অনলাইনে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন? Online taka income korar upay সম্পর্কিত লেখাটিতে ২০টি অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি সমূহ এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে করে যে কোন বয়সের মানুষই খুব সহজে বুঝতে পারেন এবং বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ সালের বাস্তবতায় কঠিন কিছু নয়। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের চাহিদাই অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় সমূহের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যারা এই সুযোগকে অনুভব করতে পারে এবং কাজে লাগাতে চায়, তাদের কাছে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ সালে নিতান্তই ডালভাত। এই লেখাতে আমরা অনলাইনেট আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আপনার আর কোনো সন্দেহ থাকবে না এবং উপলব্ধি করতে পারবেন, অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগের ব্যাপকতা।
অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বহু কাজ রয়েছে। সব ধরণের কাজ করেই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা না গেলেও বেশিরভাগ কাজই করা সম্ভব।
বলে রাখা ভালো, মোবাইল দিয়ে বেশিরভাগ কাজ করা গেলেও সেগুলো সাধারণত বেশ সময়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। পিসিতে যে কাজ ১ ঘন্টায় করা যায়, মোবাইল দিয়ে সেই একই কাজ করতে ৩ ঘন্টা লেগে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু, যারা মোবাইল ব্যবহারে বেশ পটু এবং ভালো কোয়ালিফিকেশনের মোবাইল ব্যবহার করে, তাদের ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য নয়। তারা চেষ্টা করলেই অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়েই করতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করার নিশ্চিত উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় হিসেবে ইউটিউব বহুল পরিচিত এবং সহায়ক একটি মাধ্যম। এটি এতোই জনপ্রিয় যে, শিশু থেকে বুড়ো – সবাই ইউটিউবকে খুব ভালোভাবেই চেনে এবং এটাও জানে যে, ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো, এখানে ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারলে আপনার অনলাইনে টাকা ইনকাম তো হবেই, পাশাপাশি পাওয়া যাবে ব্যাপক খ্যাতি। জনপ্রিয়তার এই ব্যাপারটার জন্যই হাজার হাজার মানুষ ইউটিউবে প্রতিদিন গড়ে লক্ষ লক্ষ ভিডিও আপলোড করে চলেছে।
তবে ইউটিউব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে ভাবে, ভিডিও তৈরি করে সেটা ইউটিউবে জমা দিয়ে দিলেই বুঝি এ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চলে আসে; যা মোটেও সঠিক নয়।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে বিভিন্নভাবে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় রয়েছে। কিন্তু প্রথম অবস্থায় ভিডিও ক্রিয়েটররা ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য গুগল এ্যাডসেন্সের প্রত্যাশা করে। কেননা, গুগল এ্যাডসেন্স গুগলের নিজস্ব একটি প্রোগ্রাম এবং এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম বেশ ভালোই হয়ে থাকে।
এ্যাডসেন্সের এ্যাপ্রুভাল সবাইকে দেয়া হয় না। এ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য আপনাকে ইউটিউবের কিছু সাধারণ শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন: ১০,০০০ ভিউ, ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম।
শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলকে এ্যাডসেন্স সুবিধা দিয়ে মনিটাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসবে। এর ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। এসব বিজ্ঞাপনই মূলত এক্ষেত্রে ইউটিউব থেকে টাকা আয় এর মূল উৎস।
ভিডিও দেখার সময় এসব বিজ্ঞাপন যত বেশি মানুষ দেখবে, আপনার আয়ও তত বেশি হবে। কেউ যদি বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সেটায় ক্লিক করে, তবে ইনকাম আরো বাড়বে। বলাবাহুল্য, বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য আপলোড করা ভিডিওগুলোর ভিউও বাড়াতে হয়।
অনেকে প্রশ্ন করে, ইউটিউব ভিডিওতে লাইক, আনলাইক বা কমেন্ট করলে সেটা ভিডিও ক্রিয়েটরের আয়ের উপর কোনো ইফেক্ট ফেলে কিনা। উত্তর হলো, প্রভাব ফেলে না। কেননা, এসব লাইক কমেন্টের উপর ইউটিউব এ্যাডসেন্সের ইনকাম নির্ভরশীল নয়।
তবে কোনো ভিডিও শেয়ার করলে সরাসরি সেটা কাজে না লাগলেও পরোক্ষভাবে আয়ের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কারণ কোনো ভিডিও শেয়ার করলে সেটা আরো কিছু মানুষের কাছে পৌছাবে। তারা যদি ভিডিওটা দেখে, তবে ভিডিওতে থাকা বিজ্ঞাপনের দর্শক বাড়ার জন্য আয়ও বেড়ে যাবে।
ইউটিউব চ্যানেলের ক্রিয়েটররা সারাজীবন শুধু এ্যাডসেন্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে না। চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পনসরশীপ বা ব্র্যান্ড প্রোমোটিং কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে টাকা আয় করে থাকেন।
বর্তমানে মানুষ যেহেতু অনলাইনে ভিডিও দেখার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, তাই ইউটিউবিং করা এখন অনেক বেশি লাভজনক। বিদেশে তো বটেই, বাংলাদেশেও অসংখ্য মানুষ আছে, যারা ইউটিউবিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং প্রতিমাসে যথেষ্ট টাকা ইনকাম করছে।
আরও পড়ুন-
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | সম্ভব না😑 |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | কমপক্ষে ৪-৫ মাস তো লাগবেই। তবে ভাইরাল হয়ে গেলে আরো কম সময়েই উপার্জন সম্ভব। |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। তবে একসময় ভালো কোয়ালিটির জন্য পিসি ও ভালো ক্যামেরা লাগবেই। |
চাহিদা | বাংলা কন্টেন্টের ব্যাপক চাহিদা |
ব্লগ তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় (নিশ্চিত, স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য)
একটা সময় তথ্য ছিল বই কেন্দ্রিক। এখন সেটা অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে। গুগলে যেয়ে যেকোনো বিষয় লিখে সার্চ দিলেই হাজার হাজার রেজাল্ট চলে আসে।
প্রশ্ন হলো, এসব তথ্য আসলে লিখলো কারা? আর গুগলে এতো তথ্য যুক্ত করে তাদের লাভই বা কি?
এসব তথ্য যারা লিখে রেখেছে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগারদের কাজই হলো ব্লগ বা আর্টিকেল তৈরী করা।
ব্লগাররা কেউই মূলত সরাসরি গুগলে কোনো আর্টিকেল লেখে না। তারা আর্টিকেল লেখে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। এরপর গুগলের রোবট তাদের লেখা আর্টিকেলগুলো খুঁজে বের করে নিজের কাছে জমা করে রাখে, যেন কেউ ঐ বিষয়ে সার্চ দিলে মূল আর্টিকেলে পৌছে দিতে পারে।
ব্লগারদের আয়ের ধরণ ইউটিউবারদের মতোই। ইউটিউবারদের মতো তাদেরও আয়ের জন্য এ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপনসহ স্পন্সরশীপ, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা প্রোডাক্ট প্রমোশনের উপর নির্ভর করতে হয়।
প্রাথমিকভাবে, ব্লগিং শুরু করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরী করার প্রয়োজন পড়ে। ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য একটি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হয়। প্রথম অবস্থায় সব মিলিয়ে খরচ হয় দেড় দুই হাজার টাকার মতো। তবে যদি আপনি গুগলের নিজস্ব প্লাটফর্ম “Blogger” এ ওয়েবসাইট তৈরী করেন, তবে আজীবনের জন্য হোস্টিং ও সাব ডোমেইন ফ্রি পাবেন।
ওয়েবসাইট তৈরীর পর সেখানে ভালো মানের অনেকগুলো কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু পেজ তৈরী করতে হয়। এরপর গুগলে এ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন গৃহীত হলে ওয়েবসাইটে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। ঐসব বিজ্ঞাপনে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আসা কেউ ক্লিক করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | অসম্ভব |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ মাস তো লাগবেই। |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। |
চাহিদা | বাংলা কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা |
মনে রাখবেন, শুধুমাত্র অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ধান্দায় ব্লগিং শুরু করলে, আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না। লেখালেখির শখ থাকলে তবেই ব্লগিং এর রাজ্যে আসুন, নয়তো নয়।
WithBangla.Com
ছবি বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
অনেকেই ফটোগ্ৰাফি করতে ভালোবাসে। কিন্তু তারা অধিকাংশরাই জানে না যে, নিজের তোলা ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়।
প্রথমেই বলে রাখি, ছবি বিক্রি করে অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি খুব একটা কঠিন কিছু নয়। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করে রাখতে হবে। সাইটগুলোতে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেই আপনি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। কয়েকটি জনপ্রিয় স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট হলো Alamy, Shutterstock, IstockPhoto এবং Adobe Stock।
আর্টিকেল, ম্যাগাজিন, মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন ব্লগার, কনটেন্ট মার্কেটার, অনলাইন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কপিরাইট ফ্রি ছবির প্রয়োজন হয়। আর স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট হলো এসব কপিরাইট ফ্রি ছবির সংগ্ৰহশালা।
স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন ও ছবি আপলোড করলেই যে আয় শুরু হয়ে যাবে, ব্যাপারটি আদৌ কিন্তু সেরকম নয়। আয়ের জন্য আপনার ছবিগুলো বিক্রি হতে হবে। কোনো ক্লায়েন্ট যখন তার প্রয়োজনে এসব সাইট থেকে আপনার তোলা কোনও ছবি কিনে নিবে, শুধুমাত্র তখনি আপনাকে কমিশন দেয়া হবে।
সাধারণ প্রতি ডাউনলোডের জন্য আপনি ০.২৫-০.৩৫ ডলার ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে মজার ব্যাপার হলো, আপনার একটি ছবি শুধু একবার নয় হাজার বারও বিক্রি হতে পারে এবং প্রতিবার বিক্রির জন্য আপনাকে কমিশন দেয়া হবে। আবার এমন অনেক স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনাকে একই ছবি একাধিক সাইটে বিক্রির সুবিধা দেবে।
ছবি বিক্রি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে আপনাকে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হতে হবে না। বেসিক কিছু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়েই আপনি ফটোগ্রাফি করে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন। নিয়মিত ভালো মানের ছবি আপলোড করে কয়েক মাসের মধ্যেই স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব।
একাউন্টে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা হলে আপনি ক্যাশ আউট করতে পারবেন। Local Bank Account, US Bank Account, ATM Booth, PayPal, Skrill বা Payoneer এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা টাকা আপনার পকেটে পৌঁছে যাবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | সম্ভাবনা আছে, তবে সিরিয়াস ফটোগ্রাফার হতে হবে। |
অনলাইনে আয় বিকাশে পেমেন্ট | বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব না |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | কমপক্ষে ২-৩ মাস লাগবে |
অনলাইনে আয় মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। তবে একসময় ভালো কোয়ালিটির জন্য পিসি ও ভালো ক্যামেরা লাগবেই। |
চাহিদা | মোটামুটি |
ছবি বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে পড়ুন- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার উপায়
ওয়েব ডেভেলপিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে অথবা অফলাইনে Web Developing করে টাকা ইনকাম করা বর্তমান সময়ের ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। আউটসোর্সিং এর সাথে সম্পর্কিত ক্যারিয়ার গুছিয়ে নেয়ার মতো যত প্রকারের অনলাইন জব আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরির মতো কাজগুলোতে। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতাই মূলত এর প্রধান কারণ।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান থাকা মানুষ মাত্রই জানে, ওয়েব ল্যাংগুয়েজ জানা কোনো ব্যক্তি কখনোই বেকার থাকে না! কেননা, আধুনিক বিশ্বে এই চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক।
ওয়েব ডেভেলপিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে কোডিং শিখতে হবে। অনেকে কনফিউশনে পড়ে যায়, এতো এতো কোডিং ল্যাংগুয়েজের মাঝে শুরু করব কোনটা দিয়ে! এ ব্যাপারে অভিজ্ঞদের পরামর্শ হলো, এইচটিএমএল দিয়ে কোডিং এর হাতেখড়ি করুন, এরপর পিএইচপি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। তারপর পড়াশোনা করুন MySQL ডাটাবেস নিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে জাভাস্ক্রিপ্টসহ অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার চেষ্টা করুন।
অনলাইনে বাংলা ভাষাতেই ওয়েব ডেভেলপিং ল্যাংগুয়েজ শেখার প্রচুর ওয়েবসাইট ও এ্যাপ রয়েছে। তবে ইংরেজী সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকলে শেখার জায়গার পরিধি অনেকটাই বেড়ে যায়।
এইচটিএমএল, পিএইচপি এবং MySQL সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলেই আপনি Upwork, Freelancer, Guru বা এই টাইপের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ পেতে শুরু করবেন। প্রথম প্রথম কাজ পাওয়া কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু সুযোগ আসবেই৷ একবার কাজ পেয়ে গেলে নিজের সবটুকু দক্ষতা দিয়ে ক্লায়েন্টকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন। একসময় দেখবেন, কাজ পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হচ্ছে না।
ওয়েব ডেভেলপিং করে আপনি মাসে ৫০০ থেকে ১০ হাজার ডলার বা তারও বেশি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। যার দক্ষতা যত বেশি, যে যত বেশি ওয়েব ল্যাংগুয়েজ জানে, যার ক্লায়েন্ট যত বেশি খুশি, তার অনলাইনে আয়ও মূলত ততই বেশি।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ পেতে মোট ৫-৭ মাস লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে মোবাইলে করা অনেক কঠিন ব্যাপার। |
চাহিদা | দেশে এবং বিদেশে বিপুল চাহিদা |
লিংক শর্ট করে অনলাইনে টাকা আয়
আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক ওয়েব পেজের লিংক সাইজে বেশ বড় হয়ে থাকে। এসব বড় বড় লিংকগুলোকে কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছেটে ছোট করা যায়। লিংক ছোট করার এসব ওয়েবসাইটগুলোকে বলা হয়, লিংক শর্টেনার।
এই কাজটা মূলত আমরা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই করে থাকি। ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় লিংক শেয়ার করলে দেখতে ভালো লাগে না। তাই ছোট করে শেয়ার করতে হয়।
মজার ব্যাপার হলো, এই কাজটা করার জন্য লিংক শর্টেনার ওয়েবসাইটকে আপনার কোনো ফি দিতে হবে না। উল্টো, কিছু লিংক শর্টেনার ওয়েবসাইট তাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে লিংক শর্ট করার জন্য আপনাকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা উপহার দেবে!
এসব ওয়েবসাইটগুলোতে লিংক শর্ট বানিয়ে শেয়ার করলে যত মানুষ আপনার শেয়ার করা ঐ লিংকে ক্লিক করবে, আপনার আয় ততই বেশি হবে। এক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ প্রতি হাজার ক্লিকে সাধারণত ১ ডলার থেকে ২০ ডলারের মতো হয়ে থাকে।
লিংক শর্ট করে সেটা প্রচার করার মাধ্যমে অনেকেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে। এসব কাজ বেশি করে মূলত ইউটিউবাররা। আগে বিভিন্ন ব্লগারকেও এরকম শর্ট লিংক প্রচার করতে দেখা যেত। কিন্তু এটা এখন আর তেমন দেখা যায় না। কারণ, এসব শর্ট লিংকে ক্লিক করলে প্রচুর এ্যাড শো হয়। এসব এ্যাডের কোনো এক কোনায় লুকিয়ে থাকে আসল লিংকটি। আসল লিংক খুঁজতে যেয়ে ভিজিটরদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়।
বর্তমান সময়ে লিংক শর্ট করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় তিনটি ওয়েবসাইট হলো Adf.ly এবং ouo.io । এগুলো ছাড়াও ইন্টারনেটে আরো অনেক লিংক শর্ট করার ওয়েবসাইট রয়েছে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | নাই, এটা ক্ষনস্থায়ী সময়ের জন্য। |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব না |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | ভালো প্রচারণা চালালে ১-৩ সপ্তাহেও ইনকাম হয় |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব |
চাহিদা | সাধারণ মানুষ এ ধরণের লিংকে ক্লিক করতে পছন্দ করে না। |
এসইও করে অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়
ওয়েব ডেভেলপিং এর মতো আরো একটি কাজ আছে, যেটাকে ফুলটাইম অথবা পার্ট টাইম হিসেবে নিয়ে অনলাইন জব করা যায় এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আস্তে আস্তে উপরের দিকে ওঠারও সুযোগ পাওয়া যায়। এই কাজটির নাম হলো এসইও।
এসইও এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। একটা ওয়েবসাইট কিংবা যেকোনো প্রোফাইলকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে এনে দেয়ার জন্য যেসকল কাজ করা হয়, সেগুলোকে এসইও বলে।
এসইও এর অনেকগুলো সেক্টর থাকায়, এখানে কাজের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত বিশ্বে তো বটেই, আমাদের লোকাল মার্কেটেও এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য এসইও শিখতে চাইলে আপনাকে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম কোর্স করতে হবে।
অনলাইনে ফ্রিতেও প্রচুর এসইও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো সব ক্ষেত্রে ঠিকমতো কাজ করে না। কেননা, সার্চ ইঞ্জিনগুলো প্রতিনিয়ত তাদের অ্যালগরিদমে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। কিন্তু সেই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এসব এসইও বিষয়ক ফ্রি টিউটোরিয়ালগুলোকে আপডেট করা হচ্ছে না।
বলে রাখা ভালো, এসইও শেখার সময় ব্যাকলিংক তৈরীর পার্টটুকু অনেক বেশি গুরুত্বের সাথে শিখতে হবে। ব্যাকলিংক এবং অনপেজ এসইও শিখে নিলে প্রচুর কাজ পাওয়া যাবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | ব্যাপক চাহিদা |
ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
আলু-পটল পিঁয়াজের মতো এই যুগে ডোমেইন নিয়ে ব্যবসা করেও অনলাইনে টাকা আয় করা যায়। ডোমেইন কেনাবেঁচার এই ব্যবসার নাম হলো ডোমেইন ট্রেডিং। ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ডোমেইন সরবরাহকারী প্লাটফর্ম হতে ডোমেইন কিনে সেটা পরে বেশি দামে বিক্রি করাকে ডোমেইন ট্রেডিং বলে।
ডোমেইন ট্রেডিং শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে ডোমেইন ট্রেডিং সম্পর্কে ভালোমতো পড়াশোনা করে নিতে হবে। জানতে হবে, বর্তমান বাজারে কি ধরণের ডোমেইনের চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোন ধরণের ডোমেইনের চাহিদার সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে NameBio ওয়েবসাইটটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। এখানে ঢুকে আপনি বর্তমানে বিক্রির জন্য উপস্থাপিত বিভিন্ন ডোমেইনের দাম দেখতে পারবেন।
ডোমেইন সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ডোমেইন কিনে নেওয়ার পর সেটা ব্যবহার করে আপনি ওয়েবসাইট তৈরী করবেন নাকি ফেলে রাখবেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যাপার।
ওয়েবসাইট তৈরী করা বা না করা আপনার বিক্রয়মূল্যের উপর সরাসরিভাবে তেমন কোনো প্রভাব তৈরী করবে না। অবশ্য ব্যাকলিংকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এরপর আপনার যখন মনে হবে, আপনার ডোমেইনটি বিক্রয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে বা এখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডোমেইন ক্রয় বিক্রয়ের জন্য তৈরী করা বিভিন্ন গ্রুপে আপনার ডোমেইনের বিক্রয়ের কথা ঘোষণা করে দিবেন।
শুধু ফেসবুক গ্রুপ নয়, ডোমেইন ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অনলাইনে প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে (যেমন, Sedo এবং Flippa ইত্যাদি), এগুলোকেও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা অনেক বেশি লাভজনক একটি কাজ। দূরদর্শীতা এবং মার্কেটের অবস্থা বোঝার ক্ষমতা থাকলে শুধুমাত্র ডোমেইন ট্রেডিং করেই হাজার হাজার ডলার কামানো যায়।
ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইনে টাকা আয় করতে চাইলে, আপনার প্রতি আমার উপদেশ, প্রথমেই অধিকসংখ্যক ডোমেইন না কিনে ২-১ টা ডোমেইন কিনুন। সেগুলো বিক্রয়ের পর আস্তে আস্তে ইনভেস্টমেন্টের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন। প্রথমেই অনেক বেশি ইনভেস্ট করতে যাবেন না।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | আস্তে আস্তে সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | সময়সাপেক্ষ ব্যাপার |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। |
চাহিদা | ভালো ডোমেইনের অনেক চাহিদা রয়েছে |
ফরেক্স ট্রেডিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেঁচাকেই মূলত ফরেক্স ট্রেডিং বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ফরেক্স মার্কেটে একটি দেশের মূদ্রা বিক্রি করে আপনি অন্য একটি দেশের মূদ্রা ক্রয় করতে পারবেন। যেহেতু প্রত্যেকটি দেশের মুদ্রার মান সর্বদাই পরিবর্তনশীল, তাই এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের মুদ্রায় রুপান্তরিত করে বাড়তি টাকা কামানো যায়।
যেমন মনে করুন, ফরেক্সে আপনার ১০০ আমেরিকান ডলার জমা আছে। কোনো এক সময় প্রতি আমেরিকান ডলারে ইউরোর দাম কোনো কারণে কমে গেল। তখন আপনি আপনার ১০০ ডলার দিয়ে ৮০ ইউরো ক্রয় করলেন। এর কিছুদিন পর, ইউরোর দাম আবার আগের মতোই বেড়ে গেল। তখন আপনি আবারো ইউরো বেঁচে দিয়ে ডলারে ফিরে এলেন এবং মোট ডলার হলো ১৩০। প্রথমে আপনার ১০০ ডলার ছিল এবং এখন হয়েছে ১৩০ ডলার৷ মানে, ৩০ ডলার আপনার লাভ!
উপরের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে না পারলেও কোনো সমস্যা নেই। আপনি নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন, বাংলাদেশের টাকা এবং ডলারের বিনিময় মূল্য সব সময়ই পরিবর্তিত হয়। কখনো ১ ডলারের মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ৯২ টাকা থাকে, আবার কখনো ৮৫-৮৭ হয়ে যায়। যেদিন ডলারের মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ৮৫ টাকা থাকবে, সেদিন যদি আপনি ৮৫ টাকা খরচা করে একটি ডলার কিনে নেন এবং পরে কোনো একদিন ডলারের মূল্য ৯২ টাকা হলে ডলারকে টাকায় রূপান্তরিত করেন, তবে ৭ টাকা লাভ হবে। ফরেক্স ট্রেডিংও এভাবেই কাজ করে।
ফরেক্স ট্রেডিং করতে গেলে ইনভেস্টমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু বেশিরভাগ ব্রোকারই নতুনদের ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ফ্রিতে ডেমো ট্রেড করার সুযোগ দেয়। ডেমো ট্রেডিং করে ফরেক্স ট্রেডিং এর উপর আত্মবিশ্বাস জন্মালে তারপরই টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন।
পার্টটাইম ফরেক্স ট্রেডিং করে অনেকেই প্রচুর টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। অনলাইনে ফরেক্স ট্রেডিং এর বিষয়ে অনেক আলোচনা আছে। ট্রেডার হিসেবে কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখনই সেইসব আলোচনা ও আর্টিকেল পড়া শুরু করুন।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | সম্ভব না |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে প্রায় ৩-৪ মাস |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | ব্যাপক চাহিদা |
রিভিউ লিখে অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি
রিভিউ লিখেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি কিসের উপর রিভিউ লিখতে চান, সেই বিষয়ে আগে নিশ্চিত হোন। বর্তমানে মিউজিক, বই এবং পণ্যের উপর রিভিউ লিখে অনলাইনে আয় করা যাচ্ছে।
প্রথমেই বলতে চাই, মিউজিকের উপর রিভিউ লেখা সম্পর্কে। মিউজিকের উপর রিভিউ লিখে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে আগে মিউজিক সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। কোনো মিউজিকের ভালো মন্দ, ভুল ত্রুটি যদি আপনি ধরে দিতে না পারেন, তবে এই কাজ মোটেও আপনার জন্য নয়।
মিউজিকের উপর রিভিউ লেখার ক্ষেত্রে musicxray, current.us, Radioearn এবং earnably সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি রিভিউয়ের জন্য এগুলো সাইট থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ১ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
উপার্জনের দিক থেকে মিউজিকের রিভিউয়ের তুলনায় বইয়ের রিভিউ লিখে অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি বেশি লাভজনক। কেননা, একেকটা বইয়ের রিভিউয়ের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ১০০ ডলারও পাওয়ার সুযোগ আছে। শুধু তাই নয়, অনেক কোম্পানী রিভিউদাতাদের ফ্রিতে বইও উপহার দিয়ে থাকেন।
বুক রিভিউ করে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য জনপ্রিয় বিখ্যাত কিছু ওয়েবসাইট হলো onlinebookclub, kirkusreviews, theusreview এবং readersfavorit সহ ইত্যাদি।
পণ্যের রিভিউ করেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়। এটাকে স্পনসর পোস্টও বলা হয়। কিন্তু স্পনসর পোস্টের জন্য নিজস্ব ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইটের প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রয়োজন প্রচুর ফলোয়ার।
আপনার যদি একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইট থাকে, তবে পণ্যের রিভিউ লিখে আপনি বুক রিভিউ কিংবা মিউজিক রিভিউয়ের তুলনায় নিঃসন্দেহে অনেক বেশি অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | এটাকে ক্ষণস্থায়ী আয়ের উৎস হিসেবে নেওয়া উচিৎ |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | সাধারণত ১ থেকে ৭ দিমের মাঝেই |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। |
চাহিদা | মোটামুটি |
Facebook থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
ফেসবুক থেকে আয় – কথাটির সাথে দুইটি টার্ম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেগুলো হলো, সরাসরি ফেসবুক থেকে আয় এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আয়।
Facebook তার ব্যবহারকারীদের টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই তৈরী করেছে এমন নির্দিষ্ট কোনো ফিচার ব্যবহার করে ইনকাম করাকে বলা হয় সরাসরি ফেসবুক থেকে ইনকাম। ফেসবুকের In-Stream Ads, Instant Article এবং Brand Collabs Manager ফিচারগুলো এই জাতীয় আয়ের বিশাল ক্ষেত্র তৈরী করেছে।
হাজার হাজার মানুষ ফেসবুকের এই তিনটি ফিচার ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা কামাই করছে। খেয়াল করে দেখবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়ালভাবে এতগুলো অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি ফেসবুক ছাড়া অন্য কোথাও নেই।
In-Stream Ads সিস্টেমটি অনেকটাই ইউটিউবের এ্যাডসেন্সের মতো বিজ্ঞাপনভিত্তিক। ফেসবুকে ভিডিও দেখার সময় খেয়াল করে দেখবেন, কিছু ভিডিওর মাঝখানে বা শুরুতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। এই বিজ্ঞাপনটিকেই In-Stream Ads বলে।
ফেসবুকে Instant Article বিভিন্ন ব্লগভিত্তিক ওয়েবসাইটের জন্য গুগলের এ্যাডসেন্স সদৃশ। ফেসবুকে শেয়ার করা কিছু নিউজের আর্টিকেলের লিংকে ক্লিক করলে নিউজটির বিভিন্ন প্যারার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায়। সেই আর্টিকেলগুলো মূলত ফেসবুকেই এই ফিচারের আওতায় অর্থ উপার্জন করে চলেছে।
এবং Brand Collabs Manager ফিচারটি কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানীকে প্রোমোটিংকেন্দ্রিক। আয়ের ধরণে এতো বৈচিত্র্য সত্যিই সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে বাধ্য!
এছাড়াও ফেসবুককে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়। যেমন: ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে, পণ্য প্রচার করে ক্রেতা খুঁজে, ফেসবুক পেজ বিক্রি করে কিংবা শেয়ার করে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | সম্ভব না |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে একসময় পিসি ও ভালো ক্যামেরা লাগবেই। |
চাহিদা | মোটামুটি |
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় হলো ওয়েবসাইট ফ্লিপিং। এ কাজের মাধ্যমে এখন অনেকেই মাসে হাজার হাজার ডলার অনলাইনে টাকা ইনকাম করে চলেছে।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং মানে হলো, কোনো একটা ওয়েবসাইট কেনার পর তাতে নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটির মান বাড়ানো এবং পরবর্তীতে অনেক বেশি দামে সেটা বিক্রি করা।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এর জন্য আপনাকে শুরুতেই কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই, কারণ এটায় ঝুঁকির সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে।
তবে, আগেই বলে রাখি, এই সেক্টরে ইনকামের জন্য শুধু অর্থই যথেষ্ট নয়, সেইসাথে প্রয়োজন প্রচুর শ্রম ও সময়ের। দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে অতি অল্প সময়েই ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করার জন্য প্রথমেই আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করে ওয়েবসাইটের বর্তমান চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আজকাল ব্লগ, নিউজ, ই-কমার্স, ম্যাগাজিন, বিজনেস, রিভিউ, জব, টিভি বা ভিডিও স্ট্রিমিং সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বেশি চাহিদা সম্পন্ন।
এরপর একটি নতুন ওয়েবসাইট কিনতে হবে। আপনি চাইলে ডোমেইন, হোস্টিং কিনে একদম গোড়া থেকে শুরু করতে পারেন। ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কয়েক মিনিটেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা সম্ভব।
ডোমেইন, হোস্টিং এর পর আপনাকে ওয়েবসাইটের জন্য একটি আকর্ষণীয় থিম বাছাই করতে হবে। এরপর প্রয়োজন এসইও ঠিকঠাক করে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানো। এজন্য ওয়েবসাইটে ভালো কনটেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে গুগল এডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যবস্থা করে আপনি ওয়েবসাইটটি আরো বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
এ্যাডসেন্স এ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাওয়ার পর ওয়েবসাইটটি যদি দেরিতে বিক্রি হয় তবুও আপনার আয় কিন্তু থেমে থাকবে না। কারণ ততদিনে আপনি ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম চালিয়ে যেতে পারবেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | আস্তে আস্তে সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস তো লাগবেই। |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | চাহিদা বাড়ছে |
পিওডি সাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
ডিজাইন করা কি আপনার শখ? আপনার কাছে কি নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট, মগ বা ওয়েলেট অনন্য মনে হয়? তবে ডিজাইন বিক্রি করে ঘরে বসেই এই সৃজনশীল অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি বা সুযোগটা সানন্দে লুফে নিতে পারেন।
ইন্টারনেটে পিওডি (প্রিন্ট অন ডিমান্ড) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজাইন বিক্রি করে সহজেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। teespring, cafepress ও zazzle এমনি তিনটি ওয়েবসাইট। এখানে ইউনিক ডিজাইনের টি শার্ট, মগসহ অন্যান্য জিনিস অনলাইনে বিক্রি করা হয়। কোন ক্রেতা যখন কেনার জন্য আপনার করা ডিজাইন পছন্দ করবে, তার বিক্রয়মূল্য থেকে আপনাকে কমিশন দেয়া হবে।
সাইটগুলোতে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন করে আপনিও একজন ডিজাইনার হতে পারেন। এজন্য আপনার গ্ৰাফিক্স বিষয়ে বেসিক জ্ঞান থাকলেই হবে। তাছাড়া এখানে আপনাকে কোনো প্রকার বিনিয়োগও করতে হচ্ছে না।
রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার ডিজাইন করা মগ বা টি শার্ট ওয়েবসাইটে শো করা হবে। কিন্তু সেখানে আপনি ছাড়াও আরো শত শত ডিজাইনার তাদের ডিজাইন আপলোড করবে। এজন্য ডিজাইনগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা সহজেই ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ডিজাইন বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সৃজনশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ডিজাইন যত সৃজনশীল হবে তা বিক্রির সম্ভাবনা তত বাড়বে। আর বিক্রির সম্ভাবনা বাড়া মানেই আয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া।
এভাবে একাউন্টে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা হলে আপনি সহজেই ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এজন্য আপনি PayPal, Wise, Payoneer, Local Bank Account অথবা US Bank Account ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | ভালো সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ২-৩ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | ব্যাপক দিন দিন বাড়ছে |
অনুবাদ করে করে অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়
মাতৃভাষা ছাড়াও আপনি কি অন্য কোনো ভাষায় পারদর্শী? আপনি কি বেশ ভালো অনুবাদ করতে পারেন? অনুবাদ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েও অনলাইনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা যায়।
আপনি ইংরেজি, কোরিয়ান, হিন্দি, মালয়শিয়ান, চাইনিজ বা জাপানিজ; যে ভাষার উপরই দক্ষ হোন না কেন, সকল ভাষা অনুবাদ করেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনুবাদ হলো কোনো তথ্যকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের অনুবাদের কাজগুলো অনলাইনে উন্মুক্ত করে দেয়। আবার অনুবাদের জন্য অফলাইনের মতো অনলাইন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও আজকাল গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে আপনিও হতে পারেন একজন পেশাদার অনুবাদক।
অনুবাদ করে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কিছু অনুবাদের সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারা প্রথমে আপনার পরীক্ষা নেবে। পরীক্ষায় টিকে গেলে আপনি নিয়মিত কাজ পেতে শুরু করবেন। এখানে আপনাকে বিভিন্ন দলিল-দস্তখত, নিকাহনামা, বিদেশে মাইগ্ৰেশনের কাগজপত্র, নোটিশসহ বিভিন্ন কিছু অনুবাদ করতে বলা হবে।
সাইটগুলোতে আপনার প্রোফাইলে নিয়মিত কাজের আপডেট প্রদর্শন করবে। এখানে আপনি কাজ পেতে পারেন বছরের ৩৬৫ দিনের ২৪ ঘন্টাই! এজন্য শুধু আপনার ভাষার উপর দক্ষতা, স্মার্ট ফোন/কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে।
অনুবাদের একটি বিশাল জায়গা জুড়ে আছে সাহিত্য। হ্যাঁ, বিদেশি বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, কবিতা বা গান প্রতিনিয়ত অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় একেকটি বই অনুবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাষায়। বিখ্যাত বই “The Dairy Of A Young Girl” আজ পর্যন্ত প্রায় ৭০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!
অনলাইনে অনুবাদের এ কাজটি পার্টটাইম হিসেবে দিনের যেকোনো সময় করা যাবে। এছাড়াও কেউ চাইলে কাজটি অনলাইন ফুল টাইম জব হিসেবেও নিতে পারে। অনুবাদের সাইটগুলো বিশ্বাসযোগ্য হলে পেমেন্ট নিয়েও দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
অনুবাদ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে দেরি না এখনি কিছু সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলুন। Speakt, Translate.com ও Unbabel হলো অনুবাদ করে আয়ের জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | বেশিদিন সময় লাগবে না |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। |
চাহিদা | ব্যাপক চাহিদা |
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি সমূহের মধ্যে গ্ৰাফিক্স ডিজাইনিং খুবই জনপ্রিয়। আজকাল অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও গ্ৰাফিক্সের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবং দিন দিন এই চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় মানুষ কম বলে এখান থেকে অনলাইনে ইনকাম এর পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি।
গ্ৰাফিক্স শব্দের অর্থ রেখা, আঁকা/ড্রয়িং। আর ডিজাইন অর্থ নকশা/পরিকল্পনা। অর্থাৎ যখন আপনি আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা/নকশা অনুযায়ী একটি সৃজনশীল ছবি আঁকবেন, তখন তাকে বলা হবে গ্ৰাফিক্স ডিজাইন।
অনলাইন বিভিন্ন সাইট গ্ৰাফিক্স ডিজাইনের জন্য ডিজাইনারদের অনলাইনে টাকা ইনকাম এর ভালো সুযোগ করে দিয়েছে। একজন গ্ৰাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে এসব ওয়েবসাইটএ কোম্পানির লোগো, বিজ্ঞাপন চিত্র, বইয়ের মলাট, বই/ম্যাগাজিন, টেমপ্লেট ডিজাইনসহ আরো বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়।
অনলাইনে একাজগুলো আপনি যেকোনক সময় যেকোনো জায়গায় করতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করলেই হলো।
গ্ৰাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলো Fiverr, 99designs, Envato Market, ইত্যাদি। তাই দেরি না করে সাইটগুলোতে সাইন আপ করে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করে ফেলুন। এখানে কাজ পেতে কিছুটা সময় লাগবে; তাই ধৈর্য না হারিয়ে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আপনি ইউটিউব ভিডিও বা অনলাইন বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্ৰাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারেন। সৃজনশীলতা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে সহজেই গ্ৰাফিক্স ডিজাইন আয়ত্তে আনা সম্ভব। এডোবি ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটরের উপর বেসিক দক্ষতা থাকলেই আপনি গ্ৰাফিক্স ডিজাইনিং এর ছোটখাটো কাজগুলো করতে পারবেন। আর গ্ৰাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম এ আপনার লক্ষ্য যদি বড় হয়, তবে আপনাকে গ্ৰাফিক্সের গভীরে যেতে হবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ১-৩ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | ব্যাপক চাহিদা |
মিউজিক বিক্রি করে অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়
ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যাবে এমন কাজের সংখ্যা এখন মোটেও কম নয়। এখন আপনি চাইলে নিজের গাওয়া গান বা তৈরি মিউজিক বিক্রি করেও অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
আজকাল অফলাইনে গায়ক কিংবা মিউজিশিয়ান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে গিয়ে নানান বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। ক্যারিয়ার শুরু হলেও বেশীরভাগ সময় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল পাওয়া যায় না। অথচ, বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব গান আপলোড করে আপনি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন। পাশাপাশি আয় করতে পারেন মোটা অংকের টাকা।
ওয়েবসাইটে আপলোড করা গানগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি / কোম্পানি কিনে নেয়। বাণিজ্যিক ভিডিও, রেডিও ব্রডকাস্ট, প্রেজেন্টেশনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গানগুলোকে কাজে লাগানো হয়।
পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত রয়্যালিটি ফ্রি মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্ট কিনে চলেছে। এসব মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্ট ব্যাকগ্ৰাউন্ড মিউজিক হিসেবে এড করা হচ্ছে তাদের ভিডিও ও প্রেজেন্টেশনে। কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহৃত হয় বলেই এই মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্টগুলো চড়া দামে কিনে নেয়া হয়।
গান, মিউজিক বা সাউন্ড ইফেক্ট বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। এরকম কিছু সাইটে সাইন আপ করে কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট আপলোড করতে পারলেই আপনার কাজ শেষ। বাকি কাজ করবে সেই সাইটটি। গান, মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম এর জন্য জনপ্রিয় কিছু সাইট হলো LuckStock, Soundotcom, Fiverr ও Arbit.
এখানে আপনি শুধুমাত্র নিজস্ব গান, মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্টগুলোই দিতে পারবেন। অন্য কারো গান/মিউজিক/সাউন্ড ইফেক্ট নকল করা যাবে না। এ ধরণের সমস্যা এড়াতে সাইটগুলো আপনার প্রতিটি সাবমিট করা গান, মিউজিক/সাউন্ড ইফেক্ট বিক্রির তালিকায় ফেলার আগে তা রিভিউ করে নেবে।
অনলাইনে ইনকাম করতে গান কম্পোজ করা বা সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক তৈরি করাও এখন কঠিন কিছু নয়। বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজগুলো এখন কম সময় ও পরিশ্রমে খুব সহজেই করা যাচ্ছে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | মোটামুটি ভালো সম্ভাবনা রয়েছে |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | সময়সাপেক্ষ |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | অসম্ভব |
চাহিদা | চাহিদা আছে |
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
ঘরে বসে অনলাইনে আয় এর উপায় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পার্ট টাইমের পাশাপাশি ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও এখন কম নয়। শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই অনেকে তাদের জীবন বিলাসবহুল ভাবে পার করে দিচ্ছে।
অনলাইনে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কোনো ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠানের কাজ করে অর্থ আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত/স্বাধীন পেশা। অর্থাৎ এ কাজ আপনি যেকোন জায়গায়, যেকোন সময় করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হলেই হবে।
সাধারণভাবে বিবেচনা করলে অনলাইনে সকল কাজই ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত। ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি ডেটা অ্যানালিটিক্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট, ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন কাজ পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম এর জন্য আপনার কিছু দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই আপনাকে নিশ/বিষয় বাছাই করতে হবে। এরপর সে বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এবার আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতার স্বপ্ন দেখতে পারেন।
Upwork, Freelancer, Fiverr, Guru ও Belancer কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট। সাইটগুলোতে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে আপনি খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে ক্যারিয়ারে সফলতার জন্য আপনার প্রচুর সময় ও শ্রম প্রয়োজন হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে আপনার মতোই হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তাই ক্লায়েন্ট পাওয়াটাই এখানে সবচেয়ে কঠিন। একবার ক্লায়েন্ট পেয়ে গেলে ধীরে ধীরে আপনার পরিচিতি বাড়তে থাকবে। পরিচিতি বাড়লে বেশি কাজ পেতে শুরু করবেন। আর বেশি কাজ মানেই বেশি ইনকাম।
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে প্রথমেই প্রয়োজন নিজের দক্ষতা বাড়ানো। এজন্য আপনি অফলাইন/অনলাইনে যেকোনো মেয়াদী কোর্স করতে পারেন। দক্ষতা যত বেশি হবে আপনার সুখ্যাতিও তত ছড়িয়ে পড়বে; এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার সফলতারও আরো এক ধাপ করে এগিয়ে যেতে থাকবে।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | কিছুক্ষেত্রে সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ৩-৪ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | ব্যাপক চাহিদা |
অনলাইনে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে অনলাইনে ইনকাম ২০২৪
বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতাও আপনার জন্য একটি অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি হতে পারে। অনেক ওয়েবসাইট বা কোম্পানি তাদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য অনলাইনে বিভিন্ন সময় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনলাইন এসব কনটেস্টে অংশ নিয়ে আপনিও জিতে নিতে পারেন নগদ অর্থ বা দামী কোনো পুরষ্কার। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার এটি একটি দারুন সুযোগ।
প্রতিযোগিতার বিষয় হতে পারে সাহিত্য, চিত্রাঙ্কন, ফটোগ্রাফি, সঙ্গীত বা নৃত্য। অথবা হতে পারে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইতিহাস বা পরিবেশ বিষয়ক কুইজ। আবার অনলাইনে গ্ৰাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও ইডিটিং এর মতো প্রতিযোগিতারও কোনো অভাব নেই। এসবের যে কোনোটিতে আপনার পারদর্শিতা দেখিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করাটা আপনার জন্য কঠিন হবে না।
বছরের প্রায় ৩৬৫ দিন অনলাইনে কোনো না কোনো প্রতিযোগিতার ধুম লেগেই থাকে। স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীসহ বিভিন্ন কম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ১/২ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যেও আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রতিযোগিতার। ফেসবুকের ইভেন্ট অপশন বা গুগল সার্চ যেকোন উপায়ে প্রতিযোগিতার খবরাখবর আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্ৰহণের জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। অনেক প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। আবার কিছু কিছু প্রতিযোগিতার জন্য ফি নির্ধারণ করা থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই ফি এর পরিমাণও হয় খুবই কম।
প্রতিযোগিতার জন্য কিছু নিয়ম আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। যেমন: মিথ্যা নাম/ঠিকানা বা ভুল তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। অনলাইনে টাকা ইনকাম এর জন্য আলাদা একাউন্ট দিয়ে একাধিকবার অংশগ্রহণের চেষ্টা না করাই ভালো। ধরা পড়লে আপনার একাউন্টটিই ব্যান হয়ে যাবে।
তাহলে আর দেরি কেন? প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে এখনি কাজে লেগে পড়ুন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে জিতে নিন নগদ অর্থ বা স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপের মতো আকর্ষণীয় পুরস্কার। এতে যেমন আপনার মেধার বিকাশ হবে; তেমনি অনলাইনে ইনকাম এর জন্য একটি বিরাট সুযোগ আপনি পেয়ে যাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার নিশ্চিত উপায়
অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতি সমূহের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলোর মধ্যে একটি। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
যখন আপনি কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালাবেন তখন তাকে বলা হবে মার্কেটিং। যদি এই মার্কেটিং আপনি অনলাইনে করেন তবে তাকে বলা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। আর যখন আপনি নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম এর উদ্দেশ্যে অন্য কারো পণ্যের মার্কেটিং করবেন তাকে বলা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার জন্য বেসিক কিছু দক্ষতার প্রয়োজন। তবে মার্কেটিং এর জন্য আপনার যে ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। ফেসবুকের মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এজন্য একটি এক্টিভ ফেসবুক পেজ থাকাই যথেষ্ট।
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে শুধু নিজের প্রোফাইল বা পেজে ফলোয়ার বাড়াতে হবে। কিছু কৌশল আয়ত্ত করতে পারলে দ্রুত আপনি সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার অনলাইনে আয় ও তখন নিশ্চত হয়ে যাবে।
আপনি কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ আয় করতে চাচ্ছেন? তবে আপনার জন্য ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলই বেশি লাভজনক হবে। তারমানে কিন্তু এই নয় যে ফেসবুক লাভজনক নয়। ফেসবুকেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা পেতে আপনাকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। প্রথম প্রথম এজন্য আপনাকে প্রচুর খাটতে হবে। পরিশ্রম চালিয়ে যেতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম শুরু করবেন। মোটকথা, আপনি যদি পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল হোন; তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম এর সুযোগটি আপনার জন্যই।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | সাধারণত সম্ভব না |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | শিখে কাজ করতে কমপক্ষে ৫-৬ মাস তো লাগবেই। |
অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | চাহিদার চেয়ে প্রতিযোগিতা বেশি |
ইকমার্স ব্যবসা করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে টাকা ইনকাম এর জন্য ইকমার্স খুবই চমৎকার একটি আইডিয়া। ইকমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স বলতে বোঝায় অনলাইন ব্যবসা। অর্থাৎ এখানে ব্যবসার যাবতীয় সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে অনলাইনে। যেকোনো কিছু অনলাইনে কেনাবেচাই হলো ইকমার্স।
দিন দিন মানুষ কেনাকাটার জন্য অনলাইনের উপর অধিক নির্ভর হয়ে পড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন দেশে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি অনলাইন পণ্য ডেলিভারি করা হয়। সময়ের সাথে এই কেনাকাটার পরিমাণ আরো বাড়বে। ক্রেতাদের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে যে কেউ ইকমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারবে। আর এই আয়ের পরিমাণ কিন্তু মোটেও কম নয়।
Daraz, kaymu, ajkerdeal, rokomari, priyoshop বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় ইকমার্স সাইট। এখান থেকে আপনি যেকোন পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। পেমেন্ট করতে পারবেন অনলাইনে বা ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে। ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সবকিছু। এরকম একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে আপনিও অনলাইনে আয় করতে পারেন।
এজন্য আপনার কোনো বড় শো-রুমের প্রয়োজন হবে না। এমনকি গাদা গাদা স্টাফেরও কোনো প্রয়োজন নেই। ই-কমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম এর জন্য প্রয়োজন শুধু একটি ওয়েবসাইট। অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমেও ইকমার্স চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি চাইলে সেটাও করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায়িক কিছু জ্ঞান থাকাও আবশ্যক।
ইকমার্স সাইট তৈরির আগে সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। ইকমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম শুরু হতে বেশ কয়েকমাস লেগে যাবে। তাই হতাশ না হয়ে আপনাকে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
একবার সাইটটি দাঁড়িয়ে গেলে আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। ইকমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করে আপনি আপনার সংসারও বেশ ভালো চালাতে পারবেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে সম্ভাবনা | প্রচুর সম্ভাবনা |
অনলাইনে ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট | সম্ভব। তবে ক্লায়েন্ট দেশের বাইরে হলে তো অসম্ভব। |
টাকা পেতে মিনিমাম সময় | কমপক্ষে ১-৩ মাস তো লাগবেই। |
ঘরে বসে মোবাইলে আয় | সম্ভব। তবে কষ্টকর। |
চাহিদা | চাহিদার চেয়ে প্রতিযোগিতা বেশি |
প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার পদ্ধতি
অনলাইনে টাকা আয় করার পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এই পদ্ধতিটি এখনো খুব বেশি পরিচিত নয়। কিছু সাইটের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন প্রশ্নের উত্তর দিয়েও! অনেক সাইটে প্রশ্ন করেও আয়ের সুযোগ পাবেন।
এখান থেকে আপনি খুব অল্পই আয় করতে পারবেন। তবে কোনো কাজ না করে শুধুমাত্র প্রশ্ন উত্তরে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে সেটাই তো বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ১০-২০ টি প্রশ্ন-উত্তরের কমেন্ট তো আমরা রোজই করি। সেটাও আবার বিনা প্রোফিটে।
BDHELPER24 এমনি একটি ওয়েবসাইট। প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে আপনি এই সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। এখানে প্রতি প্রশ্নের জন্য আপনাকে ১ পয়েন্ট ও প্রশ্নের উত্তরে ১০ পয়েন্ট দেয়া হবে। প্রতি ১০০ পয়েন্ট সমান ১০ টাকা। আপনার একাউন্টে ১০০ টাকা জমা হলেই আপনি সেটা মোবাইল রিচার্জ করে নিতে পারবেন।
Bissoy অনলাইনে টাকা ইনকাম এর জন্য আরেকটি প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট। এখানে প্রতি প্রশ্নের জন্য আপনার ১ পয়েন্ট কাটা যাবে। এবং প্রশ্নের উত্তরে পাওয়া যাবে ৩ পয়েন্ট। পয়েন্ট যত বেশি হবে আপনার প্রোফাইল তত রেঙ্ক করবে। এখানে মূলতো আয় হবে গিফট প্ল্যান থেকে।
TkQuize সাইটটিতে দিনের সেরা তিনজন প্রশ্ন-উত্তর দাতাকে ১ম, ২য়, ৩য় হিসেবে ৫০, ৩০ ও ২০ টাকা মোবাইল রিচার্জ দেয়া হয়।
সাইটগুলো বাংলাদেশি হওয়ায় অনলাইনে আয় বিকাশ পেমেন্ট পাওয়া যাবে। সাইটগুলোতে থেকে অনলাইনে ইনকাম এর পরিমাণ খুব কম হলেও কিছুটা অন্তত আয় হবে। প্রশ্ন-উত্তর সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে দেরি না করে এখনি রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন।
শেষ কথা (Complete Online Income Guideline 2024)
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় (online taka income korar upay) সমূহের মধ্যে অনেক ক্ষণস্থায়ী কিন্তু দ্রুত পেমেন্ট পাওয়ার রাস্তা আছে। কিন্তু মনে রাখবেন, যে পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় করা যত বেশি সময় সাপেক্ষ, সেই পদ্ধতি সাধারণত ততই বেশি সফলতা নিয়ে আসে।
যেমন: আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করলে ক্লায়েন্ট আপনাকে সাথে সাথেই টাকা দেবে। কিন্তু নিজে একটা ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আর্টিকেল লিখলে আপনি সাথে সাথে টাকা পাবেন না। সময় লাগবে। কিন্তু একটা সময় পর গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
তাই, অনলাইনে খামোখা কাজ না করে, স্মার্টলি কাজ করুন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করুন।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন –
সুপ্রিয় হাসিব, লেখাটি সত্যি খুব ভালো হয়েছে। তথ্যপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ বললে ভুল বলা হবে না। চালিয়ে যান।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধনবাদ❤️
আমি কাজ শিখতে চাই? কিভাবে করতে শুরু করতে পারি? সাহায্য করেন স্যার?
osadharon
Best
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।