চুল পড়ার কারণ

আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি? (পর্ব- ০১)

আপনি কি চুল পড়ার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ? চিরুনি বা টাওয়ালে প্রতিবারই উঠে আসছে অনেক অনেক চুল? চুল পড়া সমস্যা নিয়ে দুঃচিন্তার শেষ নেই? এতো চুল পড়ার কারণ কি তাও ধরতে পারছেন না? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে এই পুরো লেখাটি আপনারই জন্য!

প্রথমেই বলব, চুল পড়ে যাচ্ছে বলে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। এতো চিন্তা করে লাভটাই বা কোথায়? তার চেয়ে বরং ভাবুন আপনার চুল পড়ার কারণ কি। এই পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি জানতে পারবেন ঠিক কি কি কারনে মানুষের চুল পড়ে যায় এবং প্রতিকারই বা করা যায় কিভাবে।

সত্যিই কি অতিরিক্ত চুল পড়ে যাচ্ছে?

একজন সুস্থ্য মানুষের মাথায় চুলের পরিমাণ থাকে এক থেকে দেড় লাখ এবং চুলের গড় আয়ু প্রায় ২-৮ বছর। এছাড়া আমাদের ৯০% চুলের গ্ৰোথ অব্যাহত থাকলেও বাকি ১০% থাকে রেস্টিং ফেজে। এই ১০% প্রাকৃতিকভাবেই ঝরে পড়ে। তাই ৫০-১০০ টি চুল আমরা স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিদিন হারিয়ে ফেলি। একে চুল পড়ার সমস্যা বলা যায় না। তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনি সত্যিই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন কি না?

বিষয়টি নিশ্চিত হতে নিচের লক্ষণগুলোর সাথে নিজের সমস্যাগুলো মিলিয়ে দেখুন।

  • কারো সত্যিই চুল পড়ার সমস্যা থাকলে তার মাথার চুল দ্রুত কমে যেতে থাকে। মাথার ত্বক বা স্কার্ল্ফ সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়। আপনার চুল সত্যিই অতিরিক্ত পড়ছে কিনা যাচাই করতে হাত দিয়ে মাথার ত্বক বা স্কার্ল্ফ ধরার চেষ্টা করে দেখুন। যদি প্রথম বারেই ধরতে পারেন, তবে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা আপনার সত্যিই রয়েছে।
  • গোসলের সময় ফ্লোরে বা টাওয়ালে প্রচুর চুল পাবেন।
  • প্রতিবারই চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনিতে প্রচুর চুল উঠে আসবে।
  • চুলের গোড়া থেকে নিচ পর্যন্ত আঙুল বুলিয়ে যান। যদি হাতে প্রচুর চুল উঠে আসে তবে বুঝবেন, সমস্যা অনেক দূর গড়িয়েছে।
  • প্রতিদিন পড়ে যাওয়া চুলের হিসাব রাখুন। পরপর তিনদিন বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি চুল পড়ার পরিমাণ ৫০-১০০ এর চেয়ে বেশি হয় তবে অবশ্যই আপনার চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকবে।

চুল পড়ার কারণ কি?

চুল পড়া সমস্যা মোকাবেলার জন্য প্রথমেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন আসলে চুল পড়ার কারণ কি কি। কেননা, যেকোনো সমস্যার কারণগুলো জেনে ফেললে তার সমাধান অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। শুধু যে মেয়েরাই এ সমস্যায় ভোগেন তা নয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও মাথার সামনের চুল পড়ে যাওয়া বা মাঝখানে টাক হয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহ।

চলুন দেখে নিই ঠিক কি কি কারণে একজন মানুষের চুল পড়া সমস্যা শুরু হতে পারে। এই কারণগুলোকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি।

  • বায়োলজিক্যাল কারণ ও
  • বাহ্যিক কারণ

চুল পড়ার কারণ : বায়োলজিক্যাল

অনেক শারীরবৃত্তীয় কারণে চুল পড়া সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে-

জিনগত কারণে চুলপড়া

শতকরা ৯৫ ভাগ হেয়ারফল প্রবলেম হয় জিনগত বা বংশগত কারণে। বাবা বা মার বংশের মানুষজনের যদি একটা নির্দিষ্ট সময় পর চুল পড়া শুরু হয় সেক্ষত্রে আপনার চুল পড়া সমস্যাও জিনগত হতে পারে। এই অবস্থাটিকে বলে অ্যান্ডেজেনিক অ্যালোপেসিয়া।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে চুলপড়া (Hair-fall due to Hormonal Imbalance)

দেহে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকা চুল পড়া সমস্যার একটি প্রধান কারণ। দেহে থাইরয়েড বা ইস্ট্রোজেনের তারতম্য হলে চুল পড়া সমস্যা শুরু হতে পারে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি বা প্রসবের সময় হরমোনের তারতম্য ঘটে। এছাড়া মেনোপজের ফলে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের পরিমাণ আনুপাতিক হারে বেড়ে যায় যার ফলে চুল পড়তে শুরু করে। 

ছেলেদের চুল উঠে যাওয়া বা এন্ড্রোজেনিক এলোপিসিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিএইচটি (ডাই-হাইড্রক্সি টেস্টোস্টেরন) নামক একটি মেল হরমোন। মেল হরমোন টেস্টোস্টেরন থেকে আলফারিজাকটেজ এনজাইমের সাহায্যে ডিএইচটি তৈরি করে। এটি চুলের ফলিকলের (যে গ্ৰন্থি থেকে চুল উৎপন্ন হয়) গোড়ায় গিয়ে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় ও চুলের বৃদ্ধি রোধ করে। যার ফলে চুল পড়া শুরু হয়।

প্রাসঙ্গিক লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

অসুস্থতাও চুল পড়ার কারণ হতে পারে

ব্যাকটেরিয়া, ফ্যাঙ্গাস বা ভাইরাসজনিত ইনফেকশনও আপনার অকালে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। ফ্যাঙ্গাস বা ময়লার কারণে স্কার্ল্ফে (মাথার ত্বকে) যে খুশকি হয়, তা চুলের অন্যতম শত্রু। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন রোগ বা বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণেও চুল পড়তে পারে।

পরিবারের কারো রিউমাটয়েড, টায়ফয়েড, জন্ডিস, অটোইমিউন রোগ (যেমন: লুপাস, পলিসিসটিট ওভারিয়ান সিনড্রোম), ডায়াবেটিস, হাজল, আথ্রাইটিস, প্যারনেসিয়াস অ্যানিমিয়া ইত্যাদি রোগ থাকলে অন্য সদস্যদেরও চুল পড়া সমস্যা শুরু হতে পারে। 

চুল পড়ার কারণ : মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে যে মেডিসিন গুলো খাওয়ার জন্য বা শরীরে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয় তা চুল পড়ার কারণ হিসেবে অনেকক্ষেত্রেই প্রমাণিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেডিসিন নেওয়া বন্ধ করলে চুল পড়া সমস্যাও বন্ধ হয়ে যায়।

ক্যান্সার চিকিৎসায় যে কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয় তাতেও চুল পড়ে যায়। আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, এন্টি ডিপ্রেসেন্ট, বিটা ব্লকার, কিছু এনএসএআইডি, ইমিউনো সাপ্রেসিভ এজেন্স ইত্যাদি মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যায়।

এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে অপারেশনের পর প্রেসক্রাইবড করা মেডিসিনে প্রচুর চুল পড়ে যেতে পারে।

পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক না থাকার কারণে চুলপড়া

ত্বকের গ্ৰন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বা চুলের গোড়ায় ঘাম না শুকালে স্কার্ল্ফের বা মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে না। ফলে শুরু হয় চুল পড়া।

অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তার কারণে চুলপড়া সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে

চিন্তার আধিক্য আপনার চুল পড়ার সমস্যা সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। হঠাৎ কোনো কারণে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা কাজের চাপে চুল পড়া শুরু হতে পারে। এমনকি চুল পড়া নিয়ে আপনার দুঃচিন্তাগুলোই চুল পড়ার কারণ হতে পারে।

চুল পড়ার কারণ : পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি

ভিটামিন ‘ ই ‘ ও ভিটামিন ‘ ডি ‘ এর অভাবে চুল পড়তে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘ এ ‘ তে থাকা বিটা ক্যারোটিন চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে।

ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ঘাটতিও চুল পড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ।

কড়া ডায়েটিং অনেক সময় চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেহে দীর্ঘদিন কোন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলেও চুল পড়তে থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত এবং রিফাইন্ড করা খাবার চুল পড়ার জন্য অনেকাংশেই দায়ী।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চুলপড়া সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও হেয়ারফল প্রবলেম হতে পারে । মনে হতে পারে, ঘুমের সঙ্গে চুল পড়ার আবার কি সম্পর্ক! আসলে অনিদ্রার কারণে হরমোনের ওঠানামা হয়। এবং এর প্রভাবেই চুল পড়া শুরু হতে পারে।

বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন : চুল পড়ার কারণ

চুল পড়া সমস্যার বাহ্যিক কারণগুলো জানা থাকলে খুব সহজেই চুল পড়া বন্ধ করা যায়। এক্ষেত্রে যে সকল কারণে চুল পড়ছে তা থেকে বিরত থাকলেই অর্ধেক সমস্যা ভ্যানিস! এখন তবে চুল পড়ার বাহ্যিক কারণ গুলো জেনে নেওয়া যাক।

চুল আঁচড়ানো:

প্রথমেই চুল আঁচড়ানোর কথা শুনে নিশ্চই অবাক হয়েছেন! কেননা নিয়মিত চুল আঁচড়ানো চুলের যত্নের প্রথম শর্ত। তবে ঘন ঘন চুল আঁচড়ানো আপনার চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া ভেজা চুল আঁচড়ানো হলে চিরুনিতে প্রচুর চুল অবশ্যই দেখতে পাবেন। কেননা সেসময় চুলের গোড়া নরম থাকায় চুল সহজেই উঠে আসে।

শ্যাম্পু:

অপরিষ্কার চুল হেয়ারফলের প্রধান কারণ। কিন্তু অনেকেরই রয়েছে নিয়মিত শ্যাম্পু করার প্রতি অনীহা। অনেকে আবার ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। উভয় ক্ষেত্রেই চুল ড্যামেজ হতে পারে। এছাড়া চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করা না হলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে আরো বেড়ে যেতে পারে।

কন্ডিশনার:

কন্ডিশনারও আপনার চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এজন্য সঠিক পদ্ধতিতে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

আমি প্রথম প্রথম যখন কন্ডিশনার ব্যবহার করি, তখন লক্ষ্য করি হঠাৎ-ই প্রচুর চুল পড়া শুরু হয়েছে। চুল পড়া কমাতে না পেরে কন্ডিশনার ব্যবহারই ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এরকমই একটি আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারি, কন্ডিশনার ব্যবহারের সঠিক নিয়মটাই আমার জানা ছিল না এবং সেজন্যই এই করুণ দশা!

কন্ডিশনার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে আমার মতো হয়তো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকের হয়তো চুল পড়া সমস্যার শুরু এখান থেকেই।

তেল:

তেলের নিয়মিত ব্যবহার চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। তবে বেশিদিন ধরে মাথায় তেল রেখে দিলে তা স্কার্ল্ফে ফসিকলের গোড়ায় জমে যেতে পারে। এতে চুল পড়া বন্ধ তো হয়ই না বরং চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়ায় নতুন করে চুল পড়া শুরু হয়।

আবার তেল দেওয়ার রুটিন মাথার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী তৈরি না করলে তা চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে।

হেয়ারস্টাইল:

অনেক সময় ভুল হেয়ারস্টাইল আপনার চুলের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। যে সকল হেয়ারস্টাইলে চুল খুব টাইট করে বাঁধতে হয় সেসব হেয়ারস্টাইল না করাই ভালো। আপনি চাইলে মাঝে মাঝে হেয়ারস্টাইলটি প্রয়োগ করতেই পারেন তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন খুব ঘন ঘন না হয়। 

হেয়ার রিবন্ডিং:

হেয়ার রিবন্ডিং চুল পড়ার আরেকটি কারণ। হেয়ার রিবন্ডিং এর পর চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেকে আবার রিবন্ডিং করার পর স্টেইটনার , কার্লার , ব্লো ড্রাই করে থাকেন যার ফলে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

হেয়ার কালার:

হেয়ার কালার চুলের ড্যামেজের কারণ হতে পারে। চুল কালার করার পর তার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এসব যত্নের অভাব হলে চুল পড়ার পাশাপাশি চুল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ও চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে হয়।

অতিরিক্ত হিট ও ক্যামিকেল:

চুলে অতিরিক্ত হিট দেওয়া , ঘনঘন স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ক্যামিকেলের ব্যবহার এবং সবসময় হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানোও চুল ড্যামেজের অন্যতম কারণ। এই ড্যামেজের ফলেই চুল অধিক পরিমাণে ঝরে পড়ে।

আল্ট্রাভায়োলেট রে:

সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনী রশ্মি শুধু যে ত্বকের ক্ষতি করে তা নয়। এটি চুলকে ভঙ্গুর, দুর্বল ও শুষ্ক করে দেয় যা আপনার চুল পড়ার হার প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

এতোটুকু পড়ে ফেলার পর নিশ্চয়ই চুল পড়ার কারণ সমূহ জানতে পেরে গেছেন। এখন খুঁজতে হবে, এতো গুলো কারণের মধ্যে আপনার চুল পড়ার জন্য দায়ী কারণ কোনটি। পাশাপাশি জানতে হবে, কি কি উপায়ে চুল পড়া রোধ করা যায়। পরবর্তী লেখায় চুল পড়া বন্ধ করার কার্যকরী সকল উপায় ও ঘরোয়া কিছু টোটকা নিয়ে আলোচনা হবে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Similar Posts

3 Comments

  1. হেয়ার কালার যদি চুলের গোরায় না লাগে তাহলেও সমস্যা আছে?

    1. হ্যাঁ, সমস্যা হবে। কারণ হেয়ার কালারের উপাদানগুলো আমাদের চুলের বাইরের আবরণ ভেদ করে ভেতরে যায় বলেই চুলে কৃত্রিম রং দীর্ঘস্থায়ী হয়। ভেদ হওয়া এই আবরণই চুলের রক্ষাকবচ। এটিই যখন ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়ে যায় তখন চুল ড্যামেজ হয়ে ঝরে পড়া খুবই স্বাভাবিক।

  2. হেয়ার কমডিশন বেবহারের নিয়ম তো বললেন না… কোথায় পাবো সঠিক নিময়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *