শিশুদের প্রস্রাবের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

শিশুদের প্রস্রাবের বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় ব্যবহারযোগ্য সেরা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ ও তাদের লক্ষণ নির্দেশনা বিষয়ে আজকের লেখাটি সাজানো হয়েছে।

কোন কোন শিশুর প্রস্রাব কখনও কখনও পরিমানে ও সংখ্যায় এত বেশি হয় যে, একবারে এক’সের থেকে দু’সের পর্যন্ত হয়। প্রতি ঘন্টায় একবার বা দুইবার হয়। এইজন্য তার ঘুমের অত্যন্ত ব্যাঘাত ঘটে ও শরীর ক্রমশঃ রক্তশূন্য হতে থাকে।

অ্যাসিড ফস ৩X, ৬ ও ইউরেনিয়াম নাইট্রিকাম ৩X বিচূর্ণ এবং নেট্রাম সালফ ৩০ এ রোগের উৎকৃষ্ট ওষুধ।

শিশুদের প্রস্রাব বন্ধ হলে প্রয়োগযোগ্য সেরা হোমিও ওষুধ

সদ্যজাত শিশুর যদি শীঘ্রই প্রস্রাব না হয় এবং মূত্রনালী বন্ধ না থাকে তবে তড়িঘড়ি করে কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব না হলে – অ্যাকোনাইট ৩ দুই একমাত্রা প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে কাজ না হলে লক্ষণ অনুযায়ী বেলাডোনা ৬ বা অপিয়াম ৩০ প্রায়ই আবশ্যক হয়।

তলপেটে গরম পানির সেঁক দিলে প্রস্রাব হতে পারে।

শিশুদের প্রস্রাবে দুর্গন্ধ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

প্রস্রাব পুঁতি গন্ধযুক্ত হলে- বেঞ্জোয়িক অ্যাসিড ৩, লাইকোপোডিয়াম ৩০, নাইট্রিক অ্যাসিড ৩০ বা সিপিয়া ৬।

আঁসটে গন্ধযুক্ত হলে- ইউরোনিয়াম নাইট্রিকাম ৩।

রসুনের গন্ধযুক্ত হলে- কিউপ্রিয়াম আর্স ৬।

ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত হলে- নাইট্রিক অ্যাসিড ৩০, বেঞ্জোয়িক অ্যাসিড ৬, বোরাক্স ৬, চিনিমাম সালফ ৬, সালফার ৩০ লক্ষণ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।

বিড়াল বা ঘোড়ার প্রস্রাবের মতো গন্ধ হলে- নাইট্রিক অ্যাসিড ৩০, বেঞ্জোয়িক অ্যাসিড ৬।

টক গন্ধযুক্ত হলে- ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০ বা গ্রাফাইটিস ৩০।

মিষ্টি গন্ধযুক্ত হলে- টেরিবিন্থ ৬।

আরও পড়ুন-

শিশুদের সর্দি-কাশির হোমিও চিকিৎসা

Leave a Comment