ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার? কোনটা আপনার জন্য সেরা?

ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার: ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রথমেই ভাবতে হয়, আমার ব্লগটা তৈরি করব কোথায়! বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্লগ তৈরির প্লাটফর্ম রয়েছে। সেগুলোর মাঝে WordPress(.Com) , WordPress(.Org), Blogger, Joomla, Drupal, Tumblr,  ইত্যাদি বেশি জনপ্রিয়।

ব্লগ তৈরির এতোগুলো প্লাটফর্ম থাকলেও, বেশিরভাগ সময়ই বিতর্ক বাঁধে WordPress(.Org) এবং Blogger এর মধ্যে।

গুগলে সামান্য ঘাটাঘাটি করলেই বুঝতে পারবেন, বিভিন্ন জায়গায় অন্য যেকোনো ব্লগ তৈরীর প্লাটফর্ম অপেক্ষা WordPress(.Org) এবং Blogger কে নিয়েই বেশি তুলনা করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লগ ও ওয়েবসাইট নির্ভর ফোরামে “ব্লগ নাকি ওয়ার্ডপ্রেস, কোনটি বেশি ভালো” প্রশ্নটি জনপ্রিয় একটি বিতর্কের টপিক।

WordPress(.Org) এবং Blogger দুইটি প্লাটফর্মই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। উভয় প্লাটফর্মকে নিয়েই দিস্তা দিস্তা পৃষ্ঠা প্রশংসা বাণী লিখে ফুরিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু, দুইটা প্লাটফর্মেই তো আর একইসঙ্গে ব্লগ তৈরী করা সম্ভব নয়। তাই দু’টোর মাঝে ঠিক কোনটা আপনার জন্য যুঁতসই, সেটাই আজ আমরা বের করার চেষ্টা করব। খুঁজে বের করব WordPress(.Org) এবং Blogger এর সুবিধা অসুবিধা, নাড়ি নক্ষত্র।

উল্লেখ্য, আমি WordPress এবং Blogger উভয় প্লাটফর্মেই কাজ করেছি। তাই দু’টো প্লাটফর্ম সম্পর্কেই আমার বেশ ভালো ধারণা রয়েছে।

বিভিন্ন রিসার্চ এবং আমার অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলার পর আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার সেরা, সেটা বোঝা সহজ হয়ে যাবে।

সূচীপত্র

ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস

এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ব্লগ তৈরীর প্লাটফর্ম হলো WordPress। ইন্টারনেটের প্রথম সারীর এক মিলিয়ন ওয়েবসাইটের মাঝে ৪২% ওয়েবসাইট WordPress(.Org) ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে।

ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার - WordPress Awards
সুত্রঃ trends builtwith

একই পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে Blogger এর কথাও। Blogger কে ২য় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে দেখিয়ে তারা দাবী করেছে, ইন্টারনেটের প্রথম সারীর ১ মিলিয়ন ওয়েবসাইটের মাঝে ১% ওয়েবসাইট Blogger দ্বারা নির্মিত।

ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার - Blogger Awards
সূত্রঃ trends builtwith

কিন্তু এসব পরিসংখ্যান দেখিয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত আপনার উপর চাপিয়ে দেব না। আমরা দেখব সুযোগ সুবিধার দিক থেকে আসলেই ঠিক কোনটা সেরা, ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার!

সঠিক প্লাটফর্ম যাচাই করার জন্য উভয় প্লাটফর্মের নিম্নলিখিত দিকগুলোতে আমরা সূক্ষ্মভাবে দৃষ্টিপাত করব।

  • ০। প্লাটফর্ম সারসংক্ষেপ
  • ১। খরচ
  • ২। মালিকানা ও স্বাধীনতা
  • ৩। কন্ট্রোল
  • ৪। জটিলতা
  • ৫। ডিজাইন
  • ৬। এসইও
  • ৭। নিরাপত্তা
  • ৮। ভবিষ্যৎ

তাহলে, চলুন শুরু করি…

প্লাটফর্ম সারসংক্ষেপ

ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসের দোষ গুণ তুলনা করার আগে প্লাটফর্মদ্বয়ের বেসিক বর্ণনা উল্লেখ করা উচিৎ। কেননা, নতুন অনেকেই আছেন, যারা ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসের নাম আগে কখনো শোনেননি।

ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত তথ্য

ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি ফ্রি পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল নির্ভর ওপেন সোর্স ওয়েব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির প্লাটফর্ম হিসেবে ২০০৩ সালের ২৭শে মে   ম্যাট মুলেনওয়েগ ‘ওয়ার্ডপ্রেস’ প্রকাশ করেন।

WordPress is the most popular CMS on internet. It is third most used technology for web development the popularity of WordPress based on…

Freelancinggig

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণরূপে ফ্রি একটি প্লাটফর্ম। তবে এখানে ওয়েবসাইট খোলার জন্য প্রয়োজন হয় নিজের একটি ডোমেইন ও হোস্টিং এর, যা মোটেও ফ্রি নয়।

ওয়ার্ডপ্রেসে অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায় ফিচার ও সুবিধা অনেক বেশি৷ সুবিধা কত বেশি, তা বোঝার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসকে একটা স্মার্টফোনের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

আমরা জানি, স্মার্টফোনের ডিফল্ট এ্যাপ্লিকেশন থাকে সীমিত, কিন্তু প্রয়োজনমতো বাইরের এ্যাপ ইন্সটল করে সকল সুবিধা ভোগ করা যায়। তেমনই ওয়ার্ডপ্রেসেও ডিফল্ট সিস্টেম সীমিত থাকলেও এতে আছে প্লাগিন সিস্টেম, যার মাধ্যমে ইচ্ছেমতো সুবিধা ভোগ করা সম্ভব।

এছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে বিশাল ফোরাম, যার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন-

ব্লগার

ব্লগার সম্পর্কিত তথ্য

ব্লগার হলো গুগল দ্বারা পরিচালিত একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম । সর্বপ্রথম Pyra Lab ১৯৯৯ সালে এটি তৈরি করেছিল এবং প্রথমদিকে এর নাম ছিল ব্লগস্পট।

২০০৩ সালে গুগল ব্লগস্পটের ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা চিন্তা করে Pyra Lab এর কাছ থেকে এটি কিনে নেয়। তারপর ২০০৬ সালে ব্লগস্পটকে গুগল তাদের নিজস্ব সার্ভারের আওতায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখে ‘ব্লগার’।

ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রি হওয়ায় এর চাহিদা ব্যাপক। প্রায় সব সফল ব্লগ নির্মাতার ব্লগিং এর হাতেখড়িই হয়েছে ব্লগারের মাধ্যমে।

#১ খরচ – (ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার)

আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, ব্লগিং করতে যেয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা অযথা নষ্ট হোক অথবা সবকিছু ফ্রিতে পাওয়ার আশায় পুরো ব্লগটাই খাপছাড়া হয়ে যাক।

WordPress এবং Blogger উভয় প্লাটফর্মেই ভালো মানের ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে কমবেশি টাকা ঢালতে হয়। কিন্তু কত পরিমাণ ঢালতে হতে পারে, সেটাই ভাববার বিষয়।

WordPress – খরচ

ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করতে চাইলে একদম শুরুতেই টাকা ইনভেস্ট করতে হয়৷ কারণ এখানে ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় হোস্টিং এবং ডোমেইন এর।

হোস্টিং এবং ডোমেইন যেকোনো হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে বিভিন্ন মুল্যে কিনতে পাওয়া যায়। ব্লগিং এর উদ্দেশ্যে হোস্টিং এবং ডোমেইন কিনতে চাইলে, প্রথম বছরের জন্য সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকার বেশি লাগে না৷ ওয়েবসাইট বড় হওয়ার সঙ্গে হোস্টিং এর স্টোরেজ বাড়াতে হয়, ফলে টাকার খরচের পরিমাণও বাড়তে থাকে।

Blogger – খরচ

ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরী করা ওয়ার্ডপ্রেস অপেক্ষা অনেক বেশি সহজ এবং সস্তা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, ব্লগার আপনাকে একদম ফ্রিতে আনলিমিটেড হোস্টিং দিয়ে দেবে। ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করলে এই আনলিমিটেড হোস্টিং কেনার জন্য খরচ করতে হতো প্রায় কয়েক হাজার টাকা! অথচ ব্লগার আপনাকে দিচ্ছে সম্পূর্ণ ফ্রিতে! ব্লগার কত্তো উদারমনা, তাই না? 😉

শুধু হোস্টিং নয়, ব্লগারে ডোমেইনও সম্পূর্ণ ফ্রি! তবে ব্লগারের দেয়া ফ্রি ডোমেইনে ওদের ট্রেডমার্ক বসানো থাকে। তাই দেখতে অনেকটাই বিদঘুটে লাগে। অবশ্য বিদঘুটে লাগলেও সমস্যা নেই। পরবর্তীতে খুব সহজেই টপ লেভেলের ডোমেইন কিনে যুক্ত করে নেয়া যায়।

তাহলে, ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য প্রতি বছর প্রয়োজন ডোমেইনের সর্বোচ্চ মাত্র ৯০০ টাকা! আর এই ৯০০ টাকা খরচ না করলেও সমস্যা নেই। ব্লগার আপনাকে ফ্রি একটা সাব ডোমেইন তো দিচ্ছেই!

এছাড়াও ব্লগারের কাস্টম থিম ওয়ার্ডপ্রেসের তুলনায় দামে সস্তা। ওয়ার্ডপ্রেসের একেকটা কাস্টম থিম কিনতে যেখানে ৫০ ডলার লেগে যায়, সেখানে ব্লগারের থিমের মূল্য মাত্র ৯-১০ ডলার! এছাড়াও বেশিরভাগ কাস্টম থিমেরই আছে ফ্রি ভার্সন। প্রিমিয়াম ভার্সন না কিনে আপনি দিব্যি ফ্রি ভার্সন দিয়ে ওয়েবসাইট চালিতে নিতে পারে।

তাহলে খরচের দিক থেকে গুগল পরিচালিত ব্লগার বিজয়ী!

#২ মালিকানা ও স্বাধীনতা (ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস)

কষ্ট করে ওয়েবসাইট তৈরীর পর যদি সেই ওয়েবসাইটের মালিকানা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে কিংবা স্বাধীনতার ঘাটতি সৃষ্টি হয়, তবে সেটা
কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

মালিকানা এবং স্বাধীনতার দিক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগারের মাঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ।

ওয়ার্ডপ্রেস – মালিকানা ও স্বাধীনতা

ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করলে সেটার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি কি করবেন না করবেন, সেটা বাইরের কেউ, এমনকি ওয়ার্ডপ্রেস নিজেও ঠিক করে দিতে পারবে না। সব কিছুর নির্ধারক এখানে একমাত্র আপনি! আপনার জগতকে আপনি যেভাবে খুশি, সেভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নাই। কেউ কিছু বলতে এলে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেবেন। অতএব, ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে স্বাধীন।

ব্লগার – মালিকানা ও স্বাধীনতা

ব্লগারে স্বাধীনতা সীমিত। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন, ব্লগার নামক প্লাটফর্মটির নাম নেয়ার সময় অনেকেই ‘গুগল দ্বারা পরিচালিত’ ট্যাগটি একদম সামনে বসিয়ে দেয়। শুধু ব্লগার প্লাটফর্মের নামের সামনেই নয়, ব্লগারে তৈরী করা প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের সামনেই এই ট্যাগটা বসানো জায়েজ। কারণ, ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরী করলে সেই ওয়েবসাইটটা প্রকৃতপক্ষে আপনার হয় না, হয় গুগলের! আপনি শুধুমাত্র একজন লেখক, যে গুগলের কাছ থেকে সামান্য জায়গা নিয়ে লেখা প্রকাশ করছে।

অর্থাৎ গুগল যে কোনো সময় চাইলেই বিনা নোটিসে আপনার ওয়েবসাইটটি ভ্যানিশ করে দিতে বা উধাও করে দিতে সক্ষম। ভয়ের কিছু নেই, আমি বলেছি, গুগল এটা করতে সক্ষম… গুগল যে অযথাই আপনার ওয়েবসাইট ভ্যানিশ করে দেবে, তা কিন্তু নয়! ব্লগারের সঠিক নীতিমালা ও শর্তসমূহ না মানলেই কেবল তারা এটা করে থাকে। আর এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটি কিংবা ওয়েবসাইটের কনটেন্টসমূহ ফিরে পাওয়ার কোনো রকম অপশন গুগল খোলা থাকে না।

মোটকথা, ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট খুললে আপনার ওয়েবসাইটের একমাত্র অভিভাবক হবেন আপনি। অন্যদিকে ব্লগারে ওয়েবসাইট খুললেও সেটার অভিভাবক আপনিই থাকবেন, তবে, আপনারও একজন অভিভাবক থাকবে। আর তিনি হলেন মহামান্য গুগল!

স্বাধীনতা এবং মালিকানার দিক দিয়ে বিজয়ী হলো ওয়ার্ডপ্রেস!

#৩ কন্ট্রোল – (ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার)

একটা ওয়েবসাইট তৈরী করার পর যদি সেই ওয়েবসাইটের অলিগলিতে আমি বিচরণই করতে না পারি, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের এ্যাডমিন হিসেবে নিজেকে দাবী করব কিভাবে? তাই সেরা প্লাটফর্মটি বাছাই করার জন্য কোন প্লাটফর্মে তৈরী ওয়েবসাইটের সব কিছু কন্ট্রোল করা যায়, আর কোনটায় করা যায় না, সেটাও দেখে নিতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস – কন্ট্রোল

ওয়ার্ডপ্রেসের সব অলিগলিতে বিচরণ করা যায়। পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট, মাই এসকিউএল এর মতো ভাষা জানলে ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরী করা ওয়েবসাইটের নাড়ী নক্ষত্র সব মডিফাই করা সম্ভব৷ এসব ভাষা না জানলেও খুব বেশি সমস্যা নেই। কেননা, ওয়ার্ডপ্রেসের আছে প্লাগইনের গোডাউন। যেকোনো কাজের জন্যই রয়েছে একাধিক প্লাগইন। তাই খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরী করা ওয়েবসাইট সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ব্লগার – কন্ট্রোল

সাধাসিধা ধাঁচের হওয়ায় ব্লগারে তৈরী করা ওয়েবসাইটে কন্ট্রোলজনিত বেশ খানিকটা ঘাটতি রয়েছে। এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যেগুলো দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্লগারে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যেমন, আপনি চাইলেও সারাজিবন চেষ্টা করে ব্লগারে সরাসারি মেম্বার নিবন্ধন সিস্টেম তৈরী করতে পারবেন না। অথচ মেম্বারশিপ সিস্টেম বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ব্লগারে প্রকাশ করা পোস্টের Slug বাংলা ভাষায় লেখা যায় না। এসব ছাড়াও নিয়ন্ত্রণজনিত প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে ব্লগারে।

তাহলে, নিয়ন্ত্রণের দিক থেকেও বিজয়ী হলো ওয়ার্ডপ্রেস।

#৪ জটিলতা (ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস)

একটা ওয়েবসাইট তৈরীর প্লাটফর্ম যতই কার্যকরী হোক না কেন, যদি সেটা ব্যবহারকারীরা বুঝতেই না পারে, তবে সেটার কোনো মূল্য থাকে না।

আমরা এবার দেখব, কোন প্লাটফর্মের জটিলতা বেশি, WordPress নাকি Blogger এ?

WordPress – জটিলতা

ওয়ার্ডপ্রেস অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি। যেকোনো বয়সী, যেকোনো লেভেলের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিই খুব সহজে ওয়ার্ডপ্রেস বুঝতে পারবে। তবে যেহেতু, ওয়ার্ডপ্রেসে হাজার রকমের প্লাগিন থাকে, আর একেক প্লাগিনের আবার একেক রকম সিস্টেম, তাই সেগুলোর কারণে কারো কারো কাছে ওয়ার্ডপ্রেস একটু জটিল মনে হতে পারে।  ওয়ার্ডপ্রেস অবশ্যই সেই দায় অস্বীকার করবে না। কেননা, ঐসব প্লাগইনও ওয়ার্ডপ্রেসেরই অংশ।

এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট বানানো মানেই হোস্টিং ও ডোমেইন ব্যবহার করা। ডোমেইনের ক্ষেত্রে খুব বেশি জটিলতা না থাকলেও হোস্টিং এ বেশ জটিলতা রয়েছে।

Blogger – জটিলতা

ব্লগার একদম সহজ সরল। বাংলা মায়ের সদ্য জন্ম নেয়া শিশুও বোধহয় ব্লগারে খুব সহজেই ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলতে পারবে এবং বুঝতেও পারবে! (🙄) ব্লগারে পুরো ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের সিস্টেম কম থাকায় এখানে খুব সবকিছুই সহজ, বিন্দুমাত্র জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। আর হোস্টিং এর কথা তো বাদই দিলাম। ওটার উপর ব্লগার ব্যবহারকারীদের তো কোনো নিয়ন্ত্রণই থাকে না। সব রক্ষণাবেক্ষণ করে গুগল।

অতএব, জটিলতার দিক থেকে বিজয়ী হলো গুগল পরিচালিত ব্লগার!

#৫ ডিজাইন – (ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস)

ডিজাইনের দিকে নজর না দেয়া একটি সফল ওয়েবসাইট তৈরীর অন্যতম অন্তরায় হতে পারে৷ ব্লগার আর ওয়ার্ডপ্রেস উভয় প্লাটফর্মেই আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরী করা সম্ভব। তবে কোনটায় এই সম্ভাবনা বেশি, তা জানতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস – ডিজাইন

ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরী করা সম্ভব। ওয়ার্ডপ্রেসের স্টোরে থাকা হাজার হাজার ফ্রি এবং প্রিমিয়াম থিম এক্ষেত্রে অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে আপনার সঙ্গী হতে পারে। এগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই কোডিং এ হাত না দিয়েই অসাধারণ ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন।

শুধু ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব থিম নয়, ওয়ার্ডপ্রেসের বাইরেও রয়েছে হাজার হাজার প্রিমিয়াম থিম, যেগুলো টাকার বিনিময়ে কিনে নেয়া যায়।

এসব থিমের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেসে নির্মিত ওয়েবসাইটের সকল অংশের ইচ্ছেমতো ডিজাইন করা সম্ভব।

আরো আনন্দের ব্যাপার হলো, ওয়ার্ডপ্রেসের থিমগুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়।

ব্লগার – ডিজাইন

ব্লগারের নিজস্ব থিমের পরিমাণ খুবই সামান্য এবং থিমগুলিও আদিম যুগের। তবে ব্লগারের নিজস্ব থিমের বাইরে প্রচুর পরিমাণ কাস্টম থিম রয়েছে, যেগুলো ফ্রিতে কিংবা সামান্য অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে নেয়া যায়।

তবে দুঃখের ব্যাপার হলো, ব্লগারের ওয়েবসাইট ডিজাইন করার ফাংশন খুবই সীমিত। যদি এইচটিএমএল এবং সিএসএস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকে, তবে ওয়েবসাইটের সমস্তকিছু মনের মতো করে ডিজাইন করা সম্ভব হয় না।

সুতরাং ডিজাইনের দিক থেকে বিজয়ী হলো ওয়ার্ডপ্রেস।

#৬ এসইও – (ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যে কোনো ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আর একটি ওয়েবসাইট কতটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড, সেটা ওই ওয়েবসাইট কোন প্লাটফর্মে নির্মিত, তার উপরও খানিকটা নির্ভর করে। তাই এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড প্লাটফর্ম বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ার্ডপ্রেস – এসইও

সত্যি কথা হলো, ওয়ার্ডপ্রেস ডিফল্টভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড নয়। ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট সিস্টেমে সার্চ ইঞ্জিন রিলেটেড তেমন কিছুই নেইও। কিন্তু এখানে একটা ব্যাপার আছে। ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কোনো ফিচার নেই ঠিকই, কিন্তু প্লাগিন তো আছে!

ওয়ার্ডপ্রেসে এসইও এর জন্য অনেক প্লাগিন আছে, যেগুলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে করে তোলে অনেক বেশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড।

সেগুলোর মাঝে অনবদ্য একটি প্লাগিনের নাম হলো YoasT।  এই প্লাগিন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ইন্সটল করে নিলে, ওয়েবসাইটের প্রতিটি পোস্ট ও পেইজে এটি নজরদারী করবে এবং কোথায় কিভাবে অপটিমাইজেশন করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিবে।

Blogger – এসইও

ব্লগার গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট হওয়ায় এটা অত্যন্ত এসইও ফ্রেন্ডলি। এছাড়াও ডিফল্টভাবে ব্লগারের এমন কিছু সিস্টেম আছে, যেগুলো ওয়ার্ডপ্রেসে ডিফল্টভাবে নেই।

কিন্তু সমস্যা হলো, ওয়ার্ডপ্রেসে ডিফল্টভাবে না থাকলেও প্লাগিনের মাধ্যমে এমন অনেক এসইও রিলেটেড কাজ করা যায়, যা ব্লগারে করা যায় না।

তবে ব্লগার এক্ষেত্রে  আগের তুলনায় বেশ খানিকটা উন্নতি করেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ব্লগারে প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য আলাদা আলদা Meta description, Custom Url এর সিস্টেম ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তা সংযুক্ত করা হয়েছে।

তবে খানিকটা প্রতিবন্ধকতা এখনো আছেই। Blogger এ কোনো পেজ বা পোস্টের Url এ বাংলা লেখা সাপোর্ট না করা এবং পোস্টের Url এ তারিখের বাড়তি একটা অংশ থাকা সেগুলোর মাঝে অন্যতম।

অতএব, এসইও এর দিক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস বিজয়ী।

#৭ নিরাপত্তা – (ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার)

মনে করুন, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরী করলেন। সব দিক থেকেই সেটা পারফেক্ট হলো। কিন্তু ২ দিন পরই তা হ্যাক হয়ে গেল।

কেমন লাগবে আপনার? অবশ্যই খুবই খারাপ। এজন্য সঠিক প্লাটফর্ম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রাখা আবশ্যক।

ওয়ার্ডপ্রেস – নিরাপত্তা

ওয়ার্ডপ্রেস অত্যন্ত নিরাপদ। কিন্তু যেহেতু এটার হোস্টিংসহ সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ  থাকছে আপনার হাতে, তাই নিরাপত্তার বিষয়টা অনেকটাই আপনার উপরই নির্ভর করবে।

তবে ওয়ার্ডপ্রেসের নিরাপত্তা বিষয়ক হাজার হাজার প্লাগিন থাকায় নিজের ওয়েবসাইটকে সিকিউর করা আপনার জন্য খুব বেশি ঝামেলার হবে না।

এক্ষেত্রে, ওয়েবসাইটকে পুরোপুরি নিরাপদ রাখার জন্য থিম এবং প্লাগিনগুলো নিয়মিত আপডেট দিতে হবে এবং চোখ কান খোলা রাখতে হবে।

ব্লগার – নিরাপত্তা

ব্লগারের হোস্টিং এবং অন্যান্য গুরুদায়িত্বসমূহ গুগল  নিজে বহন করায় নিরাপত্তার দিক থেকে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী। যে জিমেইল আইডি দিয়ে ব্লগার ওয়েবসাইটটি তৈরী করা হয়েছে, সেই জিমেইলের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হলে ব্লগার ওয়েবসাইট হ্যাক করা অসম্ভব ব্যাপার। এ পর্যন্ত ব্লগার দ্বারা নির্মিত ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি বলা চলে।

তাই আপনার ওয়েবসাইটটি ব্লগারে নির্মিত হলে জিমেইলের পাসওয়ার্ডকে খুব শক্তিশালী করুন এবং নাকে তেল দিয়ে ঘুমান।

তাহলে, নিরাপত্তার দিক থেকে বিজয়ী হলো ব্লগার।

#৮ ভবিষ্যৎ – (ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস)

বর্তমানকে দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা ভাবাও বুদ্ধিমানের কাজ। তাই যেকোনো প্লাটফর্মকে বাছাই করার আগে অবশ্যই সেই প্লাটফর্মের ভবিষ্যৎ এর কথাও ভেবে দেখতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস – ভবিষ্যৎ

ওয়ার্ডপ্রেসের ভবিষ্যৎ এক কথায় বলতে গেলে চাঁদের মতো উজ্জ্বল। ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কম্পিউটারের স্ক্রিনে মুখ গুজে বসে থাকা হাজার হাজার মানুষ ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। ওয়ার্ডপ্রেসের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।

ওয়ার্ডপ্রেসের বর্তমানে যে অবস্থা, তাতে অনুমান করা যায়, ভবিষ্যতের ওয়েবসাইট মেকিং এর জগতের একচ্ছত্র অধিপতি হবে এটি। ওয়ার্ডপ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকতে আপনাকে শুধুমাত্র বারে বারে হোস্টিং ও ডোমেইন রিনিউ করতে হবে। তাহলেই আর কোনো ভয় নেই।

ব্লগার – ভবিষ্যৎ

ব্লগারের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। যেহেতু ব্লগার গুগল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, গুগল চাইলেই এটা বন্ধ করে দিতে পারে যেভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল গুগল প্লাসকে। এছাড়াও গুগল যদি মনে করে, আপনার ওয়েবসাইট তাদের কোনো একটি নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে, তাহলেও ওয়েবসাইটটি তারা ডিলিট করে দিতে পারে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিক থেকে বিজয়ী হলো ওয়ার্ডপ্রেস।

তাহলে আপনার জন্য কোনটা? ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার?

ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার? কোনটা আপনার জন্য সঠিক
ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার? কোনটি আপনার জন্য সঠিক?

আপনার যদি ব্লগিং নিয়ে ধারণা ভালো থাকে এবং নির্দিষ্টভাবে যদি বলতে হয়, তবে বলব “ওয়ার্ডপ্রেস”। ওয়ার্ডপ্রেস সবার জন্যই সেরা। যদিও একটু টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসের মতো সুবিধা ও শান্তি অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

গুগলে কোনো বিষয়ে সার্চ দিলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের তৈরী ওয়েবসাইট হাজারটা পাবেন। কিন্তু ব্লগার ওয়েবসাইট খুব বেশি পাবেন না। ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করে পেশাদারীত্বের যে ছাপ তৈরী করা সম্ভব হয়, ব্লগারে সেটা করা অনেক কঠিন।

তবে কি আপনি ওয়ার্ডপ্রেসকেই বেছে নেবেন? না! আপনি যদি ব্লগিং এর রাজ্যে একদমই নতুন হয়ে থাকেন, তবে ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য ছুটবেন না। ক্ষান্ত হোন এবং ব্লগারের কাছে যান। ব্লগারের সহজ সরল সিস্টেম আগে করায়ত্ত করুন, তারপর মন না টিকলে ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট মাইগ্রেট করে নিন, ব্যস!

কারণ, ব্লগিং এর রাজ্যে পদার্পণ করা একদম নতুন কেউ যদি ওয়েবসাইটের পুরো নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই সে ঘাবড়ে যাবে। বুঝতে পারবে না, কোনটা করলে কি হবে…

সেক্ষেত্রে ব্লগারই তার জন্য সেরা। এখানে ভয় নেই, রিস্ক নেই। তাই সরাসরি কনটেন্ট মেকিং এর দিকে ফোকাস করা যায়।

সহজ কথা হলো-

আপনি কি ব্লগিং এর রাজ্যে একদম নতুন?

তাহলে আপাতত ব্লগার বেছে নিন। পরে ওয়ার্ডপ্রেসে কনটেন্টসহ মাইগ্রেট করার সুযোগ থাকছে।

আপনি কি শুধুই নিজের মতামত প্রকাশের জন্য ব্লগিং করতে চান?

তাহলে সবসময়ের জন্যই ব্লগার আপনার জন্য বেস্ট!

আপনি কি ব্যবসায়িক কারণে কিংবা প্রতিষ্ঠানিক কোনো কাজে ওয়েবসাইট তৈরী করতে চাচ্ছেন?

তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নিন। কারণ ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরী ওয়েবসাইটে পেশাদার ভাব থাকে, যেটা ব্লগার সাইটে থাকে না।

আপনি কি কোনো বৃহৎ উদ্দেশ্য কিংবা টাকা ইনকামের জন্য ব্লগিং করতে চান?

তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসই আপনার জন্য সেরা।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন😌।

উপসংহার

ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার, এই বিতর্ক বহু আগের। একদল মানুষ বলে, ওয়ার্ডপ্রেসে কত্ত ফিচার, ব্লগারে আছেটা কি? ওয়ার্ডপ্রেস যদি এন্ড্রোয়েড হয়, ব্লগার আগেকার নকিয়া মোবাইলের মতো।

অন্যদল এটা শুনে তেতে ওঠে। মুখ ভেংচি দিয়ে বলে, আনলিমিটেড হোস্টিং ফ্রি পাচ্ছো, সাব ডোমেইন ফ্রি পাচ্ছো, রক্ষণাবেক্ষণ,  সার্ভার, সবই গুগল দিচ্ছে, এরপরেও আর কত চাও?

আসলেই কিন্তু তাই। ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার উভয়ই অনেক ভালো প্লাটফর্ম।  ভালো হওয়ার জন্যই জুমলা, ড্রুপালের মতো প্লাটফর্ম এদের আজও টেক্কা দিতে পারেনি। তাই বিভ্রান্তি থেকে রেহাই পেতে যে কোনো একটা প্লাটফর্মে যাত্রা শুরু করে দিন। ঠিকমতো কাজ করলে সফলতা সুনিশ্চিত।

তথ্যসূূূত্রঃ

  • ShoutmeLoud

প্রয়োজন মনে হলে পড়ে নিতে পারেন –