পিঠের ও মেরুদণ্ডের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা

পিঠের ব্যথা চিকিৎসা করাটা খুব একটা সহজ নয়। বিশেষ করে যে সমস্ত ব্যথা মেরুদন্ডের সাথে যুক্ত স্নায়ুর প্রদাহের কারণে সৃষ্টি হয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর ভাবে পিঠের ব্যথার স্থায়ী উপশম দিতে সক্ষম।

নিচে পিঠের ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান কিছু ঔষধের লক্ষণ সমূহের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো।

পিঠের ব্যথার প্রধান হোমিও ওষুধ সমূহের লক্ষণ সমূহ

নাক্স ভমিকা‘র পিঠের ব্যথা বিছানায় শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি পায়। রোগীকে উঠে বসে পাশ ফিরতে হয়। কারণ পাশ ফিরতে গেলে বা দেহ মোচরালে কষ্ট বাড়ে।

দাঁড়িয়ে থাকলে বা মোচড়াতে গেলে বেদনার বৃদ্ধি হলে এবং বসে থাকতেও ভীষণ কষ্ট হলে নাক্স ভমিকা উপকারী। এতে বেদনা প্রধানত কটিদেশে থাকে। আবার এটি পিঠেও থাকতে পারে। নাক্স ভমিকার এই ব্যথা সাধারণত অর্শ রোগের সাথে সম্পর্ক যুক্ত (ইস্কিউলাসের মত)।

ইস্কিউলাস হিপ এর ব্যথা হাঁটলে বা মাথা নোয়ালে বাড়ে।

হস্তমৈথুন জনিত পিঠের ব্যথার চিকিৎসায় কোবাল্ট উপযোগী। কোবাল্টের বেদনা বসলে বৃদ্ধি পায়।

স্ট্যাফিসাগ্রিয়া‘র পিঠের ব্যথা রাতে বিছানায় শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি পায়।

সালফার এর পিঠ ব্যথা দাঁড়িয়ে থাকলে বা দেহ মোচড়াতে গেলে বেদনার বৃদ্ধি হয়।

বসে থাকলে বৃদ্ধি হয় – কোবাল্ট, পালসেটিলা, রাস টক্স ও জিঙ্কাম মেট ওষুধে।

অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে পিঠের ব্যথার সাথে মেরুদন্ড ও কোমর ব্যথার সম্পৃক্ততা দেখতে পাওয়া যায়। একারণেই পিঠের ব্যথা সফল ও স্থায়ীভাবে নিরাময় করার জন্য এর সাথে মেরুদন্ড ও কোমর তথা কটিদেশের লক্ষণ সমূহ ও বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।

আরও পড়ুন-

কোমর ব্যথার চিকিৎসায় কার্যকর হোমিও ঔষধসমূহ

Leave a Comment