গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণে, ক্রিমি বা দাঁত ওঠার সময় অথবা হজম শক্তি দুর্বল থাকলে অনেক সময় শিশুদের ডায়রিয়া (Diarrhoea) বা পাতলা পায়খানার সমস্যা দেখা দেয়।
অনেক সময় দেখা যায় স্বাভাবিক প্রচলিত চিকিৎসা সঠিকভাবে নেয়ার পরও শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হয় না। দু চারদিন ভালো থাকার পর আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আমাদের আজকের লেখাটি এ ধরনের শিশুকে স্থায়ীভাবে সুস্থ করে তোলার জন্য নিবেদিত।
নিচে শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধের লক্ষণ নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে।
শিশুদের ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার সেরা হোমিও ওষুধ
ঠান্ডা লেগে উদরাময় বা পাতলা পায়খানা এবং সেই সাথে শ্লেষ্মা বর্তমানে – অ্যাকোনাইট ৩X প্রযোজ্য।
গুরুপাক খাবার খেয়ে উদরাময় হলে – পালসেটিলা – ৬।
পেট ফাঁপার জন্য ব্যথা, নাভীর নিচে তলপেট কামড়ানো, মুখ ফ্যাকাশে ও কাঁপুনি লক্ষণে – পালসেটিলা ৩০।
দাঁত উঠার সময় সর্দি লেগে উদরাময় সঙ্গে বমি বা বমির ইচ্ছা থাকলে – ইপিকাক ৬।
পেট কামড়ানোর জন্য সামনের দিকে বেঁকে পড়লে বা চাপ দিয়ে রাখলে শান্ত বোধ লক্ষণে – কলোসিন্থ ৬।
পেট ব্যথায় শিশু অস্থির হয়ে পড়লে এবং তার কারণ নির্ণয় করতে না পারলে – ম্যাগ্নেসিয়া ফস ১২X বিচূর্ণ (গরম পানির সাথে মিশিয়ে) খেতে দিতে হবে।
অম্ল গন্ধ বিশিষ্ট আঠা আঠা বা ফেনা যুক্ত বেশি পরিমাণে মল নিঃসরণ এবং সেই সাথে পেট কামড়ানোর লক্ষণে (বিশেষ করে দাঁত ওঠার সময়) – রিউম ৩।
কাদার মত ভেদ ও পিপাসা থাকলে – মার্কিউরিয়াস ডালসিস ৬।
আমময় ভেদ ও সেই সঙ্গে রক্ত থাকলে – মার্ক কর ৬।
চাল ধোয়া পানির মতো ভেদ – ভিরেট্রাম অ্যালবাম ৬।
ক্যালকেরিয়া কার্ব ৩০, চায়না ৬, কার্বোভেজ ৩০ সময় সময় দরকার হতে পারে।
পুরোনো উদরাময় বা ডায়রিয়া চিকিৎসায় আর্সেনিক ৩০ ও সালফার ৩০ ভালো কাজ করে।
গ্রীষ্মকালে শিশু উদরাময় শঙ্কাজনক। তখন খুব সাবধানে চিকিৎসা করা উচিত। মাছি দ্বারা এ রোগ সংক্রমিত হয়। যাতে শিশুদের শরীরে মাছি বসতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা আবশ্যক।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে অথবা এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে, কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা কিছু বলার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানাবেন।
আরও পড়ুন-