ওয়েব ডিজাইনিং জগতে পা রাখা মাত্রই একজন শিক্ষানবীশ ওয়েব ডিজাইনারকে যে বিষয়টি আগ্রহী করে তোলে তা হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রথম পাঠ হয়- ওয়ার্ডপ্রেস কি ও কেন শিখব এবং কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করা যায়, -এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা। আজ এ বিষয়টিকে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেস কি ও কেন শিখবেন?
ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে পিএইচপি (PHP) প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি করা এমন একটি ওয়েব এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যা কিনা একজন ব্যবহারকারীকে অনলাইনে একটি সহজবোধ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস ব্যবহার করে লেখা, ছবি, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ করার সুবিধা প্রদান করে।
ব্যবহারের সুবিধা বিবেচনা করে ওয়ার্ডপ্রেসকে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস না বলে একটি ব্লগ প্রকাশনার ওয়েব এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলাটাই যুক্তিযুক্ত বেশী হবে।
কারণ, অন্যান্য জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (CMS) যেমন- ড্রুপাল ও জুমলা এর মত ওয়ার্ডপ্রেস একজন সাধারণ ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটকে নিজের মত করে সম্পাদনা বা ডিজাইন করার সুযোগ প্রদান করে না।
ওয়ার্ডপ্রেসে একাধিক ব্যবহারকারী বা ইউজার যুক্ত করার সুবিধা থাকলেও ইউজারদের কার্যবিধি নিয়ন্ত্রণ, ক্ষমতা নির্ধারণ, লেখা প্রকাশ করা, মতামত প্রকাশ করা ও পরবর্তীতে তা সম্পাদনা করার সুবিধা প্রভৃতি সীমিত।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে আপনি সুরক্ষিত একটি মত বিনিময়ের জন্য উপযুক্ত ডিসকাশন ফোরাম তৈরি করতে পারবেন না।
যদিও প্লাগইনস ব্যবহার করে ফোরাম তৈরি করা যায়, তারপরও তা ফোরাম ব্যবহারকারীকে যথেষ্ঠ সুবিধা প্রদান করবেনা।
ব্লগ সফটওয়্যার হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের সুবিধাসমূহ
যদি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ বা তথ্য ভিত্তিক ওয়েবসাইট প্রকাশ করার কথা ভাবা হয় অর্থাৎ যে ওয়েবসাইট তৈরি করার উদ্দেশ্য হবে তার দর্শকদের শুধুমাত্র তথ্য, উপাত্ত, ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদর্শন, ডাউনলোড করা, ইত্যাদির মধ্যে সীমিত তবে ওয়ার্ডপ্রেস অন্য সবার চাইতে সব দিক দিয়েই শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।
কেননা এতে আছে এমন কিছু সুবিধা যা খুবই সহজে একজন ব্যবহারকারীকে নিজের লেখা বা ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করার সুবিধা প্রদান করবে।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখব?
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভালপমেন্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকলে প্রাথমিক বিষয়গুলো যেমন- প্রোগ্রামিং ভাষা (এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, প্রভৃতি) শেখার পর পরবর্তী ধাপে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার সবচাইতে যুক্তিযুক্ত কারণ হচ্ছে-
ওয়ার্ডপ্রেস শেখাটা খুব সহজ। একজন আগ্রহী শিক্ষানবীশ ওয়েব ডেভালপার বা ওয়েবসাইট ডিজাইনার কোন প্রকার প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ভালোভাবে শিক্ষা গ্রহণ না করেও ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি দৃষ্টিদনন্দন ওয়েবসাইট প্রকাশ করতে পারবেন।
তাছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এর থিম ডাইরেক্টরিতে ও উন্মুক্তভাবে বিভিন্ন থিম প্রস্তুতকারকের ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে পেশাদার মানের তৈরি করা থিম পাওয়া যায়।
এছাড়া আরও আছে বিনামূল্যে প্লাগইনস ব্যবহার করার সুবিধা।
যা কিনা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে দর্শকদের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফর্ম, ইমেইল কন্টাক্ট ফর্মের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ডেভালপার, মডারেটর, আর্টিকেল লেখক বা ব্লগ ইউসার এর সাথে যোগাযোগ করার সুবিধা প্রদান, ডিজিটাল কন্টেন্ট ডাউনলোড করা, গুগল অ্যাডসেন্স এর ব্যানার, টেক্সট ও ভিডিও অ্যাড বা মিডিয়া.নেট এর কনটেক্সুয়াল অ্যাড (Contextual Ads) বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা, প্রভৃতি সুবিধা প্রদান করে।
ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব?
যে সকল ব্যক্তি সবে মাত্র ওয়েব ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছেন বা শিক্ষানবীশ তারা প্রথমেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার মাধ্যমে তাদের পেশাগত জীবন শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য বাজারে প্রচুর মানসম্মত ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল প্রকাশনা বা বই পাওয়া যায়। আপনি ইচ্ছে করলে বিভিন্ন জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট যেমন এমাজন.কম থেকেও আপনার প্রয়োজন ও দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ বা বই, ইবুক প্রভৃতি কিনে নিতে পারেন।
অনলাইনেও ওয়ার্ডপ্রেস শেখার অনেক টিউটরিয়াল ওয়েবসাইট আছে।
বিশেষ করে, ওয়ার্ডপ্রেস এর অফিসিয়াল টিউটোরিয়াল সাইট ওয়ার্ডপ্রেস কোডেক্স এদের মধ্যে অন্যতম।
এছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেস এ ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন- এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি, এসকিউএল, জাভাস্ক্রিপ্ট প্রভৃতি W3Schools.Com নামের ওয়েবসাইটে খুব সহজেই শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
যেখানে ভিজিট করে ও সেখানে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসরণ করে যেকোন স্তরের একজন শিক্ষার্থী সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েব ডেভালপমেন্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো শিখে নিতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস এর বিভিন্ন ট্যাকনিক্যাল বিষয়ে প্রোফেশনাল টিপস ও টিউটোরিয়াল’স খুঁজছেন? WordPress এর প্রায় প্রতিটি জটিল বিষয়ের সমাধান পাবার একটি বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে- WPBeginner.Com.
এর বাইরেও সমগ্র বিশ্বব্যাপী রয়েছে এর অগণিত ভক্ত, গুনগ্রাহী ও স্বতস্ফূর্ত নিবেদিতপ্রাণ সাহায্যকারী, যারা আপনাকে যে কোন সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম ও ইচ্ছুকও বটে।
ইউটিউবে ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল
“ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখব” এবং “ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায়” এই প্রশ্নগুলোর সহজ ও প্রধান উত্তর – ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়ালস। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভালপমেন্ট, কাস্টমাইজেশন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ও প্লাগইনস ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে আয়, ওয়ার্ডপ্রেস ডেভালপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার বা সফল হবার উপায়, ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পদ্ধতি সমূহ, ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উপায়, ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায়; প্রভৃতি বিষয়ে অগণিত ভালো ভালো ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়ালস ছড়িয়ে রয়েছে ইউটিউব এর আঁনাচে-কাঁনাচে। শুধু প্রয়োজন একটু খুঁজে বের করার মানসিকতা।
এরপরও যদি কারো সমস্যা হয় তবে এই আর্টিকেলে প্রকাশিত – ইউটিউবে ওয়ার্ডপ্রেস বাংলা টিউটোরিয়াল লিস্ট সমূহ দেখে নিতে পারেন। আশা করি ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস (WordPress CMS) বিষয়ক যেকোন প্রশ্নের সমাধান পাবার জন্য প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডপ্রেস ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়ালস লিংক পেয়ে যাবেন।
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনারের বাজার চাহিদা কেমন এবং ওয়ার্ডপ্রেস কাদের জন্য উপযুক্ত?
বিভিন্ন গবেষণামতে, বর্তমানে ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট প্রকাশ হয় তার প্রায় ৪১% ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার এর বাজার চাহিদা এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার সম্ভাবনা কেমন হতে পারে।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য থিম তৈরি, প্লাগইনস ডেভালপমেন্ট প্রভৃতি যত ভালোভাবে শিখতে পারবেন, তত ভালভাবে আপনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস প্রফেশনাল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করা যায়?
আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী একটি সাধারণ মানের ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করে আপনি নূন্যতম ১০০ ডলার আয় করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের মান যত ভাল হবে, আপনার ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে কোন সীমা-পরিসীমা নেই।
ওয়েবসাইটের গুরুত্ব ও মান অনুযায়ী বর্তমান বাজারে এমন বহু ওয়েব ডিজাইনিং কোম্পানি আছে যারা প্রতিটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য এমনকি ১০,০০০ ডলার বা তার চাইতেই বেশি মূল্যে কাজ করছে।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা যায়?
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করাটা তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন করে নিয়েছেন। বলা বাহুল্য, তাঁরা নিয়মিত তাদের ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইট বা ব্লগে লেখালেখি করে তাতে গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর আর্টিকেল লিখে বা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগকে সুন্দর ভাবে নকশা বা ডিজাইন করে তাতে মানসম্মত লেখা প্রকাশ করা অথবা অন্যান্য মূল্য সংযোজনকৃত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আপনার পক্ষেও একটু চেষ্টা করলে নিশ্চিতভাবেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয়
বর্তমান বিশ্বে লক্ষ লক্ষ পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে টাকা আয় করছেন। আপনি ভালোভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখে বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের সদস্য হিসেবে যোগদান করে তাদের মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, থিম ডেভেলপমেন্ট বা কাস্টমাইজেসন, প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট এর কাজ দাতাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো মানের কাজ করে কাজ দাতার বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তার কাজটি সম্পন্ন করে দিতে পারেন তবে নিশ্চিত ভাবেই পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে আপনি আরও প্রচুর কাজ পাবেন। অর্থাৎ আপনার কর্মকুশলতাই আপনার সাফল্যের পথে আপনাকে ধাবিত করে নিয়ে যাবে।
ফলাফল স্বরূপ আপনি ধৈর্য ধরে কিছুদিন এইভাবে কাজ করে যেতে পারলে একটা সময় হয়তো এমন আসবে যখন সময়ের অভাবে আপনি নিজেই বিভিন্ন কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন। আর যতটুকু সময় কাজ করতে পারবেন তাতেই আপনার প্রতি মাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকার উপরে উপার্জন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে আরো জানতে পড়ুন –
ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভালপমেন্ট বা কাস্টমাইজেশন করে আয়
আপনি যদি দক্ষতার সাথে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভালপমেন্ট বা কাস্টমাইজেশন করতে সক্ষম হন তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এর জন্য নতুন থিম ডেভেলপমেন্ট অথবা অন্য একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে আপনাকে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার.কম প্রভৃতি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করে প্রযুক্তি বিশ্বে আপনার কাজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। পরবর্তীতে আপনার পরিচিতি যত বৃদ্ধি পাবে ততই স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে ও আয়ের ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট করে আয়
ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনের মতো ঠিক একইভাবে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট করেও অনলাইনে প্রচুর টাকা আয় করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে আপনি দক্ষতার পাশাপাশি যতটা সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে পারবেন, ঠিক ততটাই সাফল্যের সাথে আয় করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইনে বা অফলাইনে ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল বা শিক্ষা প্রদান করে আয়
আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল বা ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন বিষয়ের উপর কোর্স বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে সম্মানজনক জীবিকা তথা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে প্রযুক্তি বিশ্বে ওয়ার্ডপ্রেস প্রফেশনাল টিউটর বা শিক্ষকদের ভালো চাহিদা রয়েছে।
ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বা সমস্যা সমাধান করে আয়
একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভালপার ক্লায়েন্ট বা সেবা গ্রহীতাদের ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বা বিভিন্ন সমস্যা সমূহের সমাধান করার মাধ্যমে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হন। বর্তমান সময়ে এই ধরনের কাজ করতে সক্ষম পেশাজীবীদের জন্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় সম্মানীর বিনিময়ে কাজের যথেষ্ঠ সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
লেখা প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট ঘোষণা
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় বিষয়ক এই লেখাটি পড়ে কেমন লাগলো? যদি ভাল লেগে থেকে তবে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানালে আমরা অনুপ্রাণিত হব।
ভবিষ্যতে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ লেখার ইচ্ছে রয়েছে। সম্মানিত দর্শকদের অগ্রিম আমন্ত্রণ জানাচ্ছি- সাবস্ক্রাইব বক্সে আপনার ইমেইল ঠিকানা লিখে সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। এতে করে ভবিষ্যতে এ ধরণের লেখা প্রকাশ পেলে সবার আগে আপনি তার নোটিফিকেশন ইমেইল পেয়ে যাবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কি ও কেন শিখব এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার উপায় – বিষয়ভিত্তিক লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।