গ্ৰিন টি এর উপকারিতা : দৈনিক কেন পান করবেন সবুজ চা?
ফিটনেস রুটিনে গ্ৰিন টি রাখেননি এমন মানুষ মিউজিয়ামে রেখে দেওয়ার মতো! তবে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকের ধারণা এখনো ওজন কমানোতেই পড়ে আছে। ওজন কমানো ছাড়াও গ্ৰিন টি এর উপকারিতা যে ঠিক কতগুলো ক্ষেত্র জুড়ে আজ আমরা সেগুলোই জানবো।
গ্ৰিন টি কি?
আপনার মনে কখনো না কখনো নিশ্চই প্রশ্ন জেগেছে কি এই গ্ৰিন টি? সাধারণ চা এর তুলনায় সকলের কাছে গ্ৰিন টি এর গ্ৰহণযোগ্যতাই বা বেশি কেন?
আসলে গ্ৰিন টি অন্য কোন গ্ৰহ থেকে নিয়ে আসা কোন জাদুকরী পানীয় নয়। আপনি জেনে অবাক হবেন সাধারণ চা আর গ্ৰিন টির পাতা ছিঁড়ে আনা হয় একই গাছ থেকে! এখানে পার্থক্যটা শুধু প্রক্রিয়াজাতকরণে।
এতে আছে এক্সটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পলি-ফেনলসহ অন্যান্য অনেক উপকারী উপাদান যা সাধারণ চা পাতায় তেমন থাকে না। গ্ৰিন টি প্রসেস করার সময় এই উপাদানগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে রক্ষা করা হয়।
ব্ল্যাক টি বা আমাদের সাধারণ চায়ে এক্সট্রা কালার, ঘ্রাণ, ক্যাফেইন যোগ করায় বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় বলে তাতে ঐ নির্দিষ্ট উপাদানগুলোর পরিমাণ অনেক কমে যায়।
প্রক্রিয়াজাতকরণের পার্থক্যের কারণে গ্ৰিন টি সর্বোচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলি-ফেনলস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান ধরে রাখতে পারে। (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো আমাদের দেহের সুস্থ্যতা ও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং পলিফেনল হলো ৫০০ টি ফটোক্যামিকেলের একটি গ্ৰুপ যা স্বাস্থ্যগতভাবে অত্যন্ত উপকারী)
এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এর চেয়ে ১০০ গুণ এবং ভিটামিন ই এর চেয়ে ২৪ গুণ বেশি উপকারী। এছাড়া গ্ৰিন টিতে আছে ভিটামিন এ, বি, বি-৫, ডি, ই, সি, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাটেচিন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, বিভিন্ন মিনারেল এবং সামান্য ক্যাফেইন।
এসকল কারণেই বিশ্বজুড়ে গ্ৰিন টির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
গ্ৰিন টি যে আমাদের দেহের জন্য উপকারী তা কমবেশি সকলেই জানেন। এবার প্রশ্ন হলো গ্ৰিন টি এর উপকারিতা ঠিক কি কি।
শরীর ও মনকে সতেজ রাখা
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে সতেজ করে তুলতে চা যে ঠিক কতটা প্রয়োজন তা ছোট বড় সবারই জানা। তবে তা যদি হয় এক্সট্রা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও মিনিরেলসযুক্ত গ্ৰিন টি তাহলে তো কথাই নেই। আপনার শরীর ও মন দুটোই পেয়ে যাবে আলাদা সতেজতা। মনের ফুরফুরে ভাবটাও পাবেন দারুন ভাবে।
ফিটনেস রক্ষায় গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
নিয়মিত গ্ৰিন টি পান আপনার দেহের মেটাবলিজম বা বিপাকীয় হার অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এতে থাকা পলি-ফেনল আপনার দেহের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে অধিক কার্যকর করে ক্যালরি উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন শরীরের মেদ ঝরাতে জোড়ালো ভূমিকা রাখে। যার ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি আর জমতে পারে না।
গবেষণায় জানা গেছে গ্ৰিন টি একদিনে ৭০ ক্যালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করতে পারে। অর্থাৎ নিয়মিত গ্ৰিন টি পান করলে বছরে ৭ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন হালকা কিছু ব্যায়াম এবং সময় ও নিয়ম মেনে গ্ৰিন টি পান আপনার ডেইলি ফিটনেস রুটিনের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গ্ৰিন টি পানে নির্দিষ্ট নিয়মগুলো না মানলে ঠিকঠাক উপকারিতা তো পাবেনই না তার ওপর ভোগান্তিতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না!
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
গ্লোয়িং ত্বকের রহস্যগুলোর মধ্যে গ্ৰিন টি এর নাম থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না! বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায় গ্ৰিন টি ত্বক ও চুলকে ভেতর থেকে সুন্দর ও সজীব রাখতে খুবই উপকারী।
গ্ৰিন টি আপনার দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়ায় যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, প্যাচি স্কিন, রেশ, পোরস, ত্বক ফেটে যাওয়া এবং মাথার খুশকির মতো সমস্যা নির্মূলেও দারুনভাবে সাহায্য করে।
এছাড়া আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে প্রোটেক্ট করতেও গ্ৰিন টি ভীষণ উপকারী।
নিয়মিত গ্ৰিন টি পান আপনার ত্বক ও চুলকে ভেতর থেকে করে তোলে সমস্যামুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
অকাল বার্ধক্য রোধ
নিয়মিত গ্ৰিন টি পান আপনার দেহের ফ্রি রেডিক্যালস্ ( এক প্রকার সক্রিয় অণু যা কোষকলা ধ্বংস করে শরীরের ক্ষতি সাধন করে) কমিয়ে অকাল বার্ধক্য রোধ করে। সেইসঙ্গে এটি বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতেও সাহায্য করে।
ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
জড়তা কাটিয়ে কাজে মনোনিবেশ করতে গ্ৰিন টি অনেকটা সাহায্য করে। গ্ৰিন টি ব্রেইনের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে যার ফলে ব্রেইন তার কাজের গতি ধরে রাখতে পারে। গ্ৰিন টি তে আছে সামান্য ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন নামক এক ধরণের অ্যামাইনো এসিড যারা একত্রে মিশে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ব্রেইনের সুস্থতা রক্ষায়ও গ্ৰিন টি ভীষণ উপকারী।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
গ্ৰিন টি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়। যদিও স্মৃতি বিনষ্টকারী আলঝেইমার্স রোগের কোন চিকিৎসা নেই তবে গ্ৰিন টি এই রোগের জন্য দায়ী এসিটাইলকোলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটাতে পারে।
মানসিক চাপ কমানো
নিয়মিত গ্ৰিন টি পান মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। গ্ৰিন টি তে আছে থায়ানিন নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড যা শরীর ও মনকে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে আনে। নিয়মিত গ্ৰিন টি পান করার মাধ্যমে আপনি সহজেই ডিপেশ্রন বা অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
দেহে ভালো খারাপ দুই ধরণের কলেস্টেরলই বিদ্যমান। নিয়মিত গ্ৰিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলে আপনি সহজেই এদের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। গ্ৰিন টি দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
গ্ৰিন টি এর একটি বড় গুণ হলো এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গ্ৰিন টি তে থাকা “ইজিসিজ” নামক উপাদান ক্যান্সার সেলকে প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে খাদ্যনালীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া স্কিন ক্যান্সার, লাঙ্গ ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ব্রিস্ট ক্যান্সার, গলব্লাডার ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারসহ যেকোন ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছুটা ভূমিকা রাখে।
হার্ট ফিট রাখতে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা গেছে যারা দিনে ১ কাপ গ্ৰিন টি পান করেন তাদের তুলনায় যারা ৪-৫ কাপ পান করেন তাদের হার্ট বেশি সুস্থ থাকে। গ্ৰিন টি দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ডকে নিরাপদ রাখে। সেইসঙ্গে এটি দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।
গ্ৰিন টি তে থাকা পলিফেনল হৃদপিন্ডকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি গ্ৰিন টি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায় এবং সেইসাথে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
গ্ৰিন টি পরোক্ষভাবে দেহে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষ করে গ্ৰিন টি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গ্ৰিন টি পান আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪২% পর্যন্ত কমাতে পারে।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুযায়ী গ্ৰিন টি আর্থ্রাইটিসের থেরাপির জন্য ভীষণভাবে কার্যকরী। গ্ৰিন টি তে উপস্থিত পলিফেনল গাঁটের ফুলে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে যা আর্থ্রাইটিসের দুটি প্রধান ভোগান্তি।
তবে আর্থ্রাইটিস কবলিত রোগীদের আর্থ্রাইটিসের উপর গ্ৰিন টি এর প্রভাব বোঝার জন্য আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া জরুরি।
অটোইমিউন রোগ
অটোইমিউন রোগ হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে আমাদের রোগ প্রতিরোধতন্ত্র নিজস্ব কোষগুলোর বিরুদ্ধেই এন্টিবডি তৈরি করে। গ্ৰিন টি তে এমন কিছু যৌগ আছে যেগুলো নিয়ন্ত্রক ” টি ” সেল ( একটি বিশেষ ধরণের কোষ যা প্রতিরোধকতন্ত্রকে নিজস্ব কোষগুলোকে আক্রমণ করা থেকে আটকায়) এর সংখ্যা বাড়ায় যা অটোইমিউন রোগের তীব্রতা কমিয়ে আনে।
রোগ প্রতিরোধে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
গ্ৰিন টি এর ক্যাটেকাইন অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এর ফলে এটি ঠান্ডা-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধেও অনেক কার্যকর। এছাড়া বিভিন্ন রোগের বিস্তার বন্ধ করার ক্ষেত্রেও গ্ৰিন টি এর উপকারিতা প্রচুর। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আপনি যদি নিয়মিত গ্ৰিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তোলেন তবে আপনার কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ( হার্টের রোগ, স্ট্রোক, হার্টের ও রক্ত প্রবাহের অন্যান্য সকল রোগকে একত্রে বলা হয় কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ) হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকটাই।
এছাড়া পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও গ্ৰিন টি অনেক বেশি কার্যকরী।
অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
পান করা ছাড়াও বেশ কয়েকভাবে আপনি গ্ৰিন টি এর উপকারিতা লুফে নিতে পারেন। গ্ৰিন টি লিকার বা পাতাতেই পেতে পারেন দৈনন্দিন কিছু সমস্যার কার্যকরী সমাধান!
রূপচর্চায়
রূপচর্চায়ও গ্ৰিন টি ব্যবহার করতে পারেন ব্যাপক ভাবে। গ্ৰিন টি এর লিকার বা পাতা দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন দারুন কিছু ফেসপ্যাক ও হেয়ার মাস্ক।
ডার্ক সার্কেল বা চোখের ফোলা ভাব কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন গ্ৰিন টি। গ্ৰিন টি দিয়ে আপনি টোনার ও বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজ কিছু ধাপেই।
দাঁতের সুরক্ষায় ও দুর্গন্ধ দূর করতে
গ্ৰিন টি তে থাকা ক্যাটেকাইন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং সেইসাথে লালার ক্ষারীয় ভাব বৃদ্ধি করে। ফলে দাঁত পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে মুখে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়।
এছাড়া গ্ৰিন টি ওরাল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল-ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।
ফার্টিলাইজার/সার হিসেবে গ্ৰিন টি এর উপকারিতা
ফার্টিলাইজার হিসেবেও গ্ৰিন টি এর উপকারিতা পাওয়া যায়। গ্ৰিন টি এর পাতা পানিতে কিছুদিন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পাতা ছেঁকে নিয়ে সে পানি গাছের গোড়ায় দিন। এটি আপনার গাছের জন্য বেশ ভালো ফার্টিলাইজার হিসেবে কাজ করবে।
মাউথওয়াশ হিসেবে
গ্ৰিন টি লিকার মাউথওয়াশ হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিজ। এছাড়া অন্যান্য মাউথওয়াশের মতো এতে কোন অ্যালকোহল নেই।
ডিওডোরেন্ট হিসেবে
ঘামের দুর্গন্ধে ডিওডোরেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন গ্ৰিন টি। দুর্গন্ধ দূর করতে গোসলের পর ঠান্ডা গ্ৰিন টি লিকার আন্ডারআর্মে লাগিয়ে নিন।
ফ্রিজের দুর্গন্ধে
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্ৰিন টির শুকনো পাতা একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে ফ্রিজের এক কোণে রেখে দিন।
মশা-মাছির উপদ্রবে
বাড়িতে মশা-মাছির উপদ্রব কমাতে শুকনো চা পাতা ঘরের কোণায় রেখে পোড়ান।
গ্ৰিন টি এর উপকারিতা সম্পর্কে তো বিস্তর জানলেন। তবে আজই বাড়িতে নিয়ে আসুন উপকারী এই সবুজ চা এবং গড়ে তুলুন সবুজ চা পানের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
প্রয়োজন মনে হলে পড়ে দেখতে পারেন-