলাদা।

ব্যাক্তিগত প্রাধান্য

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ রাখতে উপলক্ষ্য এবং অনুষ্ঠানের সময়ের পর বিবেচনায় রাখুন আপনার ব্যাক্তিগত প্রাধান্য।শাড়ির ক্ষেত্রে আপনি সিল্ক, তাঁত, শিফন বা সুতির মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন; সেইসঙ্গে শাড়ির রঙ বা নকশা কেমন হবে সেটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করবে।

আবার শাড়ির সাজে মেকআপ বা গহনা কেমন হবে সেটাও নির্ভর করবে আপনার নিজস্ব পছন্দের ওপর।

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ

শাড়ির সাজ সম্পূর্ণ করতে হয় অনেক পরিকল্পনা ও তোড়জোড়ের সঙ্গে। এক্ষেত্রে সাজে পূর্ণতা আনতে শুধু একটি বা দুটি নয় মাথায় রাখতে হয় বেশ কয়েকটি বিষয়।

  1. ম্যাচিং ব্লাউজ
  2. মেকআপ
  3. হেয়ার স্টাইল / হিজাব
  4. গহনা
  5. জুতা
  6. ব্যাগ/বটুয়া

শাড়ির সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ

আজকাল শাড়ির সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ পিসও দেওয়া থাকে। তবে আপনি চাইলে অন্য কোন ব্লাউজ পিসের সাথেও শাড়ির কম্বিনেশন করে নিতে পারেন।

শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন কন্ট্রাস্ট ব্লাউজ। বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী শাড়ি যদি হয় জমকালো তবে ব্লাউজ পিস রাখতে হবে প্লেইন, সাদাসিধে। সেইসঙ্গে রঙটাও হতে হবে হালকা। আবার শাড়ি সাদামাটা ধরণের হলে ব্লাউজ পিস হতে হবে ডিজাইন ও রঙে বেশ খানিকটা জমকালো। এক্ষেত্রে কালার কম্বিনেশনটা আপনি নিজের ইচ্ছেমতো করে নিতে পারেন।

শাড়ি ব্লাউজ কম্বিনেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে-

মেকআপ

গর্জিয়াস শাড়িতে মেকআপ একেবারে ছিমছাম হলে চলবে না। আবার সাদামাটা শাড়িতে রাজকীয় মেকআপ একদমই বেমানান লাগবে। এজন্য মেকওভার করা উচিত শাড়ির ধরণ বুঝে। তবে মেকআপটা মাঝারি পর্যায়ের হলে যেকোন শাড়ির সাথেই ভালো মানাবে।

শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এ বেস মেকআপটা হতে হবে পারফেক্ট। এজন্য তাড়াহুড়ো না করে বেশ খানিকটা সময় নিয়েই মেকআপ করা উচিত।

এখানে প্রাধান্য পাবে চোখ অথবা ঠোঁটের সাজ। অর্থাৎ আপনাকে হয় চোখ অথবা ঠোঁট যেকোন একটির সাজকে প্রাধান্য দিতে হবে।

চোখে রাখতে পারেন স্মোকি বা ধোঁয়াশা লুক। আইলানারের পরিবর্তে চোখে লাগিয়ে নিতে পারেন কাজল। লিপস্টিক হতে পারে শাড়ির সাথে মানানসই প্রাকৃতিক কোন হালকা রঙের। লিপস্টিকের আগে ঠোঁট আর্ট করে নিন ম্যাচিং কোন লিপ লাইনার দিয়ে।

মনে রাখবেন, শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এর জন্য চোখের সাজ যদি বোল্ড অর্থাৎ গাঢ় বা জমকালো হয় তবে ঠোঁটের সাজ হতে হবে হালকা, জাঁকজমকহীন। আর যদি গাঢ় লিপস্টিক ও লিপ লাইনারে ঠোঁটের সাজ বোল্ড রাখতে চান তবে চোখকে সাজাতে হবে ছিমছাম ভাবে। অর্থাৎ মুখের যেকোন একটি অংশকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

মনে রাখবেন, শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ এর জন্য চোখের সাজ যদি বোল্ড অর্থাৎ গাঢ় বা জমকালো হয় তবে ঠোঁটের সাজ হতে হবে হালকা, জাঁকজমকহীন। আর যদি গাঢ় লিপস্টিক ও লিপ লাইনারে ঠোঁটের সাজ বোল্ড রাখতে চান তবে চোখকে সাজাতে হবে ছিমছাম ভাবে। অর্থাৎ মুখের যেকোন একটি অংশকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এ আরো কয়েকটি বিষয় যোগ করা যেতে পারে। নেইলপলিশের রং নির্বাচন করতে পারেন লিপস্টিকের রঙের সাথে মিল রেখে। টিপ হতে পারে কালো বা শাড়ির রঙের সাথে ম্যাচিং কোন রঙের। ঘরে বসে মেকআপ এর সঠিক ও ধারাবাহিক নিয়ম এবং সাজসজ্জায় কালার ম্যাচিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে-

শাড়ি মানেই কিন্তু অতিরিক্ত মেকআপ নয়। হালকা মেকআপেও শাড়ির সাথে মানানসই সাজ সেরে নিতে পারেন। অনেকে আবার সামান্য কম্প্যাক্ট/ফেস পাউডার, হালকা লিপস্টিক আর ছোট একটি টিপেই শাড়ির সাজটা সেরে নেন। সেটাও কিন্তু দেখতে মন্দ লাগে না!

শাড়ির সাথে মানানসই হেয়ারস্টাইল / হিজাব

হেয়ারস্টাইল

শাড়ির সাজে হেয়ার স্টাইল হিসেবে খোঁপা সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে প্যাচানো খোঁপা, ফ্লোরাল ব্রাইড, ফ্লাওয়ার ব্রাইড, রোস বান, ডাউন বান কিছু স্টাইলিশ খোঁপা যেগুলো শাড়ির সাজে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুণ! আর তাতে যদি বেলি, জুঁই বা বকুলের মালা পেঁচিয়ে নেওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই! আপনি চাইলে নকশা করা কাঁটা দিয়েও আঁটকে নিতে পারেন খোঁপাটি।

শাড়ির সাজে বিনুনিও কিন্তু দারুন মানায়। বিশেষ করে লম্বা-ঘন চুলে সাইড, খেজুর ও ফ্রেঞ্চ বিনুনি দেখতে বেশ লাগে। সেইসাথে মাথায় গুঁজে দিতে পারেন তাজা গোলাপ বা জবা। আর্টিফিসিয়াল ফুলও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া চুল পাফ করেও করে নিতে পারেন পছন্দ মতো বিনুনি।

খোলা চুলে শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ আপনার মাঝে ফুটিয়ে তুলবে নজরকাড়া স্নিগ্ধতা! ট্রাডিশনাল শাড়ির সঙ্গে খোলা চুলে একটা-দুটো ফুল লাগিয়ে নিলে শাড়ির সাজে এসে যায় শতভাগ বাঙালিআনা। পার্টি লুকের জন্য কার্লার বা স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল কোকড়া বা সোজা করে ছেড়ে রাখতে পারেন। এছাড়া শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে চুল পাফ করেও ছেড়ে রাখতে পারেন।

শাড়ির সাথে মানানসই হিজাব

শাড়ির সাথে মানানসই হিজাব
Image by mohamed Hassan from Pixabay

শাড়ির সাথে হিজাব পড়েন অনেকেই। হিজাবেও শাড়ির সাথে মানানসই সাজ দারুন মানাবে। মার্কেটে বিভিন্ন নকশা-মানের স্কার্ফ ও হিজাব পাবেন। তাছাড়া ওরনা দিয়েই স্কার্ফ বা কন্ট্রাস্ট স্টাইলে হিজাব পড়ে নেওয়া যায়।

আপনি যদি শাড়ির সাজে হিজাব রাখার কথা ভেবে থাকেন তবে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন।

  • হিজাব বেছে নিতে হবে শাড়ির রং ও ধরণ বুঝে।
  • হিজাব ও শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ হতে হবে ফুল হাতার। থ্রি-কোয়াটার হাতাও চলতে পারে। তবে হাফ বা শর্ট হাতা হিজাবের ক্ষেত্রে একদমই বেমানান।
  • ব্লাউজের হাতায় যেন কোন খোলা অংশ বা খুব বেশি ডিজাইন না থাকে।
  • ব্লাউজের গলায় রাখতে হবে ছোট কাট।
  • এমনভাবে হিজাব পড়তে হবে যেন তা লম্বায় গলার নিচ পর্যন্ত আসে।

শাড়ির সাজে গহনা

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ রাখতে হালকা সাজে গহনাও হালকা হওয়া চাই। আবার ভারী সাজের সঙ্গে গহনা হওয়া চাই সামান্য ভারী ধাঁচের। তবে মাঝারি নকশার গহনা দুই ধরণের সাজেই মানানসই হবে।

নেকলেস/মালা

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ এ গলায় পড়ে নিতে পারেন ২-৩ লহরের পার্লের মালা। এছাড়া রুবি, পান্না, রূপা, তামা, পাথর ও মাটির মালা বা নেকলেসও বেছে নিতে পারেন।

লম্বা চেইনের মালা বা দু-তিন লেয়ারের নেকলেস যেকোন শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে পারে। অনেক ভালো মানাবে। স্টোনের চেইন বা লকেট ক্যাজুয়াল বা হালকা সাজকে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলে।

চুলে খোঁপা করলে; গলা ভরাট হবে এমন একটি নেকলেস বেছে নেওয়া উচিত। চুল ছেড়ে রাখলে লম্বা চেইনের মালাতেই বেশি ভালো লাগবে।

কানের দুল

শাড়ির সাথে মানানসই কানের দুল
Photo by Klara Kulikova on Unsplash

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ এর জন্য ট্রাডিশনাল ঝুমকা, ইয়ার কাফ, ট্রি শেপ, ফেদার শেপ, পার্ল শেপ, রোজ শেপ ও সিল্ক সুতোর কানের দুল বেশ ভালো মানাবে। এক পাথরের দুলও শাড়ির সাজে দারুন ভাবে মানিয়ে যায়।

লম্বা চেইনের মালা বা রকেটের সঙ্গে বড়-লম্বা কানের দুল পড়লে দেখতে ভালো লাগে। ভারী হারের সঙ্গে ভালো মানায় ছোট/মাঝারি ধরণের ঝুমকো।

নেকলেস বেশ রাজকীয় হলে কানের দুল হতে হবে মাঝারি বা ছোট। আর নেকলেসে মাঝারি ধরণের ডিজাইন থাকলে শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে নকশা বৈচিত্র্যে জমকালো দুল বেছে নিতে হবে।

চুড়ি/ব্রেসলেট

শাড়ির সাজে হাত ভর্তি করে পড়ে নিতে পারেন কাঁচ, প্লাস্টিক বা সুতার চুড়ি। তবে অবশ্যই তা শাড়ির রঙের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। চুড়ি বেশ প্রশস্ত হলে ৩-৪ টা চুড়িই যথেষ্ট। শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে চুড়ির পরিবর্তে বালা বা ব্রেসলেটও পড়তে পারেন নির্দ্বিধায়। আবার এক হাতে চুড়ি ও অন্য হাতে ব্রেসলেট বা ঘড়ির স্টাইলটাও আজকাল বেশ চলছে।

শাড়ির সাজে আপনি স্টোনের ছোট নাকফুল পড়তে পারেন। এছাড়া শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পড়ে নিতে পারেন টিকলিও। সেইসঙ্গে আঙুলে পড়তে পারেন ছোট বড় যেকোন আংটি। তাছাড়া চলার পথ ছন্দময় করতে রূপা বা স্টোনের নকশাদার নূপুর তো আছেই!

আজকাল বিভিন্ন বুটিক হাউসে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে জুয়েলারি সেটও পাওয়া যায়। শাড়ির সাজে সেগুলোই সবচেয়ে ভালো মানায়। তাছাড়া এতে শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখতে গহনা নিয়ে আলাদা করে আর ভাবতে হয় না।

মানানসই জুতা

শাড়ির সাথে মানানসই সাঁজ এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হলো হালকা বা মাঝারি ধরণের হিল জুতো। আপনার যদি হাই হিলে কোন অসুবিধা না হয় তবে আপনি সেটিও ট্রাই করতে পারেন।

শাড়ির সাজে ওয়েজেস ও প্ল্যাটফর্ম হিল একদম এড়িয়ে চলাই ভালো। একেবারে ফ্ল্যাট চটি ও স্লিপারও শাড়ির সাজে বেমানান মনে হবে।

ব্যাগ/বটুয়া

হাতে একটি মানানসই ব্যাগ ছাড়া শাড়িতে সাজ যেন সম্পূর্ণ হতে চায় না। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে হাতে রাখুন একটি পছন্দসই ব্যাগ। তবে খুব বেশি বড় ব্যাগ না নিয়ে ছোট পার্স, ক্লাচ বা বটুয়া নিতে পারেন। ছিমছাম শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এ চান্দেরি বটুয়া অনেক ভালো মানায়।

শাড়ির সাজে মিনাউদিরে ব্যাগ বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোট হাতলের মাঝারি আকারের এই ব্যাগ যেকোন শাড়ির সাথেই দারুনভাবে মানানসই। হাতে একটি ম্যাচিং ব্যাগ থাকলে যেমন প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখা যায় তেমনি‌ শাড়ির সাজটাও হয়ে ওঠে আরো বেশি ফ্যাশনেবল।

মনে রাখা প্রয়োজন

  1. ধুতি স্টাইল, গুজরাটি স্টাইল, ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রীতিসহ শাড়ি পড়ার বিভিন্ন ধরণ লক্ষ্য করা যায়। তবে আপনি যেভাবে অভ্যস্ত বা যে ধরণটায় সবচেয়ে বেশি কমফোর্টেবল সেভাবেই পড়ুন। কোন অনুষ্ঠানে হঠাৎ নতুন কোন স্টাইল অনুসরণ করলে বিপাকে পড়তে হতে পারে।
  2. ব্লাউজের ফিটিং যেন ঠিকঠাক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুব বেশি আঁটসাঁট বা খুব বেশি ঢিলে ঢালা ব্লাউজ বেছে নিলে আপনার শাড়ির সাজের সৌন্দর্য প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
  3. পেটিকোট বাঁধুন বেশ শক্তপোক্ত ভাবেই। নাভির খুব বেশি উপরে বা খুব বেশি নিচে পেটিকোট পড়লে কিছুটা অস্তস্বি হতে পারে। সেইসঙ্গে আপনার শাড়ির সাজে বেখাপ্পা একটা ভাবও এসে যেতে পারে।
  4. শাড়ি সিকিওর করতে গাদাগাদা সেফটিপিনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় মোট ৪-৫ টা সেফটিপিন ব্যবহার করলেই হবে। এছাড়া অতিরিক্ত সেফটিপিনের জন্য অস্বস্তি হতে পারে। খেয়াল রাখবেন সেফটিপিন যেন শাড়ি/ব্লাউজের আড়ালে থাকে। পিন বাইরে বের হয়ে এলে বাজে দেখাবে।
  5. যেসকল শাড়ি, জুতা, গহনায় বা মেকআপে আপনার অস্তস্বি হয় সেগুলো শাড়ির সাথে মানানসই সাজ এর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন।
  6. শাড়িতে স্মার্টনেস ধরে রাখতে, শাড়ির সাথে মানানসই সাজ রাখার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলাফেরায় জড়তা ঝেড়ে ফেলুন। সেইসঙ্গে মনে রাখুন পূর্ণ আত্মবিশ্বাস। কুঁজো হয়ে থাকবেন না; মেরুদন্ড সবসময় সোজা রাখুন।
  7. শাড়ির সাজে পূর্ণতা আনতে শুধু মেকআপ নয়, প্রয়োজন মানানসই হেয়ারস্টাইল/হিজাব, গহনা, জুতা এমনকি ব্যাগও। চেষ্টা করুন শাড়ির সাজে এসবের একটিও বাদ না দেওয়ার।
  8. সর্বোপরি, সাজগোজের বিষয়টা নির্ভর করবে আপনার রুচি, পছন্দ ও ব্যাক্তিত্বের ওপর। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন অনন্য দেখাতে আপনার ঠিক কেমন সাজ প্রয়োজন।

এইতো হয়ে গেল শাড়ির সাথে আপনার মানানসই সাঁজ। এবার হালকা সুগন্ধি মেখে; পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ুন আপনার গন্তব্যের পথে।

প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন-

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *