এই সমস্যা সাইকোসোমেটিকের কারণে (ভয়, চিন্তা, অপমান, ক্রোধ) অথবা শারীরিক সমস্যা অর্থাৎ মূত্রনালীতে স্ফিঙ্কটার মাংসপেশীর দুর্বলতার জন্য হতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিছানায় প্রস্রাব করার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্নায়বিক উত্তেজনা, ক্রিমি দোষ প্রভৃতির কারনে মূত্রাশয়ের সংরক্ষণ শক্তির হ্রাস পেলে কিছু বেশি বয়সেও শিশু ঘুমন্ত অবস্থায় অসাড়ে বিছানায় প্রস্রাব করে।
শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করার সেরা হোমিও ওষুধ
ক্রিমির জন্য হলে সিনা ৩X, ২০০।
অ্যাসিড ফস
স্নায়ুতন্ত্রের কারণে মানসিক ও শারীরিক অক্ষমতা (রাতে বিছানায় মূত্রত্যাগ) নিয়ন্ত্রণ করতে উপযোগী।
ক্রিয়োজোট
রাতের প্রথম প্রহরে বিছানায় প্রস্রাব করা নিয়ন্ত্রণ করে। বাচ্চা নিদ্রায় স্বপ্ন দেখে যে সে বাথরুমে প্রস্রাব করছে। বিছানায় প্রস্রাব করে সে অপরাধ বোধে ভোগে। প্রস্রাবের ইচ্ছা হলে শিশু নিজেকে রুখতে পারে না।
স্ট্যাফিসেগ্রিয়া
মূত্রাশয়ের ক্রিয়া প্রণালীতে খারাপ বোধ হওয়া, খিটখিটেপণা ও ঘাবরানির লক্ষণ দেখা যায়। পরিণাম স্বরুপ না চাইলেও প্রস্রাব করার ইচ্ছা হয়। বার বার প্রস্রাব হওয়ার জন্য সে প্রস্রাবের বেগ রুখতে পারে না। এই সমস্যার সমাধানে স্ট্যাফিসাগ্রিয়া খুব ভালো কাজ করে।
পেট্রোসেলিনাম স্যাটিভাম
এটি মূত্রত্যাগের ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করে মাংসপেশীর খিঁচুনি কম করে। এই প্রকারে মূত্রথলিতে মূত্র রোধ করার ক্ষমতা শোধরায়।
ট্যাবেকাম
এটি স্ফিঙ্কটার এর দুর্বলতা দূর করে বিছানা ভিজানোর লক্ষণ গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
ফেরাম ফস
এটি স্ফিঙ্কটার এর দুর্বলতা থেকে নকচ্যুরাল অনুরোসিস এর জন্য শ্রেষ্ঠ। এই রোগ হলে বাচ্চার রং হলুদ বর্ণের হয়ে যায়। তার রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয় ও বার বার প্রস্রাব করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
গভীর ঘুমের সময় প্রস্রাব হলে – বেলেডোনা ৬।
দিনে বা রাতে প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা বা প্রস্রাব করার সময় স্বপ্ন দেখলে ইকুইজিটাম ৩, ৬।
দিনে বা রাতে প্রস্রাব ধারণে অক্ষম হলে – জেলসিমিয়াম ৩X।
প্রস্রাবে ইউরিক এসিড থাকলে – লাইকো ৬।
মূলেন অয়েল এর একটি উৎকৃষ্ট ওষুধ। এটি ২ থেকে ৫ ফোঁটা দিনে ২ বার খেলে ভালো কাজ করে।
রাতে শিশুকে বিছানা থেকে উঠিয়ে মাঝে মাঝে প্রস্রাব করালে সময় সময় ওষুধ ছাড়াই ভালো হতে দেখা যায়।
শিশু বিছানায় প্রস্রাব করলে করণীয় কি?
যথাযথ ক্রিমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হলে, ঘুমানোর আগে বেশি পরিমাণ পানি পান থেকে বিরত রেখে বা নিয়ন্ত্রণ করে, মূত্রনালীর সংক্রমণ, জননাঙ্গ সংক্রান্ত অস্বাভাবিকতা ও অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের চিকিৎসা করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন-
শিশুদের প্রস্রাবের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা