ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায়?

আজকের আলোচনায় ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায়; প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং করি – এই কথাটি আজকাল অনেকের মুখেই শোভা পাচ্ছে। যারা এই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শব্দটি প্রথম শোনে, তারা ভ্রু কুঁচকায় এবং যারা শব্দটি আগেও শুনেছে; তারা চোখ মুখ গোল করে দ্রুত মাথা উপর নিচ করে।

তারপর হয়তো বাড়ি ফিরে গুগলে সার্চ করে- ফ্রিল্যান্সিং কি, কেন ফ্রিল্যান্সিং করবো, ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার উপায়, এটা করে কি সংসার চলে, ইত্যাদি ইত্যাদি 😀।

সূচীপত্র

ফ্রিল্যান্সিং কি? (What is Freelancing in Bangla)

ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হলো মুক্ত পেশা।

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেয়াকে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলা হয়।

সহজ কথায় মনে করুন, আপনি বেশ ভালো ছবি এডিট করতে পারেন। তাই, অনলাইনে ছোট বড় বিভিন্ন কোম্পানি এবং লোকদের জানালেন, আমাকে এতো টাকা দাও, আমি তোমার ছবি এডিট করে দেবো। এরকম চুক্তির বিনিময়ে কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন নির্ভর পেশা হওয়ায় যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তারা বাড়িতে বসেই তাদের কাজ শেষ করতে পারে। তাই ফ্রিল্যান্সিং অনেকের কাছেই বেশ আরামদায়ক পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়।

তবে, ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে সব সময়ই ঘরে বসে কাজ করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের অফিসে যেয়েও কাজ করে দিয়ে আসতে হয়। কিন্তু সেটা অবশ্যই চুক্তির ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী কাজ হবে। কাজ শেষে সেই ফ্রিল্যান্সারের উপর ঐ ক্লায়েন্টের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না।

একটা কথা না বললেই নয়, বাড়িতে ল্যাপটপের সামনে বসে অফিসের কাজ করা সবাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে না। বর্তমানে অনেক জব আছে, যেগুলো মাসিক বেতনের ভিত্তিতে হলেও ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার সুযোগ থাকে। এসব বেতনভিত্তিক চাকরী মোটেও ফ্রিল্যান্সিং এর কাতারে পড়ে না।

ফ্রিল্যান্সার কাদের বলা হয়?

ফ্রিল্যান্সার হলো একজন স্বনির্ভর মানুষ, যিনি নিজের দক্ষতা (Skill) ব্যবহার করে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন। সহজ কথায়, যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তাদেরকেই ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) বলা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ – সূত্র: The Daily Star.

প্রতিনিয়তই পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ধীরে ধীরে এটি অন্যতম স্মার্ট একটি জব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।

এখানে বলে রাখা ভালো, একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট তাদের ওয়েবসাইটের নাম রেখেছে “ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)”। এটি একটি পুরোনো ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম। তাই কেউ যদি বলে, ফ্রিল্যান্সার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম, তাও ভুল হবে না। (মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আমরা একটু পরই আরো অনেক কিছু জানবো।)

ফ্রিল্যান্সারদের কাজ কি- সেটা অনেকেই জানে না। আশেপাশের একেকজন ফ্রিল্যান্সারের একেকরকম কাজ দেখে অনেকে দ্বিধান্বিত হয়ে যায়। তাই, এই বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজ কি?

একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজ কি – সেটা বোঝার আগে আমাদের জানতে হবে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের বৈচিত্র্য অনেক বেশি।

মনে করুন, আপনার ছোট ভাই একজন ফ্রিল্যান্সার। সে আপনাকে বলেছে, তার কাজ হলো ওয়েবসাইট তৈরি করা।

একদিন, আপনার একজন দূরসম্পর্কের আত্মীয় এসে আপনাকে জানালো, সেও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে।

তার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা শুনে যদি আপনি ভেবে বসেন- সেও ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করে, তাহলে সেটা ভুল হবে। হতে পারে, সে লোগো ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করছে

জেনে অবাক হবেন, একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আপওয়ার্কে ৮ টি ভিন্ন ক্যাটেগরিতে সর্বমোট সহস্রাধিক কাজ রয়েছে। নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন, ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের ক্ষেত্র কত বিশাল।

এখানে সব ধরণের কাজই পাওয়া যায়। একজন Freelancer যে কাজটি সবচেয়ে ভালো পারে, সেটাকেই সে নিজের জন্য বেছে নেয়। এখানে পছন্দসই কাজ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা থাকে না।

একটু পরেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এবং দক্ষতাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

Freelancing Marketplace মানে কি?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো এমন এক ওয়েবসাইট, যেখানে মানুষজন তাদের ছোট-বড় কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজ করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা খোঁজে তাদের জন্য উপযুক্ত কাজ।

মূলত, মার্কেটপ্লেসগুলো ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের ভেতর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। তারা দুই পক্ষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মনে করুন, পৃথিবীর একপ্রান্তে বসবাসরত আপনি খুব ভালো এ্যানিমেশন তৈরি করতে পারেন। এদিকে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বসে, আমি আমার প্রজেক্টের জন্য একজন এ্যানিমেটরকে খুঁজছি।

প্রশ্ন হলো, আমি আপনাকে খুঁজে পাবো কিভাবে? এই সমস্যা সমাধানের জন্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হয়েছিল।

এসব মার্কেটপ্লেসে আমার মতো যাদের প্রজেক্টের জন্য এ্যানিমেটর, ডেভেলপার কিংবা ডিজাইনার প্রয়োজন, তারা নিজেদের চাহিদার কথা জানিয়ে ‘জব পোস্ট’ করে।

আবার, আপনার মতো এ্যানিমেটর, ডেভেলপার, ডিজাইনাররাও এখানে ক্লায়েন্টের অপেক্ষায় থাকে এবং কোনো ‘জব পোস্ট’ দেখলে সেই কাজটা পাওয়ার জন্য আবেদন করে। কাজের জন্য এই অবেদন করাকে মার্কেটপ্লেসের ভাষায় বলা হয় বিড করা।

পোস্টকর্তা বা ক্লায়েন্ট আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এক বা একাধিকজনকে তার কাজের জন্য বেছে নেয়।

শুধু ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্সার খোঁজা নয়, কাজের জন্য বিনিময় করা অর্থ লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও মার্কেটপ্লেসগুলো প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।

একজন ক্লায়েন্ট যখন কোনো ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার কথা ভাবে, তখন সেই কাজটার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ মূল্য মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাকে আগেই জমা দিয়ে দিতে হয়। ক্লায়েন্ট মার্কেটপ্লেসে টাকা জমা দেয়ার পরই ফ্রিল্যান্সার তার কাজ শুরু করে।

এরপর, ফ্রিল্যান্সারের কাজ শেষ হলে, মার্কেটপ্লেস ক্লায়েন্টের জমা দেয়া টাকার কিছু অংশ নিজে রেখে বাকিটা ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার – কেউ কাউকে ঠকাতে পারে না।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দেশী-বিদেশী প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা নিচে দেয়া হলো-

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা

  • Upwork
  • Fiverr
  • Freelancer
  • Guru
  • PeoplePerHour
  • Toptal
  • flexjobs
  • 99Designs
  • Envato
  • Hireable

এই প্রতিটি মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে।

আরও পড়ুন-

আউটসোর্সিং কি? (What is Outsourcing in Bangla)

❝ Outsourcing is an agreement in which one company hires another company to be responsible for a planned or existing activity that is or could be done internally and sometimes involves transferring employees and assets from one firm to another. ❞

– Wikipedia

মনে করুন, “রতন প্রোডাকশন হাউজ” নামে আপনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট বানানো প্রয়োজন। আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারী থাকলেও, তাদের কেউই ওয়েবসাইট বানাতে পারে না।

এখন, যদি আপনি ওয়েবসাইট বানিয়ে নেওয়ার জন্য কোম্পানীর বাইরের কাউকে ভাড়া করেন, তাহলে এটাকে আউটসোর্সিং বলা হবে।

ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়ার জন্য যাকে ভাড়া করা হলো, তার দিক থেকে চিন্তা করলে এটা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং-ই। কিন্তু আপনার জন্য এটা আউটসোর্সিং (outsourcing) । কারণ আপনি নিজের কোম্পানীর বাইরের কাউকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিয়েছেন।

সহজ কথায়, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যারা ফ্রিল্যান্স্যারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়, যাদেরকে ফ্রিল্যান্সাররা ‘ক্লায়েন্ট’ বলে সম্বোধন করে – তারাই মূলত আউটসোর্সিং করছে।

কিন্তু, এমন অনেকে আছেন, যারা আউটসোর্সিংকে ফ্রিল্যান্সিং এর সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করেন এবং Freelancing ও Outsourcing কে একই কাজ মনে করেন – যা সম্পূর্ণ ভুল।

ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সার প্রতি এক ঘন্টা কাজের বিনিময়ে কত ডলার নিবে, সেটা প্রোফাইলে লিখে রাখে।

এছাড়াও, ক্লায়েন্টরা কাজের জন্য মার্কেটপ্লেসে পোস্ট করলে সেখানে উল্লেখ করেই দেয়, কাজটি করার জন্য সে কত টাকা পারিশ্রমিক দিতে ইচ্ছুক।

ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায় – বাংলাদেশের একজন ফ্রিল্যান্সার এর উদাহরণ

উদাহরণ হিসেবে, উপরের ছবির ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইলটি দেখুন। ইনি একজন বাংলাদেশী ফটো এডিটর এবং ঘন্টাপ্রতি চার্জ করেন কমপক্ষে ১৫ ডলার, যার বাংলাদেশী মূল্য প্রায় ১২৭০ টাকা।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার প্রমাণ
ফ্রিল্যান্সিং শিখে কত টাকা আয় করা যায় : বাংলাদেশের একজন ফ্রিল্যান্সার এর ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম এর উদাহরণ

উনি এ পর্যন্ত ২৩৯টি কাজ করেছেন এবং এজন্য তার প্রায় ১১৮ ঘন্টা সময় লেগেছে। সব মিলিয়ে তার আয় হয়েছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার প্লাস বা ২৪ লাখ টাকারও বেশি।

আপনার যদি ভালো দক্ষতা থাকে এবং ঠিকঠাকমতো সেটার মার্কেটিং করতে পারেন, তবে নিঃসন্দেহে এরকম কিংবা এরচেয়েও অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমি এনার প্রোফাইলটি মোটেও যাচাই বাছাই করে আপনাদের দেখাচ্ছি না। অনেকে ভাবতে পারেন, এটাই হয়তো আপওয়ার্কে বাংলাদেশীদের দ্বারা আয়কৃত সর্বোচ্চ ইনকাম, তাই এনারটাই শুধু আমি উল্লেখ করেছি। আসলে তা নয়।

আপওয়ার্কের বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা থেকে দৈবভাবে এই প্রোফাইলটি এই আর্টিকেলে প্রকাশের জন্য বাছাই করা হয়েছে।

উনার আয়ের পরিমাণটা একজন ফ্রিল্যান্সারের মোট ইনকাম হিসেবে আদৌ খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়। বাংলাদেশী এমন অনেকে আছেন, যারা আপওয়ার্কে এরচেয়েও অনেক বেশি টাকা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করে চলেছেন।

অবশ্য, এমন লোকেরও অভাব নেই, যারা কয়েক বছরেও নূন্যতম এক ডলার আয় করতে পারেনি। অনেকে আয় করা তো দূর, কাজই পান না। কেউবা আবার ২-৩ টা কাজ পেয়ে সেগুলোতে মারাত্মক ভুল করায় বাজে রিভিউ পেয়েছেন বলে কেউ আর পাত্তা দেয় না।

আপনি এই সফল এবং ব্যর্থ দল দুইটির মধ্যে কোন দলে শরীক হবেন, সেটা আপনার দক্ষতা বা স্কিলই বলে দেবে। (ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল বাড়ানোর ব্যাপারে জানতে আরেকটু অপেক্ষা করুন।)

মূলকথা হলো, ফ্রিল্যান্সিং-এ টাকা আয়ের প্রচুর সুযোগ আছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো অনেকটাই নদীর মতো। আপনি বড়শী হাতে নদীর পাড়ে বসে থাকবেন কাজের আশায়। যত বেশি কাজ পাবেন, তত বেশি ইনকাম হবে আপনার। আর ইনকামের কোনো লিমিট নেই।

এখানে বাংলাদেশীদের ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যান যুক্ত করা হলো :–

  • Elancer নামক একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট জানিয়েছে, সেই ওয়েবসাইটে কাজ করা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৯ ডলার করে আয় করে।
  • ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র এই একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশীদের দ্বারা আয়কৃত মোট অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। পরবর্তীতে অবশ্য Elancer আপওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। সূত্র: Advance It Center

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষিত যুবকদের একটি বড় অংশই পুরোপুরি বেকার। বেকারত্বের হতাশা থেকে বাঁচার অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং করা।

বর্তমানে পৃথিবীর বহু মানুষ ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং করে অন্য কোনো চাকরী ছাড়াই দিব্যি হেসে খেলে জীবন পার করতে পারছে। এতে রাষ্ট্র যেমন বেকরত্বের অতিরিক্ত চাপ থেকে হালকা হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে স্বাবলম্বী মানুষের সংখ্যা।

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের যুবকদের কাছে ফিল্যান্সিং প্রিয় একটি সেক্টর। এজন্যই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সবাই সফল হতে পারে না। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য?

  • যারা সহজেই হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়।
  • যাদের শেখার মন মানসিকতা আছে।
  • যারা পরিশ্রম করতে জানে।
  • যাদেরকে টাকার চেয়ে নির্দিষ্ট কোনো কাজই বেশি আনন্দ দেয়।
  • যারা ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে বিরক্ত হয় না।
  • যারা নিজের দক্ষতা আন্তর্জাতিক লেভেলে নিয়ে যেতে চায়।
  • যাদের চেলেঞ্জ মোকাবেলা করতে ভালো লাগে।

ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য নয়?

  • যারা লোভে পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই।
  • যারা কাজের চেয়ে টাকাকে বেশি মূল্যায়ন করে।
  • যারা অতিরিক্ত বহিঃমুখি স্বভাবের।
  • যারা একবার একটা কিছু শিখে নিয়ে আজিবন শুধু ঐটুকু জ্ঞান বেঁচেই অর্থ উপার্জন করতে চায়।
  • যারা ঝুঁকি নিতে পারে না।
  • যারা সবকিছুতেই শর্টকাট খোঁজে।
  • যারা ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং করার প্রথম ১-২ মাসেই হাজার হাজার টাকা কামানো যাবে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ করার জন্য কি কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ করার জন্য আপনার নিম্নলিখিত উপাদানগুলো থাকা খুবই দরকার।

  • কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা।
  • একটি ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। তবে, কিছু কিছু কাজ (যেমন: রাইটিং, ট্রান্সলেশন ইত্যাদী) এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়েও অতি সহজে সেড়ে নেয়া যায়।
  • একটি উর্বর মস্তিষ্ক। যে মস্তিষ্ক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, মন ভরে কৌতুহল বহন করতে পারে এবং অতি অবশ্যই – নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা আছে যার।
  • সাধারণ ইংরেজি ভাষাজ্ঞান।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা।
  • একটি পোর্টিফোলিও ওয়েবসাইট। (এটা কাজ শেখার পর বানাতে হবে)

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার পথ মোটেও মসৃণ হয় না। প্রথম অবস্থাতেই অনেকে হাল ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে শেখার ধাপই অধিকাংশ মানুষ শেষ করতে পারে না।

সে যাই হোক। যদি আপনি আর্টিকেলের কোনো অংশ স্কিপ না করে এই পর্যন্ত পড়ে থাকেন, তবে আমাদের বিশ্বাস, আপনি সফলদের দলে নাম লেখাতে পারবেন।

শেখার মতো স্কিল বা দক্ষতা বাছাই

আগেই বলা হয়েছে, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা।

আমরা ধরে নিচ্ছি, আপনি কোনো বিষয়ের উপরই দক্ষ নন এবং এটাও জানেন না যে, এতো এতো স্কিলের মধ্যে কোনটিকে শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়ায় প্রবেশ করবেন।

নির্দিষ্ট একটি বিষয় বাছাই করার ক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের ক্যাটাগরি পেইজে যেয়ে আপনার মোটামুটি জানাশোনা কয়েকটি বিষয় পছন্দের তালিকায় নিন বা খাতায় লিখে ফেলুন।

এসব ক্যাটাগরিতে যেসব ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে ভালো করছে, তারা কেমন কাজ পাচ্ছে সেটা পর্যবেক্ষণ করুন (এটা করা খুব সহজ। একটু পর স্কিনশর্ট দিয়ে উদাহরণ দেখানো হবে।)। এর মাধ্যমে বোঝা যাবে, মার্কেটে ঐ বিষয়ের আদৌ কোনো চাহিদা আছে কিনা।

খেয়াল করুন, যেসব ফ্রিল্যান্সাররা এসব বিষয়ে আগে থেকেই কাজ করছে, তারা ঠিক কত পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পেরেছে। তাদের আয় করা টাকার সমপরিমাণ যদি আপনি পেতেন, তবে আপনার পোষাতো কিনা।

উদাহরণস্বরুপ, আপওয়ার্কের ক্যাটাগরি পেইজে যেয়ে “Type of work” এ যেকোনো একটি টাইপ সিলেক্ট করুন।

আমি “Writing & Translation” সিলেক্ট করেছি।

এরপর আমার সামনে ৬১টি জবের লিস্টওয়ালা একটি পেইজ প্রদর্শিত হয়। সেখান থেকে আমি “Content Writers” বাছাই করি। কারণ, আমি এটার প্রতি আমার ইন্টারেস্ট একটু বেশিই।

এরপর এই সেক্টরে যত ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কে কাজ করে, তাদের সবার নাম প্রদর্শিত হয়েছে। আমি দৈবভাবে একজনকে সিলেক্ট করি। আমি দেখতে চাই, কনটেন্ট রাইটার হিসেবে তার Progress কেমন।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার একটি উদাহরণ
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার একটি উদাহরণ

সাধারণভাবে দেখা যাচ্ছে, সে ঘন্টায় ২০ ডলার হিসেবে পারিশ্রমিক নেয়। ২৬১ টা কাজ পেয়েছে এবং তারপরও ৫ স্টার! আগ্রহী হয়ে আমি তার প্রোফাইলে ঢুকি।

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় : প্রমাণ দেখুন
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার প্রমাণ

প্রোফাইলে গিয়ে দেখতে পাই, তার আর্নিং প্রায় ৯০ হাজার ডলার! এই পরিমাণ টাকা বাংলাদেশী একজন সাধারণ মানুষের জন্য সারাজীবনের ইনকামের চেয়েও অনেক বেশি! তাই আমি আগ্রহী হয়ে সে কি কি কাজ করে এতো টাকা পেলো, সেটা দেখতে চাই।

বলে রাখা ভালো, আপনার আপওয়ার্কে এ্যাকাউন্ট না থাকলে আর্নিং এর বিষয়ে কোনো তথ্য আপনি পাবেন না। তাই, অনুগ্রহ করে আপওয়ার্কে এ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন। এ্যাকাউন্ট তৈরি করা অত্যন্ত সহজ। তাই সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখছি না।

আমি তার কাজের লিস্ট দেখলাম এবং বুঝলাম যে, তার এই আয়ের সিংহভাগই এসেছে কনটেন্ট রাইটিং থেকে।

এরকম আরো অনেক কনটেন্ট রাইটারকে আমি পর্যবেক্ষণ করি। তারপর নিশ্চিত হই যে, কনটেন্ট রাইটিং-এ কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং এই চাহিদা সহজে শেষ হওয়ার নয়।

আমি একইভাবে আরো কিছু বিষয় (যেমনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং) এর ফ্রিল্যান্সারদের আইডিও দেখেছি। আপনাকেও এভাবে বিভাগ বেছে বেছে পছন্দের সেক্টরগুলোর ফ্রিল্যান্সারদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এভাবে যাচাই বাছাই করে একাধিক বিষয়কে সিলেক্ট করে নিয়ে ফাইনাল বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

ফাইনাল বিষয় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বাছাই করার প্রতিটি বিষয়কে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলো দিয়ে ছেঁকে নেয়া প্রয়োজন।

  • এই বিষয়টির প্রতি আপনার আগ্রহবোধ আছে কিনা।
  • এই বিষয়টি নিয়ে আপনি দীর্ঘদিন রিসার্চ করতে পারবেন কিনা।
  • এই বিষয়টির কাজকর্ম আপনার কাছে সহজ মনে হয় কিনা।
  • আপনার বাছাই করা বিষয়গুলোর মধ্যে যে বিষয়টির সাথে এগুলোর উত্তর মনঃপুত হবে, সেই বিষয়টিকেই শেখার জন্য বেছে নিবেন। একাধিক বিষয় একই সময়ে শেখার চেষ্টা করবেন না, তাতে হিতের বিপরীত হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। সেগুলো হলো, প্রিমিয়াম অনলাইন বা অফলাইন কোর্স, ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রি তে শেখা এবং ফ্রিল্যান্সিং এর বই ঘাটাঘাটি করে শেখা।

কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় নির্বাচনের পর সেটা শেখার জন্য অনলাইন/অফলাইন কোর্সে ভর্তি হওয়া একটা ভালো উপায়। এক্ষেত্রে, সঠিক কোর্স খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান বাজারে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর শত শত চটকদার কোর্সের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে রয়েছে। এগুলো থেকে যত দূরে থাকতে পারবেন, ততই ভালো।

এমন অনেক লোক আছে দেখবেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং না করেই ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল শেখাতে বসে গেছে। যদি কোনো ব্যক্তির কাছে কোনো স্কিল শিখতে যান, পেমেন্ট করার আগে প্রথমেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে তার প্রোফাইল লিংক চাইবেন।

এরপর উপরের মতো করে তার Progress দেখে নিবেন। Progress আকর্ষণীয় না হলে পিছিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।

ফেসবুকে অনেক সময় অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে কোর্স বিক্রি করতে দেখা যায়। এগুলোর বেশিরভাগই চুরি করা কোর্সের ভিডিও। মানে, যারা অনেক আগে বড় বড় ট্রেইনারদের কাছে কোর্স করেছিল, তারা কোর্সের ভিডিওগুলো তখন সংরক্ষণ করে এখন বিক্রি করছে।

এসব কোর্স করলে আপনি কোর্স শেষে স্বীকৃতি হিসেবে সার্টিফিকেট পাবেন না। কোর্স করা কালীন সময়ে কিংবা কোর্স শেষ হয়ে যারা পর কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ট্রিইনারের সাহায্যও পাবেন না।

পাশাপাশি, যেহেতু এসব ভিডিও পুরোনো, তাই নির্দিষ্ট সেক্টরের আপডেট নিউজ বা ট্রেইনারের আপডেট ভিডিওগুলো থেকে বঞ্চিত হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আমি নিচের প্লাটফর্মগুলোর একটি ব্যবহারের জন্য রিকমেন্ড করবো।

  • ফ্রিল্যান্সার খালিদ ফারহানের কোর্স
  • বাংলাদেশী প্লাটফর্ম বহুব্রীহি এর কোর্স
  • টেনমিনিটস স্কুলের কোর্স

এই তিনটি প্লাটফর্মের কোর্সই সমানভাবে আকর্ষণীয় এবং নিশ্চিন্তে ভর্তি হওয়ার যোগ্য।

ইউটিউব থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন (ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম)

আপনি কোন স্কিলটি শিখতে চাইছেন, সেটি লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন। সাঁজানো গোছানো অনেক চ্যানেল খুঁজে পাবেন৷ কিছু চ্যানেলে ক্লাস অনুযায়ী সিরিয়াল করেও ভিডিও আপলোড করা থাকে।

এরকম একটি চ্যানেল হলো Freelancing Care. যারা বেসিক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ শিখতে চান, তারা এই চ্যানেলটি দেখতে পারেন।

আবার, যারা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পাইথন শিখতে চান, তারা ঝংকার মাহমুদের চ্যানেলটি ফলো করলে বেসিক আইডিয়া পাবেন।

বই পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন

বই পড়ে হাতে কলমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যাবে না। তবে, বিভিন্ন স্কিলের ব্যাপারে বেসিক জ্ঞান এবং কৌতুহল বাড়ানোর জন্য কিছু বই দারুন কাজ করবে। যেমন:

যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চান, তাদের জন্য ঝংকার মাহমুদের “হাবলুদের প্রোগ্রামিং শেখা“। এটি তিনটি বইয়ের একটি প্যাকেজ। তিনটি বই-ই বেশ মজার।
যারা মোবাইল দিয়েই ফটোগ্রাফি শেখা শুরু করতে চান, তাদের জন্য প্রীত রেজার “স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি”।
৩. ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর করনীয়

সঠিক প্লাটফর্ম বাছাই

ফ্রিল্যান্সিং এ উপযুক্ত কাজ পাওয়ার জন্য স্কিল অনুযায়ী সঠিক প্লাটফর্মে সময় দিতে হবে। একেকটি প্লাটফর্ম একেক রকম দক্ষতাধারীদের উদ্দেশ্য করে তৈরী করা হয়ছে। যেমন, 99desines শুধুমাত্র ডিজাইনারদের জন্য বিশেষায়িত।

তবে Upwork এর মতো কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম ও বর্তমানে রয়েছে, যেগুলোতে সব ধরণের স্কিলের মানুষ কাজ পেতে পারে। নতুন Freelancer হিসেবে Upwork কিংবা Fiverr দিয়ে যাত্রা শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্যে কোনো একটি স্কিল শিখে ফেলার সাথে সাথেই জবের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠবেন না। আপনি তখনো অদক্ষ। এই অবস্থায় যদি কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করেন, তবে খুব সম্ভবত কাজ পাবেন না।

আর যদি কাজ পেয়েও যান, তবুও সেটা যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করতে পারাটা খুবই কঠিন (যেহেতু কাজটি আপনার জন্য একদম নতুন)। যদি ঠিকমতো কাজ শেষ করতে না পারেন, তবে ক্লায়েন্ট আপনাকে খারাপ রিভিউ দিয়ে যাবে।

এই একটা খারাপ রিভিউ আপনার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে – এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এমনিতেই নতুন আইডি, তার উপর একটা খারাপ রিভিউ – ফলে পরবর্তীতে আপনাকে আর কেউই কাজ দেবে না।

স্থায়ী ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার পেতে হলে আপনার করা প্রতিটি কাজ হতে হবে নিখুঁত এবং পরিষ্কার।

প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে নিতে পারেন-