শিশুকে মায়ের বুকের দুধ না দিয়ে গরুর দুধ বা পাউডার দুধ খাওয়ালে অনেক সময় শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া যকৃতের অসুস্থতা বা গর্ভাবস্থায় মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আজকের আলোচনায় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেরা হোমিও ওষুধ সমূহ ও তাদের লক্ষণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেরা হোমিও ওষুধ
বুকের দুধ থেকে বঞ্চিত শিশুদের চিকিৎসায় ব্রায়োনিয়া ৩, ৩০ বা অ্যালুমিনা উৎকৃষ্ট ওষুধ। খাবার খাওয়ার ঠিক পরমুহূর্তেই বমি হলে ব্রায়োনিয়া উপকারি।
ভুক্তদ্রব্যের কণা বিশিষ্ট সাদা বর্ণের কঠিন ভেদ বমি ও সেই সঙ্গে কোষ্ঠবদ্ধতার জন্য শিশু দিন দিন দুর্বল হতে থাকলে – ক্যালকেরিয়া কার্ব ৬।
কঠিন মল বা পায়খানা বহু কষ্টে অল্প পরিমাণে নির্গত হলে এবং পেটে বায়ু সঞ্চয় হয়ে গড়গড় করলে – লাইকো ৩০।
পেট কামড়ানো ও পেটফাঁপা, মোটা, লম্বা ও কঠিন মল অতি কষ্টে নির্গত হওয়া লক্ষণে – নাক্স ভম ৩০।
উদরাময়ের পরে অথবা জোলাপ নেয়ার পরে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং সেই কারনে গুটলে গুটলে মল নির্গত হলে – ওপিয়াম ৩০।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রবণতা যুক্ত অর্থাৎ প্রায়ই কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দেয় এমন শিশুদের মাঝে মধ্যে সালফার ৩০ প্রযোজ্য।
কোন ওষুধ প্রয়োগে কাজ না হলে এবং পেটে ফাঁপা, মল শক্ত ও কালোবর্ণ লক্ষণে – প্লাম্বাম ৬।
পাকস্থলীর গোলযোগ ও জিভের উপর সাদা দাগ পড়লে – অ্যান্টিম ক্রুড ৩০।
প্রয়োজন হলে গ্লিসারিন সহ গরম পানি দিয়ে পায়খানা করানো যাবে। গ্লিসারিন সাপোজিটারি ব্যবহারেও মল সহজে নির্গত হয়।
পেট ফাঁপার জন্য কষ্ট হলে পাঁচ-ছয় ফোঁটা তার্পিন তেল শিশুর পেটের উপর ছড়িয়ে দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে খুব আস্তে আস্তে মালিশ করলে বা মুক্তাঝুরির পাতা বেঁটে মলদ্বারে প্রলেপ দিলে সহজে মল নির্গত হয়।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে অথবা এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে, কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা কিছু বলার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানাবেন।
আরও পড়ুন-